সংক্ষিপ্ত
দিল্লিতে ২০২০ সালের ১ ডিসেম্বর সর্ষের তেলের দাম ছিল ১৩৬ টাকা প্রতি লিটার। ২০২১ সালের ১ ডিসেম্বর প্রতি লিটারে সেই দাম বেড়ে পৌঁছে গিয়েছে ২০৩ টাকায় । সরষের তেলের দাম ৭০ থেকে ৮০ শতাংশ পর্যন্ত বৃদ্ধি পেয়েছে।
জ্বালানি থেকে সবজি বাজার,এবার মূল্যবৃদ্ধির তালিকায় নয়া সংযোজন সরষের তেল(Mustard Oil)। একদিকে যখন জ্বালানির জ্বালায় জ্বলছে সাধারণ মানুষ,বেশ কিছু সবজি কিনতে গিয়ে হাতে খাচ্ছে ছ্যাঁকা ঠিক সেই সময়ই সাধারণ মানুষের পকেটে টান পড়তে বাড়ানো হল ভোজ্য তেলের(Edible Oil) দামও। উল্লেখ্য, এক বছরে ৬৭ টাকার বেশি বাড়ল সর্ষের তেলের দাম(Mustard Oil Price Increase)। ভারতের রাজধানী দিল্লিতে ২০২০ সালের ১ ডিসেম্বর সর্ষের তেলের দাম ছিল ১৩৬ টাকা প্রতি লিটার। চলতি বছর অর্থাৎ ২০২১ সালের ১ ডিসেম্বর প্রতি লিটারে সেই দাম বেড়ে পৌঁছে গিয়েছে ২০৩ টাকায় । তাহলেই বুঝতেই পারছেন সরষের তেলের(Mustard Oil) দাম ৭০ থেকে ৮০ শতাংশ পর্যন্ত বৃদ্ধি পেয়েছে(Mustard Oil expensive Upto 80%) । গত এক বছরে সর্ষের তেলের দাম প্রতি লিটারে ৬৭ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। একটু ফিছন ফিরে তাকালে দেখা যাবে ২১৯ থেকে ২০২০ সালের মধ্যে সর্ষের তেলের দাম প্রায় ৫০ শতাংশ বেড় গিয়েছিল। সর্ষের তেলের ক্রমাগত এই মূল্যবৃদ্ধির প্রভাব পড়ছে আমজনতার পাতে। সরষের তেলের ক্রমাগত মূল্যবৃদ্ধির কারণে সাধারণ মানুষ সর্ষের তেলের(Mustard oil) ব্যবহার কম করতে শুরু করেছে। দেশের বেশকিছু রাজ্যে সর্ষের তেলের দাম প্রতি লিটারে ২০০ টাকা বেশি হয়ে গিয়েছে।
দেশে ভোজ্য তেলের বেশিরভাগ অংশই আমদানি করা হয়ে তাকে। কেন্দ্রীয় সরকার ভোজ্য তেলের দাম কম করার জন্য বেসিক এক্সাইজ ডিউটি কম করেছিল। এর মধ্যে অপরিশোধিত পাম তেল, অপরিশোধিত সোয়াবিন তেল আর অপরিশোধিত সূর্যমুখী তেলও শামিল ছিল। উল্লেখ্য, নিত্য প্রয়োজনীয় ভোজ্য তেলের দাম নিয়ন্ত্রণ করার জন্য পাম তেল, সূর্যমুখী তেল আর সোয়াবিনের তেলের উপর আমদানি শুল্কও নির্দিষ্ট করেছিল কেন্দ্রীয় সরকার। সেই প্রভাব এই তেল গুলোর দামের পড়তে দেখা গিয়েছিল। কিন্তু ভোজ্য তেলের দামের উপর খুব একটা প্রভাব লক্ষ্য করা যায়নি।
FMCG Price Hike-বেড়েছে সংস্থার অন্তবর্তী খরচ,তাই দাম বাড়ছে ডিটারজেন্ট ও গায়ে মাখার সাবানের
প্রসঙ্গত, আহমেদাবাদ-ভিত্তিক আদানি গ্রুপ এবং সিঙ্গাপুরের উইলমার ইন্টারন্যাশনলের মধ্যে পঞ্চাশ শতাংশ করে যৌথ-উদ্যোগে তৈরি হয়েছে ভোজ্য তেলের বিশেষ ব্র্যান্ড ফরচুন। সংস্থার ম্যানেজমেন্টের মতানুসারে, এই বছরের মধ্যেই নাকি কোম্পানিটিকে স্টক এক্সচেঞ্জে তালিকাভুক্ত করার পরিকল্পনা রয়েছে। নতুন শেয়ার ইস্যু করে বাজার থেকে ৪৫০০কোটি টাকা সংগ্রহ করাই হল এই সংস্থার মূল উদ্দেশ্য। অন্যদিকে হিন্দুস্তান ইউনিলিভার লিমিটেড(Hindustan Unilever Limited) ও আইটিসি লিমিটেড(ITC Limited)এই দুই কোম্পানি তাদের সংস্থার বেশ কিছু জিনিসের দাম বাড়িয়েছে(Produst Price Hike)। সেই তালিকায় রয়েছে কাপড় কাচার সাবান(detergent) থেকে গায়ে মাখার সাবান সহ আরও বেশ কয়েকটি প্রোডাক্ট। সংস্থার অন্তবর্তী খরচ(Input Cost) বেড়ে যাওয়ার দরুণই দুই ভারতীয় সংস্থা তাঁদের প্রোডেক্টের দাম দাম বৃদ্ধি করতে একপ্রকার বাধ্য হয়েছে হলে খবর।