সংক্ষিপ্ত

ফিনান্সিয়াল সিস্টেমের ওপর চাপ কম হওয়ার ফলে গ্রোথ আউটলুকের সঙ্গে জড়িত ঝুঁকি কিছুটা কমেছে। ফিচ মনে করছে যে ২০২১-২২ আর্থিক বর্ষে ভারতের জিডিপি গ্রোথ প্রায় ৮.৭ শতাংশ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

অর্থনীতির মূল্যায়ন সংস্থা ফিচ রেটিংস ভারতীয় অর্থনীতির গায়ে BBBরেটিং তকমাটাই অপরিবর্তিত রেখে দিল। ফিচ রেটিংস (Indian Economy Fitch Rating) জানিয়েছে যে ফিনান্সিয়াল সিস্টেমের ওপরে চাপ কম হওয়ার ফলে গ্রোথ আউটলুকের সঙ্গে জড়িত ঝুঁকি কিছুটা কমেছে। ফিচ মনে করছে যে ২০২১-২২ আর্থিক বর্ষে ভারতের জিডিপি গ্রোথ প্রায় ৮.৭ শতাংশ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।  লকডাউনের জেরে অর্থনীতি অন্ধকারে তলিয়ে গিয়েছিল। প্রায় ১৯ মাস পরে মোদী সরকার ঘুরে দাঁড়ানোর দাবি করলেও বিশেষজ্ঞ সংস্থাগুলির চোখে অর্থনীতির অবস্থা যে এখনও অনিশ্চিত ও ঝুঁকিপূর্ণ, সেটা ফের স্পষ্ট হল বলেই মনে করছে সংশ্লিষ্ট মহলের একাংশ। ফিচ রেটিংস নেগেটিভ আউটলুকের সঙ্গে লম্বা সময় ধরে ভারতের রেটিং ট্রিপল-বি নেগেটিভ (BBB-) বজায় রেখেছে। ফিচ জানিয়েছে যে এই বছরের মাঝামাঝি সময় থেকে ভারতের গ্রোথ আউটলুক মজবুত হতে শুরু করেছে।  করোনা মহামারীর প্রকোপ কিছুটা কম হওয়ার পরেই ভারতের অর্থব্যবস্থা খুবই তেজ গতিতে এগোচ্ছে। সেই সঙ্গে গ্লোবাল রেটিং সংস্থা ফিচ জানিয়েছে, যে ২০২২-২৩ আর্থিক বর্ষে ভারতের জিডিপি গ্রোথ প্রায় ১০ শতাংশ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সম্প্রতি মূল্যায়ন সংস্থা মুডি’জ় ভারতের অর্থনীতি সম্পর্কে দৃষ্টিভঙ্গি নেতিবাচক থেকে স্থিতিশীল করেছে। যা রেটিং আর না-কমার ইঙ্গিত। 

আরও পড়ুন-Crypto risk-ক্রিপটো সংক্রান্ত কোনও সমস্যায় পাওনা যাবে না আইনি সাহায্য, জানাল RBI

আরও পড়ুন-SEBI IPO Rules-IPO-র ওপর কড়া নজর SEBI-র,IPO-তে বিনিয়োগের ওপর জারি নির্দেশিকা

ফিচ অবশ্য কেন্দ্রকে কিছুটা স্বস্তি দিয়েছে অর্থনীতির দ্রুত ঘুরে দাঁড়ানো এবং মাঝারি মেয়াদে আর্থিক বৃদ্ধির ঝুঁকি কমার কথা বলে। সরকারের ঘাড়ে চেপে থাকা বিপুল ধার, দুর্বল আর্থিক ক্ষেত্র এবং কিছু কাঠামোগত সমস্যা সম্পর্কে সতর্ক করলেও, প্রশংসা করেছে পোক্ত বিদেশি মুদ্রার ভান্ডার ও সংস্কারের যে পদক্ষেপ তার জন্য। বিরোধী সংশ্লিষ্ট মহলের একাংশের দাবি, অর্থনীতির BBB-রেটিং মানে খাদের মুখে ঝুলে থাকাই। আর এক ধাপ নামলেই ভারতকে লগ্নির অযোগ্য দেশের তালিকায় ঢুকতে হবে। আর নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি কার্যত সেই হুঁশিয়ারি। সাবধানে, সতর্ক হয়ে এবং ভেবেচিন্তে এগোনোর বার্তা দেওয়া হয়েছে সরকারকে। বলা হয়েছে, যথেষ্ট মূলধন না-জোগালে ব্যাঙ্ক ঋণের  পরিমাণ বাড়তে বহু বছর লাগবে।  করোনার মহামারীর  প্রকোপে থমকে ছিল ভারতের অর্থনীতি। এর পর ভারতে করোনার প্রকোপ কম হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ধীরে ধীরে পুরনো ছন্দে ফিরতে শুরু করেছে ভারতের অর্থনীতি। ভারতের অর্থনীতি  (Indian Economy Fitch Rating) যে ভাবে এগিয়ে চলেছে সেই ধারা বজায় রাখতে পারলে, ভারতের অর্থব্যবস্থা পৌঁছে যাবে এক নতুন উচ্চতায়। ফিচের পূর্বাভাস, চলতি অর্থবর্ষে ভারতের জিডিপি বৃদ্ধির হার হতে পারে ৮.৭%। পরের বার ১০%। মুডি’জ়ের পূর্বাভাস ছিল যথাক্রমে ৯.৩% এবং ৭.৯%।

YouTube video player