সংক্ষিপ্ত
মোবাইলের সিমকার্ড যেমন পোর্ট করান, স্বাস্থ্যবীমাও সেইভাবে পোর্ট করাতে পারবেন। অর্থাৎ আপনার বর্তমান বীমা কোম্পানি থেকে যদি আপনি আপনার প্রাপ্য সুবিধাটুকু না পান সেক্ষেত্রে সহজেই বীমা পোর্ট করে নিতে পারেন। সেই জন্য কয়েকটি ধাপ আপাকে মেনে চলতে হবে।
প্রতিটি সচেতন নাগরিকই স্বাস্থ্যবিমা (Health Insurance) নিয়ে খুবই সচেতন। চাকুরিজীবী মানুষ থেকে ব্যবসায়ী এমনকী নিম্নআয়ের ব্যক্তিরাও যথাসাধ্য চেষ্টা করে থাকেন স্বাস্থ্যবীমা তৈরির জন্য। যে কোনও কঠিন পরিস্থিতিতেই চটজলদি পকেট থেকে টাকা বেড় করা অনেকসময় অসুবিধা হয়ে পড়ে। সেই রকম পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্যবীমাই একমাত্র আপনাকে বিশেষভাবে সাহায্য করতে পারে। তাই বিশেষজ্ঞরা সবসময় পরামর্শ দিয়ে থাকেন যাতে প্রত্যেকে স্বাস্থ্যবীমাটা (Health Insurance) নিজেদের ভবিষ্যৎ সুরক্ষিত রাখতে তৈরি করে রাখেন। তাহলে আপৎকালীন পরিস্থিতিতে কখনও দিশেহারা হতে হবে না। আর আজকের দিনে যে কোনও সময় অত্যন্ত সহজে বীমা পোর্ট (Insurance Port) করারও সুযোগ পেয়ে যাবেন।
মোবাইলের সিমকার্ড যেমন পোর্ট করান, স্বাস্থ্যবীমাও সেইভাবে পোর্ট করাতে পারবেন। অর্থাৎ আপনার বর্তমান বীমা কোম্পানি (Insurance Company) থেকে যদি আপনি আপনার প্রাপ্য সুবিধাটুকু না পান সেক্ষেত্রে সহজেই বীমা পোর্ট করে নিতে পারেন। সেই জন্য কয়েকটি ধাপ আপাকে মেনে চলতে হবে। যেমন কোন বীমা কোম্পানিতে (Insurance Company) পোর্ট করাতে চান সেটা সবার আগে ঠিক করতে হবে। উদাহরণস্বরুপ বললে, বর্তমান আপনি একটি বীমা কোম্পানির আওতায় স্বাস্থ্যবীমা (Health Insurance) করিয়েছেন। কিন্তু সেক্ষেত্রে নানারকম অসুবিধার সম্মুখীন হচ্ছেন। সেই রকম পরিস্থিতিতে চটজলদি আপনাকে আপনার মনমতন আরেকটি বীমা কোম্পানি বেছে ফেলতে হবে। তারপর বর্তমান বীমা কোম্পানির মেয়াদ শেষের আগে ৪০ থেকে ৫০ দিন যখন বাকি থাকছে তখন নতুন বীমা কোম্পানিতে আপনার স্বাস্থ্যবীমা পোর্ট করানোর জন্য আবেদন করতে হবে।
আরও পড়ুন-অতিমারি পরিস্থিতিতে সাধারণকে করে সম্পূর্ণ ছাড় দেওয়া হোক, আর্জি সুব্রমনিয়ম স্বামীর
বর্তমান বীমা কোম্পানি থেকে নতুন বীমা কোম্পানিতে স্বাস্থ্যবীমা পোর্ট করানোর জন্য প্রথমে আবেদন করতে হবে। এরপর নতুন কোম্পানির তরফে আপনাকে পোর্টের জন্য নির্দিষ্ট ফর্ম পাঠানো হবে। সেই ফর্মটি ঠিক মত পূরণ করে জমা করতে হবে। সেখানে নিজের সমস্ত তথ্য এবং বর্তমান বীমা কোম্পানির সমস্ত তথ্য ঠিকমত দিতে হবে। তারপর ফর্মটি জনা দিতে হবে। উল্লেখ্য,স্বাস্থ্যবিমা নবীকরণ করার জন্য নির্দিষ্ট নোটিশ, এছাড়া আগের বছরের পলিসি শিডিউল প্রয়োজন। এছাড়া যদি নো ক্লেইম বোনাস ক্লেইম করতে হয় তবে তার জন্যও দরকার ঘোষণাপত্র। স্বাস্থ্য বীমা পোর্ট করানোর ক্ষেত্রে একটা বিষয় মাথায় রাখবেন, কেবলমাত্র সেই সমস্ত পলিসিই পোর্ট করা যাবে, যেগুলি চলছে। যে পলিসিগুলি আটকে গিয়েছে সেগুলি পোর্ট করা যাবে না। পোর্ট করার পর ৩০ দিনের ওয়েটিং পিরিয়ড থাকবে। পুরনো অসুখের জন্য কিংবা বিশেষ কোনও অসুখের জন্য ওয়েটিং পিরিয়ড এমনকি আগের কোম্পানির নো ক্লেইম বোনাসও আপনি ট্রান্সফার করতে পারবেন।