সংক্ষিপ্ত
আইএমএফ বলেছে যে ভারতের জন্য আউটলুক ২০২২ সালে ৬.৮ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে, জুলাইয়ের পূর্বাভাস থেকে ০.৬ শতাংশ পয়েন্ট নীচে নেমেছে। দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকে প্রত্যাশিত ফলের চেয়ে খারাপ ফল দেখা গিয়েছে। তাই এবার তৃতীয় ত্রৈমাসিকে এর চেয়েও চাহিদা কম হবে বলে পূর্বাভাস আইএমএফের।
আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল বা আইএমএফ মঙ্গলবার তাদের পূর্বাভাস জানিয়েছে। আইএমএফের মতে অন্যান্য আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলির সাথে সামঞ্জস্য রেখে এই অর্থবছরের জন্য ভারতের অর্থনৈতিক বৃদ্ধির হার ৬.৮ শতাংশে নামিয়ে এনেছে। এই বছরের জুলাই মাসে, IMF ভারতের জন্য ২০২৩ অর্থ বছরে জিডিপি বৃদ্ধির ৭.৪ শতাংশ অনুমান করেছিল। এর আগে চলতি বছরের জানুয়ারিতে এই অর্থবছরে ৮.২ শতাংশ বৃদ্ধির পূর্বাভাস ছিল।
২০২১-২২ অর্থবছরে ভারতের অর্থনৈতিক বৃদ্ধি ছিল ৮.৭ শতাংশ। মঙ্গলবার প্রকাশিত তার বার্ষিক ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক আউটলুক রিপোর্টে, আইএমএফ বলেছে যে ভারতের জন্য আউটলুক ২০২২ সালে ৬.৮ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে, জুলাইয়ের পূর্বাভাস থেকে ০.৬ শতাংশ পয়েন্ট নীচে নেমেছে। দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকে প্রত্যাশিত ফলের চেয়ে খারাপ ফল দেখা গিয়েছে। তাই এবার তৃতীয় ত্রৈমাসিকে এর চেয়েও চাহিদা কম হবে বলে পূর্বাভাস আইএমএফের।
আন্তর্জাতিক স্তরে বৃদ্ধি ২০২১ সালে ৬.০ শতাংশ থেকে ২০২২ সালে ৩.২ শতাংশে এবং ২০২৩ সালে ২.৭ শতাংশে নেমে যাওয়ার পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে৷ বিশ্বব্যাপী আর্থিক সংকট এবং কোভিড-১৯ মহামারীর তীব্র পর্যায় ছাড়া ২০০১ সালের পর থেকে সবচেয়ে দুর্বল বৃদ্ধির হার এটা বলে জানাচ্ছেন বিশেষড্ঞরা।
২০২২ সালের প্রথমার্ধে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জিডিপির পতন, ২০২২ সালের দ্বিতীয়ার্ধে ইউরো এলাকার সংকোচন এবং চিনে ক্রমবর্ধমান বৃদ্ধির সঙ্গে একটানা লকডাউন ও কোভিডের প্রভাব এই বৃদ্ধির গতি হ্রাসের অন্যতম কারণ। আইএমএফের তরফে বলা হয়েছে বিশ্বের অর্থনীতি ক্রমাগত চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হচ্ছে, তিনটি শক্তিশালী শক্তির দীর্ঘস্থায়ী প্রভাব পড়েছে এর বৃদ্ধিতে। ইউক্রেনে রাশিয়ার আক্রমণ, মুদ্রাস্ফীতির চাপের কারণে জীবনযাত্রার ব্যয়বহুল সংকট, এবং চিনে মন্দা এই তিনটি কারণ।
বিশ্বব্যাংকের বার্ষিক বৈঠকের সময় প্রকাশিত WEO-তে প্রতিবেদন জানাচ্ছে বিশ্ব অর্থনীতির এক তৃতীয়াংশেরও বেশি ২০২৩ সালে সংকুচিত হবে, যখন তিনটি বৃহত্তম অর্থনীতি - মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং চিনের আর্থিক বৃদ্ধিতে অচলাবস্থাতে দেখা দেবে। চিনের বৃদ্ধির হার ৩.২ শতাংশ, যা ২০২১ সালে ৮.১ শতাংশ বৃদ্ধির হার থেকে অনেকটাই কম।
২০২১ সালে আইএমএফের প্রতিবেদন জানিয়েছিল ভারতের অর্থনীতি কোভিড -১৯ মহামারীর কারণে ৭.৩ শতাংশ সংকুচিত হয়েছে। ২০২১ সালে ৯.৫ শতাংশ ও ২০২২ সালে ৮.৫ শতাংশ বৃদ্ধি পাবে দেশের অর্থনীতির হার। ভারতের তুলনায় কম বৃদ্ধি হবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতি। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে চলতি বছরে ছয় শতাংশ এবং পরের বছর ৫.২ শতাংশ বৃদ্ধির সম্ভাবনা রয়েছে। অন্যদিকে চিনের ক্ষেত্রে আইএমএফ বলে যে ২০২১ সালে ৮ শতাংশ এবং ২০২২ সালে ৫.৬ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হবে।