সংক্ষিপ্ত

২০২২ সালের কেন্দ্রীয় বাজেট অধিবেশনে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ (Nirmala Sitharaman)এলআইসি-র আইপিও আনার খবরে শিলমোহর দিয়েছিলেন। মার্কেট বিশেষজ্ঞদের মতে, রাশিয়া-ইউক্রেনের যুদ্ধের জেরে বিশ্ব বাজারে যে ভয়াবহ প্রভাব পড়েছে, তার জেরেই এলআইসির আইপিও পিছিয়ে যেতে পারে। আগামী অর্থবর্ষ পর্যন্তও এলআইসি-র আইপিও স্থগিত রাখার প্রবল সম্ভবনা রয়েছে।

রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধের জেরে (Russia-Ukraine war)চারিদিকে একটা অস্বস্তিকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। যেমন অগ্নিমূল্য হয়েছে বাজার তেমনই দাম বাড়ারও আশঙ্কাও রয়েছে। রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের (Vladimir Putin) ইউক্রেনের বিরুদ্ধে সামরিক অভিযানের কথা ঘোষণা করেছিলেন সেই দিনই ধস নেমেছিল শেয়ার মার্কেটে। রাশিয়ান ভোদকাকে বয়কট করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডার মত দেশগুলো। অন্যদিকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র রাশিয়ার সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক বাজয় রাখছে বলে খোদ ইউক্রেন কোকাকোলা ব্র্যান্ডকে বয়কট করে দিয়েছে। এদিকে আবার দুই দেশে গম সরবরাহ প্রক্রিয়া গোটা দেশ জুড়ে ব্যহত হওয়ায় আটা ময়দার দাম বৃদ্ধির একটা সংকেত ইতিমধ্যেই পাওয়া গিয়েছে। যুদ্ধবিধ্বস্ত পরিস্থিতিতে গোটা দেশ জুড়ে বাণিজ্য পরিস্থিতি একেবারে তলানিতে এসে ঠেকেছে। আর সেই প্রভাব পড়তে পারে এলআইসি-র (LIC) আইপিও (IPO)। চলতি মাসেই আইপিও-র ময়দানে আত্মপ্রকাশ করার কথা ছিল এলআইসি-র। কিন্তু বর্তমানে যুদ্ধ পরিস্থিতিতে স্থগিত হয়ে পারে এলআইসি-র আইপিও (LIC IPO May Pospond)

প্রসঙ্গত, ২০২২ সালের কেন্দ্রীয় বাজেট অধিবেশনে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ (Nirmala Sitharaman)এলআইসি-র আইপিও আনার খবরে শিলমোহর দিয়েছিলেন। সম্প্রতি এলআইসি-র আইপিও-তে ২০ শতাংশ পর্যন্ত বিদেশী বিনিয়োগ করার সুযোগও দিয়ে দিয়েছিল কেন্দ্রীয় সরকার। কিন্তু সব কিছুতে বাঁধ সাজল রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ পরিস্থিতি। আর এর ফলে এলআইসি-র আইপিও-কে ঘিরে যে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে উৎসাহ ছিল সেগুলো এখন সবটাই অতীত হয়ে গেল। মার্কেট বিশেষজ্ঞদের মতে, রাশিয়া-ইউক্রেনের যুদ্ধের জেরে বিশ্ব বাজারে যে ভয়াবহ প্রভাব পড়েছে, তার জেরেই এলআইসির আইপিও পিছিয়ে যেতে পারে। আগামী অর্থবর্ষ পর্যন্তও এলআইসি-র আইপিও স্থগিত রাখার প্রবল সম্ভবনা রয়েছে। এলআইসি-র আইপিও থেকে ৬০ হাজার কোটি টাকা অভধি লাভের পরিকল্পনা করেছিল কেন্দ্র। কিন্তু যুদ্ধের জেরে এই পরিকল্পনা ভেস্তে গেল বলা চলে। 

আশিকা গ্রুপের প্রধান অরিজিৎ মালাকার বলেন, বর্তমানে বাজারে যে অস্থির অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে, তাতে এলআইসির আইপিও-র আত্মপ্রকাশ করলে সেটি খুব একটা লাভজনক হবে না। সেই কারণেই কেন্দ্রীয় সরকার আগামী অর্থবর্ষ অবধি এলআইসির আইপিও পিছিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বিনিয়োগকারীরাও এই রকম কঠিন পরিস্থিতিতে কোনও ঝুঁকি নিতে চাইছেন না। অন্যদিকে ইক্যুইটিমাস্টার নামক একটি গবেষণা সংস্থার সহ-প্রধান তনুশ্রী বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতে, যুদ্ধ পরিস্থিতির জেরে দেশের আর্থিক অবস্থা একেবারে নড়বড়ে হয়ে গিয়েছে। এই রকম অস্থির পরিস্থিতিতে এলআইসি-র আইপিও খুব একটা লাভজনক হবে না বলে মত প্রকাশ করেছেন তিনি।