সংক্ষিপ্ত

২০১৮-১৯ অর্থবর্ষে শিক্ষাখাতে বরাদ্দ ডিজিপি-র পরিমান ছিল ২ থেকে ৩ শতাংশ। সেই পরিমানটাই চলতি অর্থবর্ষে ৬ শতাংশ পর্যন্ত করায় আশাবাদী বিশেষজ্ঞ মহল। ডিজিটালাইজেশনের যুগে তরুণ প্রজন্মকে আরও বেশি ডিজিটালাইজড করে তুলতে হবে যাতে ভবিষ্যতে তাঁদের উপার্জনের পথ মসৃণ হয়। স্কিলিং, রিস্কিলিং এবং আপ স্কিলিংকেও বিশেষভাবে গুরুত্ব দেওয়া উচিৎ। 

অতিমারি পরিস্থিতির (Covid 19) মধ্যেই আগামী ১ ফেব্রুয়ারি সংসদে পেশ হতে চলেছে ২০২২-২৩ অর্থবর্ষের ইউনিয়ন বাজেট (Union Budget 2022)। আসন্ন বাজেটকে ঘিরে সাধরণ মানুষ থেকে অন্যান্য বিভিন্ন ক্ষেত্রের প্রত্যাশার পারদ ক্রমশ চড়ছে। সেই রকমই একটি ক্ষেত্র হল শিক্ষাক্ষেত্র। এই প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যুক্ত বিশেষজ্ঞরা আশা করছেন করোনা পরিস্থিতিতে গত অর্থবর্ষে পেশ হওয়া বাজেটে শিক্ষাখাতে (Education Budget) বরাদ্দের পরিমান বেশ খানিকটা কমানো হয়েছিল। তাই চলতি অর্থবর্ষে জিডিপি-র ৬ শতাংশ পর্যন্ত শিক্ষাখাতে বরাদ্দ করা উচত বলে মনে করছেন তাঁরা। কোভিড পরিস্থিতিতে শিক্ষাক্ষেত্রে তৈরি হয়েছে নানান রকমের সমস্যা। অতিমারি পরিস্থিতিতে বেশ অনেকটা পিছিয়ে পড়েছে শিক্ষাব্যবস্থা। কেন্দ্রের আগামী বাজেটে  শিক্ষাব্যাবস্থাকে এগিয়ে নিয়ে যেতে বাজেটে বিশেষ কোনও সিদ্ধান্ত গৃহিত হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। উল্লেখ্য, ২০১৮-১৯ অর্থবর্ষে শিক্ষাখাতে বরাদ্দ জিডিপি-র পরিমান (GDP) ছিল ২ থেকে ৩ শতাংশ। সেই পরিমানটাই চলতি অর্থবর্ষে ৬ শতাংশ পর্যন্ত করায় আশাবাদী বিশেষজ্ঞ মহল (GDP Should Allocate 6 percent)।  জাতীয় শিক্ষা মিশন আর অধ্যাপক প্রশিক্ষণ প্রোগ্রামের উপরও বিশেষভাবে ফোকাস করা উচিত বলেও মত তাঁদের। করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রমেও আক্রান্তের সংখ্যা ক্রমশ বাড়ছে। এর মধ্যেই ভারতের মত দেশে শিক্ষাব্যবস্থার পরিকাঠামোকে উন্নত করা হবে বলে মনে করা হচ্ছে। 

অতিমারি করোনা পরিস্থিতিতে অনলাইন প্রশিক্ষণের (Online Education) চাহিদা বেড়েছে। ছোট থেকে বড় সকলেই অনলাইন ক্লাসের ওপর ভর করেই নিজেদের ভবিষ্যৎ গড়ার পথে এগিয়ে চলছে। তাই ডিজিটালাইজেশনের যুগে তরুণ প্রজন্মকে আরও বেশি ডিজিটালাইজড করে তুলতে হবে যাতে ভবিষ্যতে তাঁদের উপার্জনের পথ মসৃণ হয়। স্কিলিং, রিস্কিলিং এবং আপ স্কিলিংকেও বিশেষভাবে গুরুত্ব দেওয়া উচিৎ। শুধু ডিজিটালি পড়াশোনাই নয়, ডিজিটাল অর্থব্যবস্থায় যোগদানের জন্যও এই বিষয়গুলোর ওপর ফোকাস করা উচিত। আর সেই জন্যই এড-টেক প্লেয়ার্স এবং এড-টেক সেক্টরকে একত্রিত হয়ে কাজ করার পরামর্শ দিচ্ছে বিশেষজ্ঞ মহল। তরুণ তুর্কীদের শিক্ষার ডিজিটালাইজেশনের জন্য শক্ত ভিত তৈরি করতে হবে এবং সেই সঙ্গে আধুনিক কার্যপ্রণালী নির্ধারিত করতে হবে বলে মত প্রকাশ করেছে বিশেষজ্ঞমহলের একাংশ। দেশের শিক্ষা পাঠ্যক্রমকে এতটা প্রাসঙ্গিক আর মজাদার তৈরি করা উচিৎ, যাতে ছাত্ররা শেখার আনন্দ নিতে পারে সেই দিকে অবশ্যই নজর দিতে হবে। 

আরও পড়ুন-বাজেটে শিক্ষাক্ষেত্রে বিশেষ নজর, তরুণদের আত্মবিশ্বাসী করতেই এই পদক্ষেপ বলে জানালেন মোদী

আরও পড়ুন-কোভিড পরিস্থিতিতে কর্মসংস্থান তৈরি সরকারের বড় চ্যালেঞ্জ, ইউনিয়ন বাজেটের সিদ্ধান্তের দিকে তাকিয়ে জনসাধারণ

আরও পড়ুন-ইউনিয়ন বাজেটে বেশ লাভবান হতে পারে শিক্ষাক্ষেত্র, শিক্ষাখাতে বেশী টাকা বরাদ্দের আশা শিক্ষামহলের

উল্লখ্য, অনলাইন পরীক্ষার জন্য অফিসিয়াল নির্দেশ এবং বেসিক পরিকাঠামো তৈরি করাও জরুরী কারণ আগামীদিনে অনলাইন পরীক্ষার গুরুত্ব বাড়তে পারে। সরকারকে এড টেক প্লেয়ারদের সঙ্গে মিলে একটি শক্ত পরিকাঠামো তৈরি করতে হবে। মহামারী পরিস্থিতিতে অ্যাড টেকের ভূমিকা কতটা গুরুত্বপূর্ণ সেটা কারোরই অজানা নয়। তাই অ্যাড টেককে হাতিয়ার করেই শিক্ষা প্রণালীকে আরও সুদৃঢ় করে তুলতে হবে এবং সেই সঙ্গে শিক্ষাকে সকলের কাছে পৌঁছে দিতে হবে। একইসঙ্গে উচ্চশিক্ষায় উদারীকরণ আর উদ্ভাবনকে উৎসাহ দেওয়াও গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।