সংক্ষিপ্ত
আইপিও-তে পা রাখবে দেশের সর্বোচ্চ বিমা কোম্পানি LIC। আলোচনায় ব্যাস্ত বিনিয়োগকারীরা। চলতি মাসেই শেষ হয়ে যাবে ড্রাফ্টিং-র কাজ। চলতি অর্থ বছরের প্রথম ৬ মাস অর্থাৎ ২০২১ সালের এপ্রিল মাস থেকে সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত ব্যাবসার সমস্ত তথ্য নথিভুক্ত করা হবে এই ড্রাফ্টে।
বর্তমানে লাভের আশায় নামী দামী সংস্থা গুলোর কাছে প্রথম পছন্দ আইপিও(IPO)। এবার সেই আইপিও-র দৌড়ে এগিয়ে গেল এলআইসি(LIC) বা লাইফ ইন্স্যুরেন্স কর্পোরেশন অফ ইন্ডিয়া। দীর্ঘদিন ধরেই একটি প্রাথমিক পাবলিক অফার(IPO)বা আইপিওর কথা ভাবছে এই সংস্থা। এবার সেই সব ভাবনার অবসান ঘটিয়ে চলছে আইপিও-তে গ্র্যান্ড এন্ট্রি নেওয়ার শেষ মুহুর্তের প্রস্তুতি পর্ব। তাই বলা যেতেই পারে অপেক্ষা আর মাত্র কয়েকটা দিনের। তারপরই এই নতুন পদক্ষেপ গ্রহণের পথে পা রাখবে দেশের সর্বোচ্চ বিমা কোম্পানি লাইফ ইনসিওরেন্স কর্পোরেশন ( Life Insurance Corporation) বা এলআইসি। শেষ মুহুর্তের আলোচনায় ব্যাস্ত বিনিয়োগকারীরা। চলতি মাসেই শেষ হয়ে যাবে ড্রাফ্টিং-র কাজও(Drafting)। চলতি অর্থ বছরের প্রথম ৬ মাস অর্থাৎ ২০২১ সালের এপ্রিল মাস থেকে সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত ব্যাবসার সমস্ত তথ্য নথিভুক্ত করা হবে এই ড্রাফ্টে। বলাই বাহুল্য, এলআইসি-র জন্য এটি মেগা আইপিও প্রোগ্রাম হতে চলেছে। চলতি অর্থ বছরের চতুর্থ ত্রৈমাসিকে অনুষ্ঠিত হতে চলেছে লাইফ ইনসিওরেন্স কর্পোরেশনের ইনিশিয়াল পাবলিক অফারিং প্রোগ্রাম। আপনি যদি এলআইসি-র আইপিও-তে অংশগ্রহণ করতে চান তাহলে কিন্তু খুব সহজেই সেটা করতে পারবেন। তার জন্য দরকার আপনার প্যানকার্ড। তবে সেটিকে অবশ্যই আপডেটেড হতে হবে। আপনার যদি বৈধ ডিম্যাট অ্যাকাউন্ট থাকে তাহলে ভারতের যেকোনো পাবলিক অফারে সাবস্ক্রাইব করা সম্ভব। সেই অনুযায়ী পলিসিধারীদের অবশ্যই নিশ্চিত করতে হবে যে তাদের একটি বৈধ ডিম্যাট অ্যাকাউন্টও আছে।
আইপিও-তে প্রবেশের জন্য, সব রকম প্রস্তুতি নিয়েই ময়দানে নামছে লাইফ ইন্সিওরেন্স করপোরেশন বা এলআইসি। আইপিও-তে যে এলআইসি-র তরফে যে প্রেজেনস্টেশন প্রস্তুত করা হচ্ছে সেখানে তুলে ধরা হবে গোটা দেশে এলআইসি-র অবস্থানটা ঠিক কোথায় আর কীভাবে এই সংস্থার গ্রোথের জন্য এলআইসি-র প্রতিটি এজেন্ট ব্যাকবোন হিসাবে প্রতিনিয়ত কাজ করে চলেছে। উল্লেখ্য, ন্য়াশনাল স্টক এক্সচেঞ্জের মোট মূলধনের ৪ শতাংশ রয়েছে এলআইসি-র দখলে। শুধু তাই নয়, ২০২০-২০২১ সালে ইক্যুইটিতে ৮ লাখ কোটি টাকা বিনিয়োগ করেছে লাইফ ইন্সিওরেন্স করপোরেশন বা এলআইসি। ইতিমধ্যেই এলআইসি আসন্ন আইপিও-তে অংশগ্রহণের জন্য ম্যানেজার ও অন্যান্য যাবতীয় বিষয় নির্বাচন প্রক্রিয়া চূড়ান্ত করে ফেলেছে। আইপিও-তে থাকবে ১০ টি মার্চেন্ট ব্যাঙ্কার। সেই তালিকায় রয়েছে গোল্ড্যান সাচ সিকিউরিটিস, সিটি গ্রুপ গ্লোবাল মার্কেটস ইন্ডিয়া এবং সেলসের তরফ থেকে থাকবে নমুরা ফিনানসিয়াল অ্যাডভাইজরি। চলতি অর্থবছরে ১.৭৫ কোটি টাকার বিনিয়োগ লক্ষ্যে পৌঁছানোর জন্যই সরকারের এলআইসি আইপিওর প্রয়োজন। উল্লেখ্য, এর মধ্যে বেসরকারীকরণ এবং সংখ্যালঘু অংশীদারি বিক্রয় অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
এই মুহূর্তে ভারতের অর্থনীতিতে আইপিও(IPO)-একেবারে জাঁকিয়ে বসেছে। এই আইপিও প্রোগ্রামে সাফল্যের সঙ্গে গোটা দেশে তাক লাগিয়ে দিয়েছে ফুড ডেলিভারি সংস্থা জ্যোম্যাটো। এছাড়াও অন্যান্য নামী-দামী কোম্পানি গুলো মোটা লাভের আশায় আইপিও প্রোগ্রামে অংশ গ্রহণ করতে চায়। তবে একটা কথা অবশ্যই মনে রাখতে হবে,আইপিও-র মার্কেটে যেমন সাফল্যের উদাহরণ রয়েছে, তেমনই ব্যর্থতার উদাহরণও রয়েছে। এলআইসি-র ক্ষেত্রে যদি আইপিও-র ফল আশানুরুপ না হয় তাহলে আর্থিকভাবে একটা বড়সড় ধাক্কা খাবে সরকার।