সংক্ষিপ্ত

ভারত আশঙ্কা করছে, রাশিয়া যদি ইউক্রেন আক্রমণ করে, তবে সবচেয়ে বড় সূর্যমুখী তেল সরবরাহকারী দেশ ইউক্রেন থেকে সরবরাহ ব্যাহত হবে। বিশ্বব্যাপী তেলের দামে প্রভাব ফেলবে। রাশিয়া-ইউক্রেনের পারস্পরিক উত্তেজনা বাড়তে থাকে, তাহলে সূর্যমুখী তেল একেবারে গগনচুম্বী জায়গায় পৌঁছে যাবে 
 

ফের চাপ বা়তে পারে মধ্যবিত্তের পকেটে। আর সেই চাপ পড়বে আপনার খাবারের পাতেও। কারণ বাড়তে পারে ভোজ্য তেলের দাম (Edible Oil Price May Hike)। প্রসঙ্গত, ভারত আশঙ্কা করছে, রাশিয়া যদি ইউক্রেন আক্রমণ করে (Russia And Ukraine Conflict), তবে সবচেয়ে বড় সূর্যমুখী তেল সরবরাহকারী দেশ ইউক্রেন থেকে সরবরাহ ব্যাহত হবে। এই উদ্বেগের কারনে আর্জেন্টিনা এবং রাশিয়া থেকে আগামী দিনে ভারত সূর্যমুখী তেলের (Sunflower Oil) আমদানি বাড়াতে তৈরি। এই প্রসঙ্গে ইন্টারন্যাশনাল সানফ্লাওয়ার অয়েল অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সন্দীপ বাজোরিয়া বলেছেন, ইউক্রেন  বিশ্বের সবচেয়ে বড় পাম এবং সয়াবিন তেল আমদানিকারক দেশ।  ফেব্রুয়ারি এবং মার্চ মাসে রাশিয়া এবং আর্জেন্টিনা থেকে প্রায় ৬০ হাজার টন সূর্যমুখী তেল কিনেছে। সন্দীপ বাজোরিয়া আরও বলেন, ইউক্রেন থেকে সরবরাহ কমতে পারে এই আশঙ্কা করছে ভারত। এর ফলে বাড়ছে উদ্বিগ্নও। সেই সঙ্গে বলেন, আপাতত বাণিজ্যিক পরিস্থিতি স্থিতিশীল থাকলেও আগামী দিনে যদি সত্যিই রাশিয়া যদি ইউক্রেন আক্রমণ করে, সংঘর্ষ বাড়ে তাহলে বিশ্বব্যাপী তেলের দামে প্রভাব ফেলবে। 

উল্লেখ্য, ইউক্রেন এবং রাশিয়া থেকে সরবরাহ হয় বিশ্বের প্রায় ৮০ শতাংশ সূর্যমুখী তেল। কালেসুয়ারি ইন্টারকন্টিনেন্টালের ট্রেডিং এবং হেজিং স্ট্রাটেজি প্রধান জ্ঞানসেকর থিয়াগরাজান বলেছেন, যদি রাশিয়া-ইউক্রেনের পারস্পরিক উত্তেজনা বাড়তে থাকে, তাহলে সূর্যমুখী তেল একেবারে গগনচুম্বী জায়গায় পৌঁছে যাবে ৷  সমস্ত রকম ভোজ্য তেলের দামও বেড়ে যাবে বলে তিনি জানান। গত অর্থবর্ষে ১.৮৯ টন অপরিশোধিত ভিন্ন রকমের রান্নার রকমের তেল কিনেছে। তার মধ্যে ইউক্রেন প্রায় ৭৪ শতাংশ এবং আর্জেন্টিনা ও রাশিয়া ১২ শতাংশ তেল সরবরাহ করেছে। তেলের দাম বৃদ্ধি পেলে  ভারতীয় গ্রাহকদের বিশেষভাবে প্রভাবিত করবে। কারণ মোট ভোজ্য তেল চাহিদার প্রায় ৭০ শতাংশ আমদানি করে থাকে ভারত। অক্টোবর থেকে বছরে পাম তেলের অভ্যন্তরীণ সরবরাহের পরিমাণ ছিল ৬৩ শতাংশ, সোয়া অয়েলের পরিমান ছিল ২২ শতাংশ এবং সূর্যমুখী তেলের পরিমান ছিল ১৪ শতাংশ। উল্লেখ্য, সরবরাহ উদ্বেগের কারণে কিছু দিন আগেই ভোজ্য তেলের দাম বেড়েছিল। 

আরও পড়ুন-কেন্দ্রীয় সরকারের হস্তক্ষেপে ২০২১ সালের অক্টোবর থেকে রান্নার তেলের দামের গ্রাফ নিম্নমুখী, দাবি মন্ত্রনালয়ের

আরও পড়ুন-Mustard oil-ফের দাম বাড়ল সরষের তেলের,প্রতি লিটারে ৬৭ টাকা পর্যন্ত মূল্যবৃদ্ধি

আরও পড়ুন-Adani Wilmar-ভোজ্য তেলের অন্যতম সেরা ব্র্যান্ড ফরচুন,স্টক এক্সচেঞ্জের অন্তর্ভুক্ত হবে আদানি উইলমার লিমিটেড

একে তো করোনা পরিস্থিতিতে মুদ্রাস্ফীতির হারও বেড়েছে। এর ফলে সাধারণভাবেই জিনিস কিনতে একেবারে হাসফাঁস অবস্থা হয়েছে মধ্যবিত্তের। পণ্য সামগ্রির মূল্য যেভাবে ঝড়ের গতিতে বেড়ে চলেছে তাতে সাধারমের জীবনে একেবারে যেন সাড়াশি আক্রমনের উপক্ম হয়েছে। এর মাঝে আবার ভোজ্য তেলের দাম বৃদ্ধির আশঙ্কা সাধারণের ওপর ফের চাপ সৃষ্টি করবে বলে মনে করছে বিশেষজ্ঞমহল।