সংক্ষিপ্ত

আসন্ন বাজেটে কী সিগারেটের দাম কমবে সেটাই এখন ভাবাচ্ছে বণিকসভাকে। তামাকজাত দ্রব্যে ক্ষেত্রে বেশ কিছু সুবিধা দেওয়ার জন্য কেন্দ্রকে অনুরোধ করেছে পিএইচডি চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি বা বণিকসভা। 
 

আগামী মাসেই অনুষ্ঠিত হতে চলেছে কেন্দ্রীয় বাজেট (Central Budget)। প্রত্যেকবারের মত এবারের বাজেট অর্থাৎ ২০২২ সালের বাজেটের দিকে তাকিয়ে রয়েছে মধ্যবিত্ত থেকে উচ্চবিত্ত সকলেই। এই অতিমারি করোনা পরিস্থিতি অর্থনৈতিক পরিকাঠামোর ওপর প্রভাব ফেলে। তাই এই রকম পরিস্থিতিতে কেন্দ্রের তরফে পেশ হওয়া বাজেটের প্রকৃতি ঠিক কেমন হতে চলেছে সেই দিকেই নজর থাকবে সকলের। বাজেট পেশ হওয়ার আগেই দানা বেঁধেছে একটি প্রশ্ন। আসন্ন বাজেটে কী সিগারেটের (Cigarettee) দাম কমবে সেটাই এখন ভাবাচ্ছে বণিকসভাকে (Merchant)। সুত্র মারফত জানা যাচ্ছে, কেন্দ্রের আগামী বাজেটে (Central Budget) তামাক ও তামাকজাত দ্রব্যে ক্ষেত্রে বেশ কিছু সুবিধা দেওয়ার জন্য কেন্দ্রকে অনুরোধ করেছে পিএইচডি চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি বা বণিকসভা। বাজেটের দিনক্ষণ এখনও চূড়ান্ত হয়নি। তবে আগামী ফেব্রুয়ারিতেই কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন (Nirmala Sitaraman) ২০২২-২০২৩ সালের বাজেট পেশ করবে। 

পিএইচডি চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি বা বণিকসভার তরফে বাজেট সম্বন্ধে কিছু ধারণা প্রকাশ করা হয়েছে। একদিকে আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেছে, তামাকজাত দ্রব্যের ওপর কর বৃদ্ধি করলে কালোবাজারি বৃদ্ধি পেতে পাওয়ার সম্ভবনা রয়েছে। যার ফলস্বরূপ সরকারের রাজস্ব আদায়ে প্রভাব পড়তে পারে। একই সঙ্গে আবার ইতিবাচক মনোভাব প্রকাশ করে বলেছে, শুল্ক কমান হলে কালোবাজারি বন্ধও হতে পারে। এর ফলে সরকারের রাজস্বও বৃদ্ধি পেতে পারে।  বণিকসভার পক্ষ থেকে কোন কোন ধরনের সিগারেটের ওপর শুল্ক কমান হবে সেই প্রস্তাবও দেওয়া হয়েছে। যতদূর জানা যাচ্ছে, কিং সাইজ সিগারেটের ক্ষেত্রে  কর কমানোর প্রস্তাব দিয়েছে বণিকসভা। 

আরও পড়ুন-মুখ ঢেকে বাইকে করে এসে নার্সিং হোমের সামনে বোমাবাজি, নিরাপত্তার অভাবে আতঙ্কে রোগীর পরিবার

আরও পড়ুন-Train Fare Hike : বাড়তে চলেছে দুরপাল্লার ট্রেনের ভাড়া, নয়া নির্দেশিকায় চিন্তা বাড়ল মধ্যবিত্তের

আরও পড়ুন-বর্ষশেষে স্বস্তির নিঃশ্বাস, ১ জানুয়ারি থেকে জুতো ও জামাকাপড়ের ওপর লাঘু হচ্ছে না জিএসটি

তবে শুধু তামাক বা তামাকজাত দ্রব্যই নয়, কেন্দ্রের আগামী বাজেটে আরও একটি বিষয়ের প্রতি নজর রাখা হবে। সেটি হল সরকারের বেসরকারিকরণ নীতি। ইতিমধ্যেই সরকার বেশ কিছু রাষ্ট্রায়ত্ব প্রতিষ্ঠানকে বেসরকারি করণ করে ফেলেছে। আগামী বছরেও সরকারের এই একই নীতি জারি থাকে কিনা সেই দিকেও থাকবে বিশেষ নজর। এছাড়াও এই বাজেটে উঠে আসতে পারে আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। বাজেটে শিক্ষাখাতের দিকে বিশেষভাবে আলোকপাত করা হবে। অতিমারি কোভিড পরিস্থিতিতে একটানা দীর্ঘদিন অনলাইনে চলছে পড়াশুনা। তাই পড়ুয়াদের কথা ভেবে কেন্দ্রের তরফে বিশেষ কিছু সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। কেন্দ্রের আসন্ন বাজেটে মূল্যবৃদ্ধির বাজারে কোনও বুস্টার দাওয়াইয়ের ব্যবস্থা করা হয় কিনা সেই দিকেই তাকিয়ে সাধারণ মানুষ।