সংক্ষিপ্ত

 ফের মধ্যবিত্তের হেঁশেলে আগুন। এবার থেকে নিত্য প্রয়োজনীয় খাদ্য সামগ্রী কিনতে আরও বেশি টাকা খরচ হবে। জিএসটি বৃদ্ধির বিষয় নিয়ে বড়সড় ঘোষণা করেছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। ১৮ জুলাই থেকেই নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের নয়া দাম কার্যকর হবে।  অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামনের সভাপতিত্বে ৪৭ তম জিএসটি বৈঠকে এই নয়া সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তিনি জানিয়েছিলেন, ১৮ জুলাই সোমবার থেকেই নতুন পণ্য এবং পরিষেবার উপর জিএসটি হার বাড়বে। কী কী রয়েছে সেই তালিকায়। দই, লস্যি,পনির, বাটার, দুধ, প্যাকেটজাত দুগ্ধ, গমের আটা, মধু, পাপড়, মাছ, মাংস (ফ্রোজেন), মুড়ি, গুড়ের মতো প্রি-প্যাকেজড লেবেলহীন কৃষিপণ্যের দাম বাড়তে চলেছে।

অগ্নিমূল্য বাজারে  যেন আগুন লেগেছে। নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের দাম হু হু করে বেড়েই চলেছে। সোমবার থেকেই হু হু করে দাম বাড়তে চলেছে খাদ্যদ্রব্য সহ নানা জিনিসের। ফের মধ্যবিত্তের হেঁশেলে আগুন। এবার থেকে নিত্য প্রয়োজনীয় খাদ্য সামগ্রী কিনতে আরও বেশি টাকা খরচ হবে। জিএসটি বৃদ্ধির বিষয় নিয়ে বড়সড় ঘোষণা করেছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। ১৮ জুলাই থেকেই নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের নয়া দাম কার্যকর হবে।  অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামনের সভাপতিত্বে ৪৭ তম জিএসটি বৈঠকে এই নয়া সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তিনি জানিয়েছিলেন, ১৮ জুলাই সোমবার থেকেই নতুন পণ্য এবং পরিষেবার উপর জিএসটি হার বাড়বে। কী কী রয়েছে সেই তালিকায়। দই, লস্যি,পনির, বাটার, দুধ, প্যাকেটজাত দুগ্ধ, গমের আটা, মধু, পাপড়, মাছ, মাংস (ফ্রোজেন), মুড়ি, গুড়ের মতো প্রি-প্যাকেজড লেবেলহীন কৃষিপণ্যের দাম বাড়তে চলেছে।

এই প্রথমবারের মতো জিএসটি কাউন্সিলের বৈঠকে দুধের পণ্যগুলিকে জিএসটি আওতায় আনা হয়েছে।  যার ফলে দুগ্ধজাত পণ্যের উপর ৫ শতাংশ জিএসটি ধার্য করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। টেট্রা প্যাক দই, লস্যি, বাটার মিল্কের দাম বাড়বে।  স্টেশনারি আইটেমেরও দাম বাড়বে। যেমন ব্লেড, কাঁচি, পেন্সিল শার্পনার, চামচ, কাঁটা চামচ, স্কিমার্স, কেক সার্ভার ইত্যাদির উপর আগে ১২ শতাংশ জিএসটি ছিল, যা বেড়ে এখন ১৮ শতাংশ হতে চলেছে। দাম বাড়ার কথা শুনেই যেন পকেটে কোপ পড়েছে মধ্যবিত্তের। অর্থনৈতিক লড়াই যখন তীব্রতর হচ্ছে, তখনই সব জিনিসপত্রের দামও চড়া হারে বাড়ছে।

 

 

নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের পাশাপাশি  হাসপাতালের খরচও  বাড়ছে।  এখন থেকে হাসপাতালে চিকিৎসার জন্যও অনেকে বেশি টাকা খরচ হবে সাধারণ মানুষের। আইসিইউ ছাড়া বাকি সবধরণের কক্ষ  যেগুলির ভাড়া প্রতিদিন প্রায় ৫ হাজার টাকার বেশি, এবার থেকে সরকারকে ৫ শতাংশ হারে জিএসটি দিতে হবে। এর আগে হাসপাতালে এই  জিএসটি হার প্রযোজ্য ছিল না। এখানেই শেষ নয়, হোটেলের ভাড়াও বাড়ছে। যেই হোটেলের ভাড়া হাার টাকা কিংবা অনেক বেশি এবার থেকে সেই হোটেলের রুমেও আপনাকে জিএসটি দিতে হবে। এতদিন পর্যন্ত ১০০০ টাকা পর্যন্ত রুম জিএসটি-র আওতার বাইরে ছিল। এবার সেখানেও ১২ শতাংশ জিএসটি দিতে হবে । বাড়তে চলেছে ইলেকট্রিক পণ্যের দাম। এলইডি লাইট, ল্যাম্প কিনতে ১৮ শতাংশ করে জিএসটি দিতে হবে। চেকবুক ইস্যু করার জন্য ব্যাঙ্ক আগে যে পরিষেবা কর নিত, এবার তার জায়গায় ১৮ শতাংশ করে জিএসটি নেবে। তবে শুধু দাম বাড়াই নয়, কিছু জিনিসের দামও কমছে। জিএসটি কাউন্সিল রোপওয়ের মাধ্যমে যাত্রী ও পণ্য পরিবহনের উপর জিএসটি হার ১৮ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৫ শতাংশ করেছে। এছাড়াও স্প্লিন্ট ও অন্যান্য ফ্র্যাকচার ডিভাইস, বডি প্রস্থেসিস, বডি ইমপ্লান্ট, ইন্ট্রা ওকুলার লেন্স ইত্যাদির উপর জিএসটি কমাচ্ছে। ১৮ জুলাই থেকে এর উপর ৫ শতাংশ করে  জিএসটি প্রযোজ্য হবে, যা আগে ১২ শতাংশ করে প্রযোজ্য ছিল। প্রতিরক্ষা বাহিনীর জন্য আমদানি করা কিছু জিনিসের উপর ১৮ জুলাই থেকে আর জিএসটি প্রযোজ্য হবে না। সারা দেশে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের দাম বাড়ায় পকেটের বোঝা আরও  বাড়তে চলেছে সাধারণ মানুষের।