সংক্ষিপ্ত
একসময় পাহাড়ের বুকে চলা আন্দোলন, অতিমারি কোভিড পরিস্থিতি আর সেই সঙ্গে আবহাওয়ার বদলে বারংবার বিপর্যস্থ হয়েছে উত্তরবঙ্গের চা শিল্প। এক রামে রক্ষে নেই, সঙ্গে আবার রাশিয়া -ইউক্রেন যুদ্ধকালীন পরিস্থিতির জেরে ফের একবার সমস্যায় পড়েছে চা শিল্প। রফতানি বাজারে তৈরি হয়েছে চরম অনিশ্চয়তা। এমতাবস্থায় চা শিল্পকে দেওয়া পুরনো ছাড়ের মেয়াদ বাজেটে আরও এক বছর বাড়িয়েছে রাজ্য। এর ফলে কিছুটা হলেও স্বস্তি ফিরেছে সংশ্লিষ্ট মহলে।
১১ মার্চ পেশ হয়েছে রাজ্যের বাজেট (State Budget)। আর এই বাজেটে বেশ কিছুটা স্বস্তি পেয়েছে চা শিল্প (Tea State)। একসময় পাহাড়ের বুকে চলা আন্দোলন, অতিমারি কোভিড পরিস্থিতি আর সেই সঙ্গে আবহাওয়ার বদলে বারংবার বিপর্যস্থ হয়েছে উত্তরবঙ্গের চা শিল্প। এক রামে রক্ষে নেই, সঙ্গে আবার রাশিয়া -ইউক্রেন যুদ্ধকালীন পরিস্থিতির জেরে ফের একবার সমস্যায় পড়েছে চা শিল্প (Tea State)। রফতানি বাজারে তৈরি হয়েছে চরম অনিশ্চয়তা। এমতাবস্থায় চা শিল্পকে দেওয়া পুরনো ছাড়ের মেয়াদ বাজেটে (State Budget) আরও এক বছর বাড়িয়েছে রাজ্য। এর ফলে কিছুটা হলেও স্বস্তি ফিরেছে সংশ্লিষ্ট মহলে। এতদিন পর্যন্ত প্রতি কেজি কাঁচা চা পাতায় ১২ পয়সা করে গুনতে হত বাগান মালিকদের। সেই সঙ্গে চা শিল্পের মুনাফায় ৩০ শতাংশ থেকে ৬০ শতাংশ কৃষি আয়কর হিসাবে ধার্য করা হত। উল্লেখ্য, গত তিন বছর ধরে এই সমস্ত ক্ষেত্রেই ছাড় দিয়ে আসছে রাজ্য।
বলা বাহুল্য, এবারের রাজ্য বাজেটে সরকার নতুন করে কোনও কর তো চাপায়ইনি, বরং আগামী অর্থবর্ষের জন্যও এই সব কর ও সেস মকুবের কথা জানানো হয়েছে রাজ্যের তরফে। চা বাগান মালিকদের সংগঠন ইন্ডিয়ান টি অ্যাসোসিয়েশনের (ITA) চেয়ারপার্সন নয়নতারা পালচৌধুরী এবং সেক্রেটারি জেনারেল অরিজিৎ রাহা জানান, উৎপাদন খরচ অনেকটাই বেড়ে গিয়েছে। চা শিল্প ইদানীং কার্যত লোকসানেই চলছে। এই অবস্থায় ওই সেস ছাড় ও কর মকুবের জন্য তাঁরা আগেই আর্জি জানিয়েছিলেন। রাজ্যের এই সিদ্ধান্তে বাগানগুলির খরচের বোঝা এবার খানিকটা কমবে। অন্যদিকে ক্ষুদ্র চা চাষিদের সংগঠন সিস্টা-র প্রেসিডেন্ট বিজয়গোপাল চক্রবর্তীর দাবি, প্রথমবার আলাদা করে তাঁদের কথা উল্লেখ করা হয়েছে বাজেটে। ২০১৯-২০ থেকে সেসে ছাড় ও কর মকুবের সুবিধা দিচ্ছে রাজ্য। এতে বিশেষত উপকৃত হবেন উত্তরবঙ্গের ক্ষুদ্র চা চাষিরা। অতিমারি করোনা পরিস্থিতিতে তাঁরা ভীষণভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। সেই সঙ্গে খরচ বৃদ্ধির কথাও স্বীকার করে নিয়েছেন তিনি।
এবছরের শীতের মেয়াদ দীর্ঘদিন থাকায় এই মরসুমে ভাল মানের চায়ের উৎপাদন স্বাভাবিকের চেয়ে প্রায় ৫০ শতাংশ পর্যন্ত কম হয়েছে। অথচ এই চায়ের দামই বাজারে সবচেয়ে বেশী হয়ে থাকে। উৎপাদন কমার ফলে স্বাভাবিকভাবে সেই প্রভাব দেখা যাবে ব্যবসায়িক ক্ষেত্রেও। তবে রাজ্য যে সেস ও কর মকুবের সিদ্ধান্ত নিয়েছে তাতে চা চাষিদের সুবিধাই হবে। চা শিল্পের সহ্গে জড়িত একাংশের মতে, জিটিএ-র ভোট আসন্ন। তার আগে ছাড় বজায় রাখার বার্তার আলাদা তাৎপর্য আছে। তবে ইতিবাচক দিক হিসাবে উঠে এসেছে তরাই-ডুয়ার্সের ছোট বাগান ও বটলিফ প্লান্টগুলির সুবিধালাভের কথা।