সংক্ষিপ্ত
শুক্রবার রাত থেকে কর্ণাটকে শুরু হয়ে গিয়েছে সপ্তাহান্তের লকডাউন। এই দিন রাত ৮ টা থেকে সোমবার ভোর ৫ টা পর্যন্ত চলবে এই লকডাউন। মদের দোকানে ভিড় এড়াতে রাজ্যে দুদিন বন্ধ মদের দোকান।
বিভিন্ন রাজ্যে প্রতিনিয়ত বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। করোনা সংক্রমণ যেভাবে বাড়ছে তাতে সাধারণ মানুষ থেকে চিকিৎসক, বিশেষজ্ঞ মহল সকলেই এই বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। বেশ কয়েকটি রাজ্যে জারি হয়েছে আংশিক লকডাউন ও নাইট কার্ফু। ইতিমধ্যেই শুক্রবার রাত থেকে কর্ণাটকে (Karnataka) শুরু হয়ে গিয়েছে সপ্তাহান্তের লকডাউন (Weekend Lockdown)। এই দিন রাত ৮ টা থেকে সোমবার ভোর ৫ টা পর্যন্ত চলবে এই লকডাউন। তারই মাঝে আরেকটি বড় ঘোষণা করলেন রাজ্যের আবগারি মন্ত্রী (Excise Minister) কে.গোপালাইয়া। তিনি সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, নাইট কার্ফু (Night carfew) চলাকালীন বন্ধ থাকবে সমস্ত মদের দোকান (Liquor Shop)। রাজ্যের সব জায়গায় নাইট কার্ফু চলাকালীন মদ বিক্রি নিষিদ্ধ (Not To Sale Liquor) করল আবগারি মন্ত্রী কে.গোপালাইয়া। অর্থাৎ আপাতত দুদিন এই রাজ্যের সুরাপ্রেমীদের জন্যএকপ্রকার ব্ল্যাক ডে বলা যেতে পারে। সুরা পান করে গলা ভেজানোর কোনও অবকাশ নেই তাঁদের।
ব্যাঙ্গালুরুতেও হু হু করে বাড়ছে করোনা সংক্রমণের সংখ্যা। তাই মদের দোকান খুলে সেখানে ভিড় জমানো এড়াতেই সপ্তাহান্তের নাইট কার্ফুতে মদের দোকান সম্পূর্ণ বন্ধ রাখার কড়া সিদ্ধান্ত নিয়েছেন কর্ণাটকের আবগারি মন্ত্রী কে.গোপালাইয়া। এই বিষয় আধিকারীকদের একটি নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। রাজ্যের আবগারি মন্ত্রী কে.গোপালাইয়া আরও জানিয়েছেন, মদের দোকানের মালিকরা দোকান খোলার অনুমতি চেয়ে একটি প্রতিনিধি দল পাঠিয়েছিল। কিন্তু করোনা পরিস্থিতির অবনতির কথা মাথায় রেখেই দোকান খোলার অনুমতি দেওয়া হয়নি। রাজ্যে যখন সপ্তাহান্তের নাইট কার্ফু জারি হয়েছে তখন খুব প্রয়োজন ছাপুলিশড়া দিনের অন্য সময়ও বাড়ির বাইরে না বেড়নোর পরামর্শ দিয়েছেন ব্যাঙ্গালুরু পুলিশ কমিশনার কমল পন্ত। তিনি সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বলেন, ব্যাঙ্গালুরু শহরের প্রতিটি মানুষের কাছে একটাই আবেদন তাঁরা যেন লকডাউনটির গুরুত্ব বোঝে আর এই ব্যাপারে পুলিশকে সহায়তাও করেন। বিনা প্রয়োজনে বাইরে বড়নোর বিষয়টির ওপরও বারবার আলোকপাত করেছেন তিনি।
আরও রপড়ুন-Taliban Liquor: ক্যানেলে ঢালা হল তিন হাজার লিটার দামী মদ- দেখুন ভিডিও
করোনার বাড়বাড়ন্তের জন্য বেশ কিছু জিনিসের ওপর বিশেষভাবে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হচ্ছে। তবে জরুরি পরিষেবা বা চিকিৎসা ক্ষেত্রের মত আপদকালীন পরিসরে ছাড় দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন ব্যাঙ্গালুরু পুলিশ কমিশনার কমল পন্ত। তবে জরুরি পরিষেবা সংক্রান্ত সঠিক তথ্য রাস্তায় যাচাই করা হবে বলেও সাফ জানিয়েছেন তিনি। এছাড়াও বিমানবন্দর বা রেলওয়ে স্টেশনে উপস্থিতির জন্য টিকিট দেখাতে হবে। শহরের মধ্যে অবাধ বিচরণ আটকাতে যে কোনও পাস যে ইস্যু করবে না সেই বিষয়টিও পরিস্কার করে দিয়েছেন তিনি। কেও যদি কোনওভাবে কোভিড নাইনটিনের নিয়ম লঙ্ঘন করে তাহলে তাঁর বিরুদ্ধে যাথাযথ আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।