সংক্ষিপ্ত
মোদী সরকার আজ থেকে প্রায় ৫ বছরকে আগে যে ক্যাশলেস ইকোনমির ডাক দিয়েছিলেন আজ সেটা কার্যত সফলের পথে। তবে অনলাইন লেনদেনেও রয়েছে প্রতারিত হওয়ার ঝুঁকি। কীভাবে সেই ঝুঁকি এড়াবেন রইল সেই তথ্য।
উন্নত ভারত গড়ার লক্ষ্যে মোদী সরকার(Modi Govt) ডিজিটাল ইন্ডিয়া গড়তে বদ্ধপরিকর। ক্যাশলেস লেনদেনের জন্যই বেড়েছে ডিজিটাল পেমেন্টের চাহিদা। বিশেষ করে করোনা পরিস্থিতিতে বেশির ভাগ মানুষকেই অনলাইন লেনদেনের বিষয়টি রপ্ত করতে হয়েছে। উল্লেখ্য, মোদী সরকার আজ থেকে প্রায় ৫ বছরকে আগে যে ক্যাশলেস ইকোনমির ডাক দিয়েছিলেন আজ সেটা কার্যত সফলের পথে। আর এই সাফল্যের পিছনে করোনার অবদান কিন্তু কোনও অংশে কম নয়। প্যান্ডেমির পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে সিংহভাগ মানুষেরই ভরসা ছিল অনলাইন পেমেন্টের (Online payment) ওপর। একদিকে যেমন ক্রেডিট কার্ড, ডেবিট কার্ড ছিল তেমনই অন্যদিকে ছিল বিভিন্ন অনলাইন পেমেন্টের অ্যাপ যেমন-পেটিএম, গুগল পে, ফোন পে-র মত অনেক কিছু যেগুলোর মারফত আজ রমরমিয়ে চলছে অনলাইন লেনদেন(Online Transaction) পরিষেবা। তবে অনলাইন পেমেন্টের যেমন সুবিধা রয়েছে তেমনই রয়েছে বেশ কিছু অসুবিধাও। অনলাইন পেমেন্ট পরিষেবা যেমন মানুষকে অনেক সুবিধা প্রদান করছে ঠিক তেমনই সাইবার ক্রাইম বা প্রতারণার একটা ভয় কিন্তু থেকেই যায়। বিভিন্ন সময় এই ধরনের খবর উঠে আসে সংবাদের শিরোনামে।
অনলাইন পেমেন্টের জন্য গ্রাহকের ব্যাঙ্ক ডিটেইলস পূরণ করার প্রয়োজন পড়ে। সরাসরি ব্যাঙ্কের সঙ্গে অনলাইন পেমেন্ট অ্যাপগুলোর সংযোগ সাধন করা হয়। সেক্ষেত্রে বিভিন্ন অনলাইন সাইট যেমন ওএলএক্স বা অন্য়ান্য সাইটে যেখানে অনলাইন পেমেন্ট করা হয়ে থাকে সেখানে বিভিন্ন সময় প্রতারণার স্বীকার হয় গ্রাহকরা। অনলাইন প্রতারণার মত এই রকম কঠিন পরিস্থিতিতে বাঁচবেন কি করে...এই ধরনের প্রতারণার ফাঁদ থেকে বাঁচকতে কয়েকটি নিয়ম কানুন অবশ্যই মেনে চলতে হবে। আসুন তাহলে দেখে নেওয়া যাক কী করবেন আর কী করবেন না।
আরও পড়ুন-Paytm New Service-আপনার ফোনে পেটিএম থাকলে পেয়ে যাবেন এই বিশেষ পরিষেবাটি
আরও পড়ুন-Google Pay বা PhonePe ব্যবহার করেন, তাহলে UPI পেমেন্ট করার সময় এই ৫টি জিনিস মাথায় রাখুন
অনেক সময় মোটা অঙ্কের ক্যাশব্যাকের অফারের ফাঁদে পা দিয়ে অনলাইন প্রতারণার স্বীকার হয় গ্রাহক। লটারি জেতার নাম করে বা অন্যান্য পুরস্কার জেতার নাম করে ক্যাশব্যাকের মত ফাঁদ পেতে গ্রাহকদের প্রতারণা করা হয়। এক্ষেত্রে কায়দা করে UPI পিন গ্রাহকের থেকে আদায় করেই ফাঁকা করে দেয় ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের টাকা। তাই এই ধরনের প্রলোভোন যুক্ত ফোনের জালে কখনও পা দেবেন না।
অনেক সময় ক্রেডিট লিমিড আপগ্রেডের এসএমএস আসে। আর সেই এসএমএস মারফত গ্রাহকের ব্যাঙ্ক ডিটেইলস জানতে চাওয়া হয়। এই ধরনের এসএমএস এলে সেটি আগে ডিলিট করুন। ভুলেও প্রতারকের জালে পা দেবেন না। তাহলেও নিঃস্ব হয়ে যাবে পুরো ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট।
প্রতারক অনেক সময় আবার রক্ষকই ভক্ষকের মত ভূমিকা পালন করে থাকে। আপনার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টকে সুরক্ষিত রাখতে চেয়ে একটি মেসেজ পাঠায়। সেখানে বলা হয়, আপনার অ্যাকাউন্ট নাকি মোটেই সুরক্ষিত নেই। তাই এখচি ওটিপি পাঠানো হচ্ছে সেটা যেন তাদেরকে পাঠান হয়। ভুলেও এই ধরনের কোনো ওটিপি ফরওয়ার্ড করবেন না। তাহলেই কিন্তু আপনার জীবনে ঘনিয়ে আসবে বিপদের কালো মেঘ।
সিমকার্ড রেডিস্ট্রেশনের নামেও প্রতারণার ফাঁদ পাতে প্রতারকরা। এই পদ্ধতিটা অবশ্য আজ অনেকেরই জানা। এই পদ্ধতির মাধ্যমে সিম ডিটেইলস চেয়ে গ্রাহকের ব্যাঙ্ক থেকে টাকা হাতিয়ে নেয়। তাই এই ধরনের এসএমএসএলে সযত্নে ,সেটিকে এড়িয়ে চলুন। অনলাইন প্রতারণার হাত থেকে বাঁচতে এই টোটকা গুলো অবশ্যই মেনে চলুন।