সংক্ষিপ্ত
এবারের দোল উৎসব ১৮ মার্চ, শুক্রবার। সরকারি, কেন্দ্রীয় সরকার ও অনেক বেসরকারী অফিসেই শনিবার ও রবিবার ছুটি থাকে। সেই হিসাবে আগামী দোল উৎসবে একটানা তিন দিন ছুটি যা ঘুরতে যাওয়ার একদম মোক্ষম সময়। কিন্তু অনেক সময়ই ঘুরতে যাওয়ার ক্ষেত্রে বাঁধ সাজে ট্রেনের টিকিট। এবার সেই সমস্যাও হবে দূর। টিকিটের ঝঞ্ঝাট থেকে যাত্রীদের রেহাই দিতে বিশেষ পদক্ষেপ নিল ভারতীয় রেল। চলবে হোলি স্পেশাল ট্রেন।
দোল, হোলি (Holi) বা বসন্ত উৎসব, যেটাই বলা হোক না কেন, রঙের উৎসবে মনেও লাগে বসন্তের রং। আর এই উৎসবের মরশুমে যদি একটানা লম্বা একটা ছুটি পাওয়া যায় তাহলে তো একেবারে পোয়া বারো। ব্যস্ত জীবনের একঘেয়েমিতাকে কাটাতে দু-তিন দিনের জন্য শর্ট ট্রিপে ঘুরে আসতে কে না চায়...আর এবারের দোল উৎসব (Holi) ১৮ মার্চ, শুক্রবার। সরকারি, কেন্দ্রীয় সরকার ও অনেক বেসরকারী অফিসেই শনিবার ও রবিবার ছুটি থাকে। সেই হিসাবে আগামী দোল উৎসবে একটানা তিন দিন ছুটি যা ঘুরতে যাওয়ার একদম মোক্ষম সময়। কিন্তু অনেক সময়ই ঘুরতে যাওয়ার ক্ষেত্রে বাঁধ সাজে ট্রেনের টিকিট (Train Ticket)। এবার সেই সমস্যাও হবে দূর। টিকিটের ঝঞ্ঝাট থেকে যাত্রীদের রেহাই দিতে বিশেষ পদক্ষেপ নিল ভারতীয় রেল (Indian Rail)।
বসন্ত উৎসবে অনেকেই ছোট খাটো ট্যুরের মধ্যে দীঘাকে বেছে নেয়। তাই প্রতিবারের মত এবারেও দোলের আগে দিঘা যাওয়ার জন্য হাওড়া-দিঘা-হাওড়া ট্রেন চালু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দক্ষিণ পূর্ব রেল। প্রসঙ্গত, প্রতি বছরের মতো এবছরও দোলের আগে দিঘা যাওয়ার জন্য হাওড়া-দিঘা-হাওড়া ট্রেন চালু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দক্ষিণ পূর্ব রেল। শুক্রবার দক্ষিণ পূর্ব রেলের (South Eastern Railway) তরফ থেকে একটি নির্দেশিকা জারি করা হয়। সেই নির্দেশিকা অনুযায়ী, দোলের সময় যাত্রীদের ভিড় স্বাভাবিকভাবেই অনেকটা বেড়ে যায়। সেই চাপ কমাতেই হাওড়া-দিঘা-হাওড়া রুটে বিশেষ ট্রেন চালু করার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। টিকিট কাউন্টারের পাশাপাশি অনলাইনে টিকিট কাটার ব্যবস্থাও করা হবে বলে জানিয়েছে দক্ষিণ পূর্ব রেল। তবে তৎকাল ও কোনও বিশেষ ছাড়ের ব্যবস্থা থাকবে না।
দক্ষিণ-পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক কে এস আনন্দ জানিয়েছেন, দোলের ঠিক আগের দিন অর্থাৎ ১৭ মার্চ রাত্রি ২ টো বেজে ৪৫ মিনিটে হাওড়া স্টেশন থেকে ছাড়বে দীঘা যাওয়ার স্পেশাল ট্রেন। ১৮ ও ১৯ তারিখেও পাওয়া যাবে এই স্পেশাল ট্রেনের সুবিধা। দিঘা থেকে ফেরার ট্রেন রয়েছে সন্ধ্যা ৬ টা বেজে ৪৫ মিনিটে। সাঁতরাগাছি, উলুবেড়িয়া, মেচেদা, তমলুক, কাঁথি স্টেশনে এই হোলি স্পেশাল ট্রেন। শুধু দক্ষিণ পূর্ব রেলওয়েই নয়, উত্তরপূর্ব রেলওয়ের তরফেও চালানো হচ্ছে বিশেষ ট্রেন। আনন্দ বিহার টার্মিনাল থেকে মুজাফফরপুর যাওয়ার জন্য একটি বিশেষ ট্রেন ঘোষণা করা হয়েছে। উল্লেখ্য, খুব শীঘ্রই রেলে ফিরছে বেডিং পরিষেবা।