সংক্ষিপ্ত

২০১১-১২ অর্থবর্ষ থেকে ২০১৭-১৮ অর্থবর্ষে প্রায় ৯০ লক্ষেরও বেশি মানুষ কাজ হারিয়েছেন। ২০১৮-১৯ সালে কর্মক্ষেত্রে সামান্য উন্নতি দেখা দিলেও করোনার ঢেউয়ে ফের সব ভাসিয়ে নিয়ে গিয়েছে। তাই এই মুহূর্তে ভারতের দূরদর্শী বাজেটের প্রয়োজনতা বাঞ্ছনীয়। 

অতিমারি করোনা পরিস্থিতিতে (Covid 19) নিজেদের কর্মসংস্থান (work Place) হারিয়ে বেকরত্বের যন্ত্রনায় ভুগেছেন বহু মানুষ। অনেকের মাস মাইনেতে চলেছে কাঁচি। বলা ভাল, আজও সেই কাঁচি চালান অব্যাহত রয়েছে বহু সেক্টরে। এদিকে হু হু করে বাড়ছে জিনিসপত্রের দাম। এই কঠিন পরিস্থিতিতে ১ ফেব্রুয়ারি কেন্দ্রের আসন্ন ইউনিয়ন বাজেটের (Union Budget FY 2022-23) দিকে তাকিয়ে রয়েছে বহু সাধারণ মানুষ। করোনা পরিস্থিতি কর্মক্ষেত্রের ওপর যেভাবে প্রভাব ফেলেছে তাতে ইউনিয়ন বাজেটে (Union Budget) বড় কিছু চমকপ্রদ ঘোষণার দিকেই তাকিয়ে রয়েছে সাধারণ মানুষ। গ্রাম থেকে শহর, সর্বত্র বিপন্ন হয়েছে জীবন-জীবিকা। তাই জীবনকে ফের চেনা ছন্দে ফিরিয়ে আনতে ১ ফেব্রুয়ারি কেন্দ্রীয় বাজেট পেশের মঞ্চ থেকেই আসতে পারে আশার আলো।  উল্লেখ্য, বড় সংস্থাগুলিও আপাতত নিয়োগ প্রক্রিয়া স্থগিত রেখেছে। কেন্দ্র ও রাজ্যের সরকারি ক্ষেত্রগুলিতেও নিয়োগ প্রক্রিয়াও থমকে রয়েছে। এই পরিস্থিতিতে সরকারের কাছে অবশ্যই একটি বড় চ্যালেঞ্জ কর্মসংস্থান তৈরি করা (May Increase Employeement Opportunities)। তাই এই মুহূর্তে ভারতের দূরদর্শী বাজেটের প্রয়োজনতা বাঞ্ছনীয়। তাই তো নির্মলা সীতারমণ ইউনিয়ন বাজেটে কর্মসংস্থান নিয়ে কি বক্তব্য পেশ করতে চলেছেন সেই দিকেই তাকিয়ে সাধারণ মানুষ। 

করোনা সংক্রমণের আগেও দেশের কর্মক্ষেত্রে একটা সঙ্কট যে ছিল তা অস্বীকার করার উপায় নেই। ২০১৭-১৮ সালের একটি সমীক্ষায় দেশের বেকারত্বের হার বিগত ৪৫ বছরে সর্বোচ্চ সীমায় পর্যন্ত পৌঁছে গিয়েছিল। এরপর অতিমারির করোনার দাপটে তড়তড়িয়ে বেড়ে যায় সেই বেকারত্ব বৃদ্ধির হার। বন্ধ হয়ে যায় কলকারখানা সহ বিভিন্ন নামী-দামী ঝা চকটকে অফিস থেকে অন্যান্য বিভিন্ন সেক্টর। ফলে চাকরি হারিয়ে দিশাহীনভাবে জীবন কেটেছে অনেকেরই।  প্রসঙ্গত, ২০১১-১২ অর্থবর্ষ থেকে ২০১৭-১৮ অর্থবর্ষে প্রায় ৯০ লক্ষেরও বেশি মানুষ কাজ হারিয়েছেন। ২০১৮-১৯ সালে কর্মক্ষেত্রে সামান্য উন্নতি দেখা দিলেও করোনার ঢেউয়ে ফের সব ভাসিয়ে নিয়ে গিয়েছে। 

আরও পড়ুন-করোনাকালে আয়করের ওপর ফোকাস করতে পারে কেন্দ্রীয় বাজেট, মতপ্রকাশ বিশেষজ্ঞ মহলের

অতিমারি করোনার প্রকোপের মধ্যেও ইন্ডিয়া গ্রোথ স্টোরি-তে বিশ্বাসী অনেকেই। আর সেই জন্যই ২০২২-২৩ কেন্দ্রীয় ইউনিয়ন বাজেটের দিকে তাকিয়ে আশায় বুক বাঁধছে কত না সাধারণ মানুষ.....বিশেষজ্ঞ মহল চাইছে, ইউনিয়ন বাজেটে চাহিদা তৈরি, কর্মসংস্থান সৃষ্টি, জনস্বাস্থ্য পরিষেবা, এমএসএমই সেক্টরে বিশেষভাবে ফোকাস করা হোক। একই সঙ্গে রিয়েল এস্টেট ও অটো সেক্টরেও আরও আর্থিক বিনিয়োগ ও উন্নয়নেরও প্রয়োজন আছে বলে মনে করছেন তাঁরা। কারণ এই দুটি ক্ষেত্রই বর্তমানে সবথেকে বেশি চাকরির সুযোগ রয়েছে।  এর ফলে পরোক্ষভাবে অন্যান্য ক্ষেত্রগুলো লাভবান হবে বলে মত প্রকাশ ওয়াকিবহল মহলের। 

আরও পড়ুন-করোনাকালে মন্দা গাড়ি বাজার, ইউনিয়ান বাজেটে গাড়ি ও যন্ত্রাংশের ওপর জিএসটি ১৮ শতাংশ করার আবেদন FADA-এর

আরও পড়ুন-করোনাকালে মন্দা গাড়ি বাজার, ইউনিয়ান বাজেটে গাড়ি ও যন্ত্রাংশের ওপর জিএসটি ১৮ শতাংশ করার আবেদন FADA-এর

দেশে কর্মসংস্থান তৈরি হওয়া জরুরি এবং আসন্ন বাজেটে কর্মসংস্থান প্রসঙ্গে কী সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে সেই প্রসঙ্গে একটা কথা বলতেই হয়, করোনা পরিস্থিতিতে দেশের অর্থনীতি যখন মুখ থুবড়ে পড়েছিল তখন রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া ঐতিহাসিক প্রযুক্তিগত মন্দা বলে অভিহিত করেছিল। সেই জায়গা থেকে দেশের অর্থনীতিকে ঘুরে দাঁড়ানোর জন্য কর্মসংস্থানের যোগান বৃদ্ধি একান্ত প্রয়োজন।