সংক্ষিপ্ত
স্ট্রবেরি চাষে ৪০ শতাংশ থেকে ৫০ শতাংশ পর্যন্ত ভর্তুকিও পাওয়া যায়। যা খরচ হয় সেই খরচের ৩ গুণ মুনাফা হয়।
চাকরির পাশাপাশিন যদি একটা ব্য়বসা করেন তাহলে মন্দ কি। করোনা পরিস্থিতিতে যেভাবে মানুষ চাকরি হারিয়েছে, মাস মাইনেতে কাঁচি চলেছে সেই দিকটাকে মাথায় রেখে চাকরির সঙ্গে সাইড ইনকামের একটা পথ খুলে রাখা দরকার। আপনি চাইলে কিন্তু স্ট্রবেরি ব্য়াবসার মাধ্যমে নিজের স্টার্টআপ বিজনেস শুরু করতে পারেন। এই ব্যবসা কিন্তু বেশ লাভবান। মাসে প্রায় ১ লাখ টাকা উপার্জনের সুযোগ পাবেন যা হয়তো আপনি চাকরি করে উপার্জন করতে পারেন না। অনেকে আবার স্টার্ট বিজনেস শুরুর আগে রিক্স ফ্যাক্টরটা নিয়ে একটু ভয় পান। এই বিষয় একটা কথা বলে রাখা ভাল, স্ট্রবেরি চাষে সেরকম কোনও রিক্স ফ্যাক্টর নেই। আপনার যদি পর্যাপ্ত জমি থাকে তাহলে লোক রেখে এই স্ট্রবেরি চাষ (Strawberry Cultivation) করাবেন। সেখান থেকেই মোটা টাকা উপার্জনের সুযোগ পাবেন। বর্তমানে উন্নত প্রয়ুক্তির যুগে পুরনো ধাঁচে চাষবাস ছেড়ে বিভিন্ন নতুন ধরনের জিনিস চাষের ব্যবসা করা অত্যন্ত লাভজনক বলে মনে করছেন কৃষি বিশেষজ্ঞরা। আজকাল বহু উচ্চশিক্ষিত মানুষ চাষবাস সংক্রান্ত ব্যবসা করে মাসে মোটা টাকা উপার্জন করছেন।
বাজারে স্ট্রবেরির চাহিদা বরাবরই বেশি। এই চাষে কম পুঁজি বিনিয়োগের মাধ্যমে মোটা টাকা উপার্জনের সুযোগ রয়েছে। নৈনিতাল, দেরাদুন, হিমাচলপ্রদেশের মতো পাহাড়ি জায়গায় স্ট্রবেরি চাষ করা হয়ে থাকে। এই স্ট্রবেরি চাষের জন্য প্রয়োজন হয় বেলে মাটি বা দৌঁআশ মাটির। এর চারা বপনের সঠিক সময় হল ১০ সেপ্টেম্বর থেকে ১৫ অক্টোবর। এক্ষেত্রে মনে রাখতে হবে তাপমাত্রা ৩০ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেডের বেশি হওয়া যাবে না। এই জন্যই পাহাড়ি এলাকা ছাড়া স্ট্রবেরি চাষ সম্ভব নয়। আপনি যদি পাহাড়ি এলাকার বাসিন্দা হন আর ১ একর জমি তাকে তাহলেই আপনি এই চাষের ব্যবসা শুরু করতে পারেন। এই চাষের জন্য সবচেয়ে ভাল পদ্ধতি হল পলি হাউজ পদ্ধতি। ফসল সুরক্ষিত রাখতে রোদ এবং তুষার ঝড় থেকে বাঁচাতে পলি টানেল পদ্ধতিও অবলম্বন করা যেতে পারে। স্ট্রবেরি চাষ একধরনের আধুনিক চাষ এবং এতে খুব কম খরচের প্রয়োজন হয়। এই চাষের জন্য কম সেচ কার্যের প্রয়োজন হয়।
আরও পড়ুন-15 Christmas Business Ideas-শুরুটা করুন ছোট ব্যবসা দিয়ে, আর বড়দিনে হয়ে উঠুন বড় ব্যবসায়ী
বিভিন্ন রাজ্যের উদ্যান ও কৃষি বিভাগ থেকে স্ট্রবেরি চাষে অনুদানও দেওয়া হয়। এক্ষেত্রে প্লাস্টিক মালচিং, ড্রিপ ইরিগেশন, স্প্রিংকলার সেচ ইত্যাদিতে ৪০ শতাংশ থেকে ৫০ শতাংশ পর্যন্ত ভর্তুকিও পাওয়া যায়। রাজ্য অনুযায়ী কৃষি বিভাগের সাহায্য নেওয়া যাবে। বাজারে এটি ৩০০ থেকে ৬০০ টাকায় বিক্রি হয়।উল্লেখ্য,স্ট্রবেরি চাষে যা খরচ হয় সেই খরচের ৩ গুণ মুনাফা হয়।