ফ্লিপকার্টের ফুলফিলমেন্ট সেন্টার উদ্বোধন করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন পশ্চিমবঙ্গে এখন থেকে রয়েছে দেশের বৃহত্তম ফুলফিলমেন্ট সেন্টার ।

বিশ্ব বাংলা সম্মেলনের আসর থেকেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় উদ্বোধন করেন ভারতের অন্যতম ইকমার্স প্ল্যাটফর্ম ফ্লিপকার্টের ফুলফিলমেন্ট সেন্টার। নদিয়ার হরিণঘাটায় ১১০ একর এলাকায় নিয়ে এই প্যাকিং ওয়্যারহাউস পথ চলা শুরু করেছে। এখানে ১১ হাজার মানুষের প্রত্যক্ষ কর্মসংস্থার হবে বলে সংস্থার পক্ষ থেকে জানান হয়েছে। 

ফ্লিপকার্টের ফুলফিলমেন্ট সেন্টার উদ্বোধন করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন পশ্চিমবঙ্গে এখন থেকে রয়েছে দেশের বৃহত্তম ফুলফিলমেন্ট সেন্টার । এটি পশ্চিমবঙ্গের গর্ব বলেও জানিয়েছেন তিনি। পাশাপাশি তিনি ফ্লিপকার্ট কর্তৃপক্ষতে কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন তিনি। বলেছেন, এই কেন্দ্র এই রাজ্যের নারগিকদের অর্থনৈতিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা গ্রহণ করবে। 

ফ্লিপকার্ট সংস্থার সিইও কল্যাণ কৃষ্ণমূর্তি জানিয়েছেন এই পদক্ষেপ রাজ্যের ১১ হাজার প্রত্যক্ষ কর্মসংস্থান তৈরি করবে। পাশাপাশি পরোক্ষ কর্মসংস্থানও তৈরি করবে। উত্তর পূর্ব ভারতের ২০ হাজার বিক্রেতার ব্যবসায়ে সুবিধে করে দেওয়ার জন্যই এই পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। কলকাতা থেকে মাত্র ৫০ কিলোমিটার দূরে ১০০ একর জমি নিয়ে ফ্লিপকার্টের ফুলফিলমেন্ট সেন্টার তৈরি করা হয়েছে। সংস্থার পক্ষ থেকে জানান হয়েছে, গ্রাহকদের চাহিদা পুরণ করতেও সংস্থার এই পদক্ষেপ বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। হাওড়ার আমতায়ে ফ্লিপকার্টের গ্রসারি পণ্যের একটি সেন্টার তৈরি করা হয়েছে। এদিন ভার্চুয়াল মাধ্যমে সেন্টারের উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী। 

Scroll to load tweet…

সংস্থার পক্ষ থেকে জানান হয়েছে অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে সেন্টারগুলি তৈরির জন্য। ব্যবহার করা হয়েছে রোবোটিং প্যাকিজিং প্রযুক্তি। তৈরি করা হয়েছে ৯ কিলোমিটার নেটওয়ার্ক পরিবাহক বেল্ট , যাতে শিপমেন্ট চলাচলের সময় ৩৫-৫০ শতাংশ কমে যাবে। ফ্লিপকার্টের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, হরিণঘাটা কেন্দ্রটি দেশের সাপ্লাই চেইনকে আরও শক্তিশালী করে তুলবে। 

অন্যদিকে বিশ্ব বঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলন থেকেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরব হলেন দিল্লির জাহাঙ্গিরপুরীর ঘটনা নিয়ে। তিনি প্রকাশ্যে ঘটনার নিন্দা করে উত্তর দিল্লির মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশনকে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছেন। তিনি বলেন, 'আমরা বুলডোজ করতে চাই না। আমরা জনগণকে বিভক্ত করতে চাই না। আমরা ঐক্যবদ্ধ থাকলে অনেক ভালো হবে। কিন্তু আপনি যদি ভাগ হয়ে যান তাহলে নতুন করে সমস্যা তৈরি করবে।' আগেই দলের পক্ষ থেকে দিল্লির জাহাঙ্গিরপুরীর হিংসার ঘটনার তীব্র সমালোচনা করা হয়েছিল। এবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রশাসনের কাজের তীব্র সমালোচনা করেন।

অন্যদিকে জাহাঙ্গিরপুরীর ঘটনা খতিয়ে দেখার জন্য দিল্লিতে তৃণমূলর বিজেপির ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটির আদলে একটি বিশেষ প্রতিনিধি দল পাঠাচ্ছে। দলে রয়েছেন সাংসদ কাকলী ঘোষ দোস্তিদার সুখেন্দু শেখর রায়,ডেরেক ওব্রায়েন আর মহুয়া মৈত্র। তৃণমূল সূত্রের খবর জাহাঙ্গিরপুরীর অবস্থা পর্যবেক্ষণ করে তাঁরা রিপোর্ট দেবেন তৃণমূল নেতৃত্বকে। যদিও আগেই তৃণমূলের পক্ষ থেকে জাহাঙ্গিরপুরীর ঘটনার তীব্র নিন্দা করা হয়েছে। দলের পক্ষ থেকে সংখ্যলঘুদের ওপর অত্যাচার করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ তোলা হয়েছিল।