সংক্ষিপ্ত

মেটা আয়োজিত দ্বিতীয় দফার  'Fuel For India' অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেছিলেন ঈষা ও আকাশ আম্বানি।  তাঁদের সঙ্গে কথা বলেন, মেটা-এর চিফ বিজনেস অফিসার মারনে লেভিন।

মুকেশ আম্বানির সংস্থা রিল্যায়েন্স জিও-র দায়িত্ব সামলাচ্ছেন তাঁর দুই ছেলে-মেয়ে। আকাশ আম্বানি ও ঈশা আম্বানি। সম্প্রতি মেটা (Meta) আয়োজিত দ্বিতীয় দফার  'Fuel For India' অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেছিলেন ঈষা(Isha Ambani - Director at Reliance Retail and Jio Platforms) ও আকাশ আম্বানি(Akash Ambani - Director & Head of Strategy at Jio Platforms)। তাঁদের সঙ্গে কথা বলেন, মেটা-এর চিফ বিজনেস অফিসার মারনে লেভিন। দুই তরফের কথাবার্তায় উঠে আসে কী ভাবে প্যানডেমিকের মতো কঠিন অবস্থাতেও সমান তালে বাণিজ্য চালিয়ে নিতে যেতে সাহায্য করেছে জিও মার্ট। আলোচনার সময় আম্বানিদ্বয়ের তরফে জানান হয়, ভারতে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা ৭০ কোটি ছুঁয়েছে। এর মধ্যেই বাজারের ছোট ব্যবসায়ী ও উদ্যোগপতিরা সাহায্য নিয়েছেন সোশ্যাল মিডিয়ার। তাঁদের হাত ধরে অনেকটা বদলেছে ভারতীয় বাজারের চরিত্র। আগামী দিনে জিও-র ভান্ডারে যে বিপুল উন্নতির সম্ভাবনা রয়েছে সেগুলোর কথাও উঠে আসে এই অনুষ্ঠনে। মেটার সঙ্গে জিও-র আলোচনা পর্ব মানে একটা ব্যবসায়িক আবহের আভাস কিন্তু পাওয়াই যাচ্ছে। প্রসঙ্গত, মেটার অধিনস্থ সংস্থা হোয়াটসঅ্যাপের সঙ্গে বাণিজ্যেক যোগসুত্র স্থাপন করারই প্রথম ধাপ ছিল দুই পক্ষের এই ভার্চুয়াল কমিউনিকেশন। 

আলোচনার শুরুতেই মারনে লেভিন জিও-র প্রশংসা করে বলেন, জিও-র হাত ধরে দেশের কোটি কোটি মানুষের কাছে ইন্টারনেট পৌঁছে গিয়েছে। বাণিজ্যের ক্ষেত্রেও বিস্তর সাহায্য করেছে জিও। সেই কারণেই জিও-র সঙ্গে বাণিজ্যিক গাঁটছড়া বাঁধতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে মেটা। কারন রিল্যায়েন্স জিও-র মতই তাঁদেরও লক্ষ্য সাধারণ মানুষের হাতে ক্ষমতা পৌঁছে দিতে। আর সেই বিষয়টিকে সামনে রেখেই তিনি আকাশ ও ইশাকে প্রশ্ন করেন, খুচরো বাণিজ্যের ক্ষেত্রে পার্টনারশিপের বিষয়টি তাঁরা কী ভাবে দেখছেন। সেই প্রশ্নের উত্তরে ইশা বলেন, ভারতীয় অর্থনীতির মেরুদণ্ডই হল ছোট ব্যবসায়িক সম্প্রদায়। অতিমারি করোনা পরিস্থিতিতে একটা বিষয় খুব ভালো করে নজরে এসেছে। আর সেটি হল ছোট বাণিজ্যক্ষেত্রগুলিকে আরও বেশি করে ডিজিটাল মাধ্যমে নিয়ে আসা অত্যাবশ্যক। আপাতত দেশের ৫ লক্ষের বেশি খুচরো ব্যবসায়ীর সঙ্গে কাজ করছে জিও। বলা বাহুল্য, সেই সংখ্যা প্রতিনিয়তই বাড়ছে। তাঁদের লক্ষ্য অনলাইন ও অফলাইন স্তরে জিও মার্টের সর্বোচ্চ বৃদ্ধি। একইসঙ্গে পাশাপাশি মেটার সঙ্গে পার্টানারশিপের বিষয়ে ঈশা বলেন, মেটার সঙ্গে কাজের বিষয়ে ভীষণ উৎসাহিত। সর্বোপরি, মেটার সঙ্গে যোগসুত্র স্থাপিত হলে এক দিকে যেমন ক্রেতাদের সাহায্য হবে, ঠিক তেমনই বিক্রেতাদের কাছেও বিপুল সুবিধা পৌঁছে দেওয়া যাবে। 

আরও পড়ুন-Jio Recharge Plan: জলের দরে হবে রিচার্জ, মাত্র ১ টাকার প্ল্যানে পেতে পারেন 100 MB ডেটা

আরও পড়ুন-Jio Recharge plan-সস্তার প্ল্যানেও মিলবে এসএমএস পরিষেবা,জিও নিয়ে এল ১১৯ টাকার রিচার্জ প্ল্যান

আরও পড়ুন-Mobile Subsidy-নির্দিষ্ট গোষ্ঠীর জন্য স্মার্টফোনের ওপর ভর্তুকি চালু করা উচিত,মত প্রকাশ মুকেশ আম্বানির

ব্য়বসায়িক ক্ষেত্রে নতুন বন্ধন প্রসঙ্গে আকাশ জানালেন, মেটার অধিনস্থ সংস্থা হোয়াটসঅ্যাপের সঙ্গে যদি জিও ব্যবসার ক্ষেত্রে নতুন যাত্রা শুরু করে তাহলে সামান্য একটি মেসেজের দূরত্বে থাকবেন বিক্রেতারা। আজকের দিনে উন্নত প্রযুক্তির ব্যবহার প্রায় সকলেই জানেন। আর হোয়াটসঅ্যাপ তো এখন ১৩ থেকে ৮৩ সকলেরই হাতের মুঠোয়। তাই আগামী দিনে এই বাণিজ্যিক চুক্তিতে ক্রেতা-বিক্রেতা উভয়ই লাভবান হবে বলে আশাবাদী মুকেশ পুত্র। অন্যদিকে আম্বানি কন্যা বলেন,ক্রেতাদের শুধু অর্ডার দেওয়ার অপেক্ষা। প্রয়োজনে হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে  সাপ্তাহিক বাজারও সেরে ফেলতে পারবেন ক্রেতারা।  বলা বাহুল্য, আগাী দিনে জিও-হোয়াটসঅ্যাপ বাণিজ্যিক চুক্তি আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাক্ষরিত হলে খুচরো বাজারে এক নতুন দিগন্তের উন্মোচন হবে।