সংক্ষিপ্ত
ভারতীয় ক্লাউড স্টোরেজ পরিষেবা সংস্থা ডিজিবক্সের নয়া উদ্যেোগ। রাজ্যের তরফে নিউটাউনের বেঙ্গল সিলিকন ভ্যালিতে ডেটা ও ডেলিভারি সেন্টার খোলার জন্য সংস্থাটিকে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। আগামী ডিসেম্বর থেকে ডেলিভারি সেন্টার তৈরির কাজ শুরু হতে পারে।
ভারতীয় ক্লাউড স্টোরেজ পরিষেবা সংস্থা(Cloud Storage service Providing organization) ডিজিবক্সের নয়া উদ্যেোগ। পশ্চিমবঙ্গে ডেটা ও ডেলিভারি সেন্টার খুলতে আগ্রহী এই সংস্থা(To Open Deta And Delivery Center in WB)। ডিজিবক্সের চিফ এগজিকিউটিভ অফিসার অর্ণব মিত্র(Arnab Mitra,Chief executive Officer Of DG Box) এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছেন, রাজ্যের তরফে নিউটাউনের বেঙ্গল সিলিকন ভ্যালিতে (Newtown Bengal Silicon Velly) ডেটা ও ডেলিভারি সেন্টার খোলার জন্য সংস্থাটিকে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। হিডকোর তরফে নিউটাউনের সিলিকন ভ্যালিতে একটি ডেলিভারি ও ডেটা সেন্টার খোলার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। সেই প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতেই হিডকো এবং পশ্চিমবঙ্গের তথ্যপ্রযুক্তি দপ্তরের সঙ্গে আলোচনা শুরু করেছে ক্লাউড স্টোরেজ পরিষেবা সংস্থা ডিজিবক্স(Cloud Storage service providing Organization)। ইতিমধ্যেই বেশ কয়েক দফায় আলোচনা হয়েছে। ডেটা সেন্টার খোলার রাজ্য সরকার বা অন্য কোনও সংস্থাকে সহযোগী হিসাবে চায় ডিজিবক্স(DG Box),এমনটাই জানিয়েছেন সংস্থার চিফ এগজিকিউটিভ অফিসার অর্ণব মিত্র। ডেলিভারি ও ডেটা সেন্টার(Delivery and Deta Center) খুলতে প্রয়োজন ৫ একর জমির । চলতি বছরের মার্চেই ৬৩ একর জমির উপর ২২টি প্লটের জন্য অনলাইনে আবেদন চেয়েছে হিডকো। অর্ণব মিত্র জানিয়েছেন,একটি পূর্ণাঙ্গ ডেলিভারি সেন্টার খুলতে কমপক্ষে ৫০ কোটি টাকা বিনিয়োগের প্রয়োজন। সে ক্ষেত্রে রাজ্য সরকার বা অন্য কোনও সংস্থার সঙ্গে একজোট হয়ে এই কেন্দ্র খোলার পরিকল্পনা রয়েছে। তবে, রাজ্য সরকারের বিনিয়োগ থেকেও সস্তায় বিদ্যুৎ এবং জলের ব্যবস্থা, কম সুদে ব্যাঙ্ক ঋণের সুযোগ করে দেওয়ার জন্য রাজ্যের সহযোগিতা চেয়েছে ডিজিবক্স। রাজ্য সরকারের সঙ্গে চুক্তি হওয়ার পর আগামী ডিসেম্বর থেকে ডেলিভারি সেন্টার তৈরির কাজ শুরু করতে পারে সংস্থাটি।
আগামী পাঁচ-ছ-মাসের মধ্যে ডেলিভারি ও ডেটা সেন্টারের কাজ শেষ হয়ে গেলে বাড়বে কর্মসংস্থানের সুযোগ। ২০২৩ থেকে ২০২৫ সালের মধ্যে রাজ্যে ৮০০-১,০০০ কর্মসংস্থান হবে বলে আশাবাদী সংস্থার চিফ এগজিকিউটিভ অফিসার অর্ণব মিত্র। নিজে এই রাজ্যের সর্বোপরি কলকাতা নিবাসী বাসিন্দা হওয়ায় স্থানীয় মেধার উপরেই আমরা জোর দিতে ইচ্ছুক তিনি। তাঁর মতে এই রাজ্যে প্রতিভার কোনও অভাব নেই। ২০২০ সালের ডিসেম্বরে এই ক্লাউড স্টোরেজ সার্ভিস পরিষেবা সংস্থার উদ্বোধন করেন নীতি আয়োগের চিফ এগজিকিউটিভ অফিসার অমিতাভ কান্ত। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর আত্মনির্ভর ভারত পরিকল্পনাকে এগিয়ে নিয়ে যেতেই ভারতীয় ক্লাউড স্টোরেজ পরিষেবার সুত্রপাত। চলতি বছরের জুন থেকে বিনা খরচায় ফটো আপলোড বন্ধ করার কথা ঘোষণা করেছিল গুগল। গ্রাহকদের সেই ঘাটতি মেটাতে ডিজিবক্স কাজে আসবে বলেই দাবি কলকাতার ছেলে অর্ণব মিত্রের।
মানুষের দৈনন্দিন জীবনে ক্লাউডের গুরুত্ব অনেকটাই বেড়ে গিয়েছে। প্রয়োজনে নিজের প্রয়োজনীয় ডেটা, ছবি আপলোড করা এবং মাউসের এক ক্লিকেই তা বের করার সুযোগ দেয় এই স্টোরেজ সলিউশন। এতদিন বিদেশি সংস্থাগুলি ভারতে সেই পরিষেবা দিয়ে এলেও ডিজিবক্স সেই চাহিদা মেটানোর কাজ শুরু করেছে। বর্তমানে, নয়ডা, বেঙ্গালুরু এবং ইন্দোরে ডিজিবক্সের নিজস্ব বা কো-রিলেটেড ডেটা সেন্টার রয়েছে। ডিসেম্বরে মাত্র ৮ জন কর্মী নিয়ে শুরু করে বর্তমানে সংস্থাটির কর্মী সংখ্যা ৩৫ হয়েছে। আগামী মার্চের মধ্যে তা ১০০-য় নিয়ে যাওয়ার বিষয়ে আশাবাদী সংস্থার চিফ এগজিকিউটিভ অফিসার অর্ণব। মূলত গুগল ড্রাইভ এবং ড্রপ বক্সের মতো ক্লাউড স্টোরেজ সংস্থার সঙ্গেই প্রতিযোগিতা ডিজিবক্সের। বর্তমানে গুগল ড্রাইভ এবং ড্রপ বক্স যেখানে বিনা খরচায় যথাক্রমে ১৫ গিগাবাইট এবং ২ গিগাবাইট স্টোরেজ স্পেস দিচ্ছে, সেখানে ডিজিবক্স বিনা খরচায় দিচ্ছে ২০ গিগাবাইট স্টোরেজ । মাসিক মাত্র ৩০ টাকায় ৫ টেরাবাইট ডেটা স্টোরেজ দিচ্ছে সংস্থাটি। ইতিমধ্যেই দেশের ১৪.৬ লক্ষ ব্যবহারকারী ডিজিবক্সের পরিষেবা ব্যবহার করছেন। শীঘ্রই বিজ্ঞাপনী প্রচার শুরু করা হবে বলে জানিয়েছেন অর্ণব মিত্র।