সংক্ষিপ্ত

রাজ্যের মানুষদের জন্য বিশেষ সুবিধা নিয়ে আসছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়। এই রাজ্যে প্রথমবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় চালু করতে চলেছেন ডিজিটাল লকার বা ই-লকার। আর এই লকারের মাধ্যমে এবার থেকে যাবতীয় প্রয়োজনীয় নথি  এই এখানে রাখার বিশেষ সুবিধা পাবে এই রাজ্যের নাগরিকরা। 

আমরা অনেক সময়ই আমাদের জীবনের অনেক প্রয়োজনীয় নথি বা তথ্য হারিয়ে ফেলি বা প্রয়োজনের সময় খুঁজে পাই না। যেমন ধরুন বার্থ সার্টিফিকেট বা ডেথ সার্টিফিকেট বা এমন অনেক জিনিস যেটা ছাড়া হয়ত আপনার গুরুত্বপূর্ণ কাজটাই অসম্পূর্ণ থেকে যায়। তবে এবার থেকে এই সমস্যার মুশকিল আসানের চাবিকাঠি নিয়ে এল এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় ( Mamata Banerjee)। হ্যাঁ, রাজ্যের মানুষদের জন্য বিশেষ সুবিধা নিয়ে আসছেন পশ্চিমবঙ্গের (West Bengal) মুখ্যমন্ত্রী (Chief Minister) মমতা বন্দোপাধ্যায়। এই রাজ্যে প্রথমবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় (Mamta Banerjee) চালু করতে চলেছেন ডিজিটাল লকার বা ই-লকার (e-Locker। এর মাধ্যমে এবার থেকে যাবতীয় প্রয়োজনীয় নথি (Certificate) এই লকারে রাখার বিশেষ সুবিধা পাবে এই রাজ্যের নাগরিকরা (Citizen)। 

এই রাজ্যের বাসিন্দাদের জন্য এটি নিঃসন্দেহ একটি বড় খবর।  বলা বাহুল্য, এই রাজ্যের নাগরিকদের জন্য তথা পশ্চিমবঙ্গে এমন উদ্যোগ এই প্রথমবার গ্রহণ করা হল। এর আগে কখনও নাগরিকদের এই ধরনের বিশেষ সুবিধা প্রদান করার কোনও উদ্যোগ নেওয়া হয় নি। এই লকারের সাহায্যে, নাগরিকেরা নিজেদের হারিয়ে যাওয়া যে কোনও সার্টিফিকেট বা নথি পুনরায় ডাউনলোড করার সুযোগ পেয়ে যাবে। উল্লেখ্য, এই ডিজিটাল লকার বা ই-লকার সম্পূর্ণ রাজ্য সরকার দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হবে। তাই জন্য পশ্চিমবঙ্গের নাগরিকদের নিজেদের নথি নিয়ে কোনও দুশ্চিন্তার কারন থাকবে না। সম্পূর্ণ বিশ্বাসযোগ্যাতার সঙ্গে নিজেদের প্রয়োদনীয় নথি রাজ্য সরকারের ডিজিটাল লকারে গচ্ছিত রাখার সুবিধা পাবেন। সমস্ত নথি নির্দিষ্ট একটি জায়গায় সংরক্ষিত থাকলে হারিয়ে গেলেও পরে সেটি ডাউনলোড করতে নাগরিকদের সুবিধাই হবে বলে মনে করা হচ্ছে।

সূত্র মারফৎ জানা যাচ্ছে, রাজ্য সরকারের এই  নতুন ই-লকারের সম্পূর্ণ নকশা থেকে শুরু করে লোগো সবটাই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়েরই মস্তিষ্কপ্রসূত। মমতা বন্দোপাধ্যায়ের নিজের উদ্যোগ এবং পরিকল্পনাতেই এই ডিজিটাল লকার বা ই-লকার তৈরি হয়েছে। রাজ্যসরকারের এই নয়া এই ই-লকারের নাম, বাংলার আইক্লাউড ( Banglar iCloud)। উল্লেখ্য, ই-লকারের নামকরণও নিজেই করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়। প্রসঙ্গত, ২৩ ফেব্রুয়ারি বুধবার নবান্নে ওয়েস্ট বেঙ্গল ইন্ডাস্ট্রি প্রোমোশন বোর্ডের সভায় ( West Bengal Industry Promotion Board) এই বিশেষ ঘোষণাটি করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়।

 শুধু ই-লকারই নয়, ব্যবসায়িক কাজকর্ম সহজ করার উদ্দেশ্যে একটি সমন্বিত পোর্টাল চালু করারও উদ্যোগ নিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়। কিন্তু মমতা বন্দোপাধ্যায়ের এই ঘোষণার পর প্রশ্ন উঠছে যে এই লকারের মাধ্যমে দেওয়া নথি রাজ্যের সমস্ত দফতরে গ্রহণযোগ্য হবে কিনা। সেই প্রশ্নের জবাবে মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, এই লকার সরকার দ্বারা নিয়ন্ত্রিত। তাই এই লকার থেকে ডাউনলোড করা সমস্ত সার্টিফিকেট পশ্চিমবঙ্গের সমস্ত সরকারি দফতরে স্বীকৃতি দেওয়া হবে।