সংক্ষিপ্ত
২০২১ সালের পেশ হওয়া বাজেটে কোভিড টিকাকরণের নীতিই এখনও পর্যন্ত কার্যকরী রয়েছে। ২০২২-২৩ অর্থবর্ষের বাজেটে নতুন কোনও কোভিড টিকাকরণের নতুন কোনও প্রোগ্রাম লঞ্চ হবে কিনা সেটাই এখন প্রশ্ন। বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, দেশেই যদি হিমঘর চেন তৈরি করা যায় তাহলে টিকা সংরক্ষণ সহজ হবে।
আগামি ১ ফেব্রুয়ারি কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ সংসদে পেশ করতে চলেছেন ২০২২-২৩ অর্থবর্ষের ইউনিয়ন বাজেট (Union Budget 2022)। সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে শিল্প জগতের মানুষ প্রত্যেকেই সরকারের কাছে স্বাস্থ্য ক্ষেত্রের জন্য বরাদ্দ বাড়ানোর দাবি জানিয়ছেন। অতিমারি করোনা পরিস্থিতির জন্যই স্বাস্থ্যখাতে (Health sector) বেশি বরাদ্দের অবাদেন জানান হয়েছে। কোভিড সংকটের মধ্যেই পেশ হবে ইউনিয়ন বাজেট আর সেখানে করোনা মাহামারির ভ্যাকসিন (New Vaccine Programme) সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে বলেই অনুমান করা হচ্ছে। সরকার করোনার জন্য আগামী দিনে কোনও নতুন ভ্যাকসিন প্রোগ্রাম লঞ্চ করবে কিনা সেই বিষয় বাজেটে সিদ্ধান্ত গৃহিত হতে পারে বলে মনে করছে বিশিষ্ট মহল। ২০২১ সালে অতিমারি করোনা পরিস্থিতিতে পেশ হওয়া বাজেটে করোনার টিকাকরণের জন্য ৩৫,০০০ কোটি টাকার তহবিল বরাদ্দ করেছিল। এর ফলে গোটা দেশে কোভিড টিকাকরণ অভিযানের অধীনে বিনামূল্যে টিকাকরণ চালানো সম্ভব হয়েছে। আগামী ফেব্রুয়ারির মধ্যে ১৫ থেকে ১৮ বছর বয়সীদেরও টিকাকরণ সম্পূর্ণ হয়ে যাবে বলে সুত্রের খবর।
আগামী মার্চে ১৫ বছরের নীচে বাচ্চাদের জন্য টিকাকরণের ব্যবস্থা করবে কেন্দ্র। এই টিকাকরণও বিনামূল্যে দেওয়া হবে আর সরকারকে কয়েক কোটি টাকা খরচা করতে হবে। এরপর আগামীতে বুস্টার ডোজেরও অভিযান চলবে। এই অবস্থায় খুব স্বাভাবিতভাবেই প্রশ্ন উঠছে, সরকার কী তাহলে কোভিডের টিকাকরণের জন্য কোনও আলাদা প্রোগ্রাম লঞ্চ করবে। উল্লেখ্য, ২০২১-র বাজেটে কেন্দ্রীয় সরকার জাতীয় কোভিড টিকাকরণ প্রোগ্রাম লঞ্চ করেছিল। সেই প্রোগ্রামে বলা হয়েছিল, দেশে যে কোম্পানিগুলি টিকা তৈরি করে, তাদের নিজেদের মাসিক উৎপাদনের ২৫ শতাংশ প্রাইভেট হাসপাতালগুলিতে বিক্রি করার অধিকার রয়েছে। বাকি থাকা টিকা সরকার কিনবে আর বিনামূল্যে টিকাকরণ অভিযানে ব্যবহার করবে। যেহেতু গত আর্থিক বছর এখনও চলছে, এই কারণে জাতীয় কোভিড টিকাকরণ প্রোগ্রামও চলছে। আগামী বাজেটে সরকার এই প্রোগ্রামে কী সংশোধন করে সেটাই এখন দেখার বিষয়।
আরও পড়ুন-Budget 2022: ইউনিয়ন বাজেটের আগে প্রবীণ নাগরিকদের কর কমানোর আর্জি এসবিআই রিসার্চ-এর
কোভিড টিকাকরণ নিয়ে কেন্দ্র নতুন কোনও প্রোগ্রাম লঞ্চ করবে কিনা এই বিষয় বিশেষজ্ঞরাও বিভিন্ন মত প্রকাশ করেছেন। তাঁদের মতে, টিকার রক্ষণাবেক্ষণের কাজ ভীষণই চ্যালেঞ্জিং আর এর জন্য কোল্ড স্টোরেজের প্রয়োজন হয়। বাজেটে সরকার যদি তার জন্য আলাদা করে অর্থ বরাদ্দ করে তাহলে কোভিডের ম্যানেজমেন্ট আর টিকা নষ্ট হওয়া আটকাতে সাহায্য পাওযা যাবে। যে কোনও টিকাকরণ অভিযানের সফলতার জন্য একটি হিমঘর চেন ভীষণই গুরুত্বপূর্ণ। যদি সরকার হিমঘর চেন বানানোর জন্য জিএসটিতে কিছু ছাড় দেয় তাহলে বেশ কিছু কোম্পানি এই কাজে নামলে টিকার রক্ষণাবেক্ষণের সমস্যার সমাধান হতে পারে। এই কাজ অনেকটা আমদানি নির্ভর। বাজেটে যদি আমদানি শুল্ককে কম করা হয় তাহলে দেশেই হিমঘর নির্মাণ কাজ সহজেই করা যাবে । এই পদক্ষেপ উৎপাদনের সঙ্গে যুক্ত উৎসাহ বাড়ানোর পাশাপাশি উন্নতিতেও সাহায্য করবে। এতে রোজগারও বাড়বে।