সংক্ষিপ্ত

আজকাল বিভিন্ন ব্যাঙ্ক সহ এনবিএফসি-র অধীনস্থ সংস্থা গুলো স্বর্ণ ঋণ দিয়ে থাকে। গোল্ড নেওয়ার জন্য কেওয়াইসি বাধ্যতামূলক

আজকের দিনে অনেক মানুষই বিভিন্ন ধরনের লোনের বিনিময়ে অনেক দরকারী চাহিদাটুকু মিটিয়ে নেয়। এই ধরনের লোনের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল গোল্ড লোন। অর্থাৎ সোনা বন্দক রেখে যে লোন নেওয়া হয় সেই লোনকেই বলা হয় গোল্ড(Gold Loan) লোন। আর এই গোল্ড লোনের ক্ষেত্রে গ্রাহকরা অনেক সুবিধা পেয়ে থাকেন। এই লোনের ওপর বিভিন্ন ধরনের অফারও দেওয়া হয়ে থাকে। যারা গোল্ড লোন নিতে চান তাঁদের অবশ্যই এই গোল্ড লোন সংক্রান্ত খুঁটিনাটি জানা প্রয়োজন। আজকাল বিভিন্ন বিশ্বস্ত ও ভরসাপ্রদানকারী সংস্থাগুলোর তরফে স্বর্ণ ঋণ দেওয়া হয়ে থাকে। অনেক সময়ই মানুষের কাছে কাঁচা টাকা বা সঞ্চিত অর্থ প্রয়োজনের সময় থাকে না। সেই সময় টাকা দিয়ে সমস্যা সমাধানের অন্যতম উপায় হিসাবে বেছে নেওয়া হয় স্বর্ণ ঋণকে। উল্লেখ্য, বিভিন্ন সংস্থা বিভিন্ন রকম সুদের হারে স্বর্ণ ঋণ দিয়ে থাকে(Gold Loan facilities)। প্রতিটি সংস্থার স্বর্ণ ঋণ দেওয়ার ক্ষেত্রে নিয়ম আলাদা। সংস্থার অফিসিয়াল ওয়েবসাইট থেকে সেই নির্দিষ্ট সংস্থার গোল্ড লোন বিষয়ে যথাযথ তথ্য পাওয়া যায়। 

গোল্ড লোন বিষয় একটা কথা জেনে রাখা দরকার। বর্তমানে বাজারে দুই ধরনের স্বর্ণ ঋণ রয়েছে। এর মধ্যে একটি হল ব্যাঙ্ক এবং অপরটি হল এনবিএফসি। তাই গোল্ড লোন নেওয়ার আগে সঠিকভাবে যাচাই করে দেখে নিতে হবে লোন নেওয়ার জন্য কোনটি আপনার পক্ষে সুবিধাজনক হবে। গোটা ভারত জুড়ে প্রায় অধিকাংশ ব্যাঙ্কের তরফেই স্বর্ণ ঋণ পাওয়া যায়। আইসিআইসি ব্যাঙ্ক, এইচডিএফসি ব্যাঙ্ক, স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া, পাঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্কের মত বিভিন্ন ব্যাঙ্কের তরফে গোল্ড লোন দেওয়া হয়ে থাকে। আর এনবিএফসি-র অধীনেও রয়েছে বিভিন্ন নামী দামী সংস্থা। সেই তালিকায় রয়েছে মুথুট ফিনক্রপ, মন্নাপুরম ফাইন্যআন্স, রুপেকের মত সংস্থাগুলো। ব্যাঙ্ক সহ বিভিন্ন  এনবিএফসি-র অধীনস্থ সংস্থাগুলো থেকে গোল্ড লোন নেওয়ার ক্ষেত্রে গ্রাহকরা বিভিন্ন ধরনের সুবিধা পেতে পারেন। আসুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক গোল্ড লোন থেকে কী ধরনের সুবিধা পেতে পারেন আপনি। 

গোল্ড লোন বা স্বর্ণ ঋম নেওয়ার পদ্ধতি খুব একটা কঠিন কিছু নয়। আপনার যতটা টাকার প্রযোজন ঠিক ততটা টাকার জন্যই গোল্ড লোনের আবেদন করা উচিত। বাড়ি বসে অনলাইনে দেখে নিতে হবে গোল্ড লোনের এলিজিবিলিটি ক্যালকুলেটর। উল্লেখ্য, আপনার সোনার পরিমানের ওপরই আপনি স্বর্ণ ঋণ পাবেন। লোনের ক্ষেত্রে সুদের বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। গোল্ড লোনের ক্ষেত্রে সুদের হার মোটামুটি সাধারণের নাগালের মধ্যেই থাকে। গ্রাহকের প্রয়োজনীয় টাকা এবং সময়ের ওপর নির্ভর করে সুদের পরিমান। এছাড়াও গ্রাহকের বাজেটের ওপর ভিত্তি করে গোল্ড লোনের ওপর বিভিন্ন অফারও দেওয়া হয়ে থাকে।  গোল্ড লোনের ক্ষেত্রে আরেকটি উল্লেখযোগ্য বিষয়, গোল্ড লোনের বদলে কিন্তু আপনার সোনাও সুরক্ষিত থাকে। প্রতিটি গোল্ড লোন দাতা সংস্থাগুলোই প্রতিটি গ্রাহকের সোনা সুরক্ষিত রাখার বিষয় কিন্তু অঙ্গীকারবদ্ধ। গোল্ড লোনের জন্য অনলাইন বা অফলাইন যেকোনও একটিতে আবেদন করা যায়। তবে যে পদ্ধতিতেই আবেদন করুন না কেন কেওয়াইসি ছাড়া কোথাও আবেদন করতে পারবেন না। গোল্ড নলোন নিলে সুদের টাকা জমা করাও সহজ। ইএমআই পদ্ধতিতে স্বর্ণ ঋণ পরিশোধ করার সুযোগ দেওয়া হয় গ্রাহককে। কতটা সময় ধরে সুদের টাকা জমা দেবেন সেই সময় আপনি নির্বাচন করতে পারেন।