সংক্ষিপ্ত

সম্পত্তির  নিরিখে দুই শিল্পপতির মধ্যে জোড়দার টক্কর। ফোর্বস পত্রিকার রিয়েলটাইম ডেটা নেটওয়ার্থ-এর হিসাব অনুযায়ী,  বিশ্বের ১১তম ধনী ব্যক্তির জায়গা ছিনিয়ে নিয়েছেন শিল্পপতি গৌতম আদানি। সম্প্রতি শেয়ার মার্কেটে ধস নামলেও, তার বিন্দুমাত্র প্রভাব পড়েনি গৌতম আদানির সম্পত্তিতে।

সম্পত্তির  নিরিখে দুই শিল্পপতির মধ্যে জোড়দার টক্কর। শিল্পপতি মুকেশ আম্বানি (Mukesh Ambani) আর বিজনেস টাইকুন গৌতম আদানির সম্পদের মূল্যের বিচারে ফের রিল্যায়েন্স মালিককে পিছনে ফেলে এগিয়ে গেলেন গৌতম আদানি (Gautam Adani)। উল্লেখ্য, ২০২১ সালে এই দুই শিল্পপতির সম্পত্তির মূল্যের ইঁদুর দৌড়ে মুকেশ আম্বানিকে টেক্কা দিয়েছিলেন গৌতম আদানি। সেই সময়ের হিসাবে অনুযায়ী, ২০২১ সালের আগে দুবছরে শিল্পপতি গৌতম আদানির সম্পত্তি বৃদ্ধির পরিমাণ ছিল প্রায় ১,৮০৮ শতাংশ। সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে রিল্যায়েন্স মালিক অর্থাৎ মুকেশ আম্বানির (Mukesh Ambani)সম্পত্তির পরিমান বৃদ্ধি হয় (Property Increase) মাত্র ২৫০ শতাংশ। উল্লেখ্য, ফোর্বস পত্রিকার রিয়েলটাইম ডেটা নেটওয়ার্থ-এর হিসাব অনুযায়ী, বিশ্বের ১১তম ধনী ব্যক্তির জায়গা (Adani came up at number 11 in the list of richest people) ছিনিয়ে নিয়েছেন শিল্পপতি গৌতম আদানি (Gautam Adani)। একটা কথা বলাই বাহুল্য, সম্প্রতি শেয়ার মার্কেটে ধস নামলেও, তার বিন্দুমাত্র প্রভাব পড়েনি গৌতম আদানির সম্পত্তিতে (Gautam Adani Property), বলা ভাল শেয়ার মার্কেটের পতনের কোনও আঁচ আদানি গ্রুপে পড়েনি। বরং পতনের মাঝেই মাথা তুলে দাঁড়িয়ে রয়েছে গৌতম আদানি (gautam Adani), অর্থাৎ উত্থান ঘটেছে আদানি গ্রুপের। 

উল্লেখ্য, আদানির সম্পত্তির পরিমাণ প্রায় ৮৯.৫ বিলিয়ন ডলার, ভারতীয় মুদ্রার বিচারে যা প্রায় ৬.৭২ লাখ কোটি টাকা। সেখানে মুকেশ অম্বানীর সম্পদের পরিমান ৮৯.৪ বিলিয়ন ডলার যা ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ৬.৭১ লাখ কোটি টাকা। সম্পদের মূল্যের নিরিখে প্রথম ও দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন যথাক্রমে শিল্পপতি গৌতম আদানি ও মুকেশ আম্বানি। তারপর ধনী ব্যক্তিদের তালিকায় যাদের নাম উঠে এসেছে তাঁরা হলেন শিব নাদার, রাধাকৃষ্ণন দামানি এবং লক্ষ্মী মিত্তল। প্রসঙ্গত, এখন বিশ্বের সর্বাধিক সম্পত্তির মালিক ফ্রান্সিসকো বেটনকোর্ট মেয়ার্স। তাঁর সম্পত্তির পরিমান ৮২.৯ বিলিয়ন ডলার। কিন্তু তাঁকে বুড়ে আঙুল দেখিয়ে ধনী ব্যক্তিদের তালিকায় প্রথমে উঠে এসেছেন দুই ভারতীয়, গৌতম আদানি ও মুকেশ আম্বানি। 

আরও পড়ুন-Olive Trees -একটি গাছের কাহিনি,আম্বানি পরিবারে ঠাঁই পেল ২০০ বছরের পুরনো ২ টি অলিভ গাছ

আরও পড়ুন-Ambani vs Adani: অপ্রচলিত শক্তি নিয়ে মুকেশ অম্বানিকে চ্যালেঞ্জ গৌতম আদানি, লক্ষ্য আম্বানিকে টেক্কা দেওয়া

আরও পড়ুন-ফের শীর্ষে, টানা ১২ বছর ধরে ভারতের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি মুকেশ আম্বানি

গুজরাতকেন্দ্রীক আদানি গ্রুপ মূলত বন্দর সংক্রান্ত শিল্পের সঙ্গে যুক্ত।  তবে বর্তমানে এই গ্রুপের ব্যবসার বিস্তৃতি ঘটেছে বহুদূর। উল্লেখ্য, চলতি মাসেই অর্থাৎ জানুয়ারিতেই আদানি গোষ্ঠী ইস্পাত, পুনর্ব্যবহারযোগ্য শক্তি-সহ অন্যান্য ক্ষেত্রে ব্যবসায়িক সুযোগ বাড়াতে দক্ষিণ কোরিয়ার সংস্থা পস্কোর সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়েছে। প্রায়  ৩৭,৫০০ কোটি টাকা হতে পারে বলে খবর। গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেন্দ্র পটেলের উপস্থিতিতেই এই চুক্তি স্বাক্ষরিত করেছেন গৌতম আদানি, থুরি আদানি গ্রুপ। শুধু আদানি গ্রুপই নয়, বিনিয়োগের দিক থেকে এগিয়ে রয়েছে মুকেশ আম্বানির সংস্থা রিল্যায়েন্সও।  গুজরাতেই বড় মাপের বিনিয়োগ করতে চলেছে এই টেলিকম সংস্থা। ইতিমধ্যে ৫.৯৫ লক্ষ কোটি টাকার বিনিয়োগের জন্য কাগজপত্রে সইসাবুতও করে ফেলেছে রিল্যায়েন্স গোষ্ঠীও। ১০০ গিগাওয়াটের অপ্রচলিত বিদ্যুৎ কেন্দ্র এবং হাইড্রোজেন শক্তি উৎপাদন সংক্রান্ত ব্যবস্থা গড়তে আম্বানির তরফে বিনিয়োগ করা হবে ৫ কোটি টাকা। আর  সৌর বিদ্যুৎ, ব্যাটারি স্টোরেজ-সহ চারটি কারখানা গড়তে লগ্নি হবে প্রায় ৬০ হাজার কোটি টাকা। ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে জমি দেখার কাজও।