সংক্ষিপ্ত

রাষ্ট্রসংঘের কাছে অভিযোগ জানিয়েছে ভারত।  ক্রিপ্টোকারেন্সি ও ডিজিটাল ক্রাউডসোর্সিং জঙ্গীদের টাকা পাঠানো ও তহবিল সংগ্রহে সাহায্য করছে। 

ডিজিটাল মুদ্রা বা ক্রিপটোকারেন্সি নিয়ে জটিলতার মেঘ ক্রমশ ঘণিভূত হচ্ছে ক্রিপটো মার্কেটে। দেশের সবচেয়ে বড় ব্যাঙ্ক রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার গভর্নর শক্তিকান্ত দাস থেকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সকলের কপালেই ক্রিপটো নিয়ে চিন্তার ভাঁজ। ক্রিপটোর রমারমার গ্রাফ  উর্ধ্বমুখী হচ্ছে দেখে রাজস্ব সচিব তরুণ বাজাজ জানিয়েছেন, সরকার এবার ডিজিটাল কয়েনকে করের আওতায় নিয়ে আসার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ইতিমধ্যে রাষ্ট্রসংঘের কাছে ভারত অভিযোগ জানিয়েছে যে,ক্রিপ্টোকারেন্সি ও ডিজিটাল ক্রাউডসোর্সিং সহ নতুন আর্থিক প্রযুক্তিগুলি জঙ্গিগোষ্ঠীগুলিকে তাঁদের তহবিল সংগ্রহ ও তা অন্যত্র পাঠাতে আরও সাহায্য করছে।  একইসঙ্গে সন্ত্রাস দমনের জন্য রাষ্ট্রসংঘের সদস্য রাষ্ট্রগুলিকে কাউন্টার ফিন্যান্সিং স্ট্রাকচার(counter-financing structure) আরও শক্তিশালী করার আহ্বান জানানো হয়েছে ভারতের তরফে।

ইউনাইটেড নেশনস সিকিউরিটি কাউন্সিলের (United Nations Security Council)জয়েন্ট মিটিং-এ ভারতের ফার্স্ট সেক্রেনারি(First Secretary) রাজেশ পারিহার জানিয়েছেন, ব্লকচেন প্রযুক্তির অপব্যবহার, ভার্চুয়াল বা ক্রিপ্টোকারেন্সি, ডিজিটাল ক্রাউডসোর্সিং, প্রিপেইড ফোন কার্ড ইত্যাদি সন্ত্রাসবাদের অর্থায়নের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে(Combating the Financing of Terrorism) বা CFT-এ বিপদের মাত্রা বাড়াচ্ছে। Terrorist Financing Threats নিয়ে বৃহস্পতিবার রাষ্ট্রসংঘে এই বৈঠক হয় । এছাড়া সিকিউরিটি কাউন্সিলের রেজুলেশন ২৪৬২ বাস্তবায়ন নিয়েও এই বৈঠকে আলোচনা হয় এই বৈঠকে। এছাড়া যে দেশগুলি ইচ্ছাকৃতভাবে জঙ্গিদের আর্থিক ভাবে লাভবান করে চলেছে ও তাদের আশ্রয় দিচ্ছে তাঁদের বিরুদ্ধেও সরব হন রাজেশ পারিহার। ক্রিপ্টোকারেন্সি নিয়ে এর আগে দেশবাসীর কাছেও মুখ খোলেন প্রধানমন্ত্রী। ভিডিয়ো কনফারেন্সে মোদী দেশবাসীর উদ্দেশে বলেন, টেকনলজি ও ডেটা নতুন অস্ত্র হয়ে উঠেছে। পাশাপাশি, যুব সমাজ যাতে ভুল প্রলোভনে পা দিয়ে নষ্ট না হয়ে যায়, তা নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী।

আরও পরড়ুন-Taxable Crypto-ক্রিপটোকারেন্সিতে বসতে পারে কর,সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হবে আগামী বাজেটে

আরও পড়ুন-Crypto risk-ক্রিপটো সংক্রান্ত কোনও সমস্যায় পাওনা যাবে না আইনি সাহায্য, জানাল RBI

আপাতত, মোদী সরকার জানিয়েছে, এটির উপর কড়া নজর রাখা হচ্ছে। এই ডিজিটাল কারেন্সিকে এখনও পুরোপুরি ছাড় দেয়নি কেন্দ্র। cryptocurrency নিয়ে কেন্দ্র শেষ পর্যন্ত কী সিদ্ধান্ত নেয় সেদিকে তাকিয়ে রয়েছেন সকলে। আপাতত, Crypto নিয়ে নানা বিভ্রান্তিমূলক ও বেশি মুনাফার অস্বচ্ছ বিজ্ঞাপন দেখানোর ফলে যুব সমাজ যাতে বিপথে চালিত না হয় তা নিশ্চিত করতে চাইছে সরকার। উল্লেখ্য, বেশ কয়েকদিন ধরেই Crypto নিয়ে ধোঁয়াশা ক্রমশ বেড়েই চলেছে। অন্যদিকে, কয়েকমাস আগে একটি সমীক্ষা দাবি করেছে, ক্রিপ্টো-মালিকানায় চিন আমেরিকার থেকেও এগিয়ে রয়েছে ভারত। চেইনালিসিস ( Chainalysis) নামের একটি সংস্থার সমীক্ষায় এই তথ্য উঠে এসেছে। পাশাপাশি জানা গিয়েছে, ক্রিপ্টো মালিকানার নিরিখে ভারত দ্বিতীয় নম্বরে। ভারতের থেকে অনেক পিছিয়ে রয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন ও চিন। 

YouTube video player