সংক্ষিপ্ত

মোবাইল ওয়ালেট বা কিউ থ্রি মারফত পেমেন্ট হয়েছে ৬০,৪৪৩ কোটি টাকা। ৯৩৭.৬০ মিনিয়ন ইন্টারনেট ব্যাঙ্কিং। ইউপিআই মারফত টাকা লেনদেন হয়েছে কেবল অক্টোবর মাসেই ৭.৭১ লক্ষ কোটি টাকা। 

কখনও ক্যাসব্যাকের হাতছানি, কখনও আবার ক্যাস (Cash) সঙ্গে না থাকার ঝুঁকি এড়ানো, কখনও দূরত্ব, কখনও আবার চটজলদি পেমেন্ট, নানান কারণে, ধীরে ধীরে ভারতের (India) সর্বত্র ছড়িয়ে পড়ছে ডিজিটাল পেমেন্ট  (Digital Payment)। হাতে থাকা মাত্র একটি ফোন, মনে রাখা বেশ কিছু সংখ্যা, তাতেই যথেষ্ট, সঙ্গে রাখতে হচ্ছে না নগদ অর্থ, টাকা তুলতে যাওয়ার ঝামেলা নেই, হাতে হাতে গিয়ে টাকা দিয়েও আসছে হচ্ছে না, বা দূরত্বের কারণে মানি ওর্ডার বা চেক ক্লিয়ার হওয়ার অপেক্ষায় দিন গোনাও নয়, যার ফলে এক ধাক্কায় অনেকটা এগিয়ে গিয়েছে বর্তমানে ডিজিটাল পেমেন্ট। ছোট বড় দোকান হোক, বা বড় কোনও সংস্থা, এইপিআই বা কিউআর কোর্ডের মাধ্যমে পেমেন্ট গ্রহণ করায়, সাধারণ মানুষের কাছে বেড়ে গিয়েছে এর গ্রহণ যোগ্যতা। 

সম্প্রতি সামনে উঠে আসা এমনই এক তথ্যে প্রমাণ হল, ভারতে ডিজিটালের মাধ্যে আর্থিক লেনদেন (Money Transaction) এক ধাক্কায় ঠিক কতটা এগিয়ে গিয়েছে। নেই কোনও কনট্যাক, নেই হাতে টাকা রাখার ঝক্কি, রিপোর্ট অনুযায়ী ভারত স্টাস্টেস গ্রোইং ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মের ক্ষেত্রে। ১.১৮ বিলিয়ান মোবাইল সাবস্ক্রিপশন, যা নেহাতই কম নয়। দিন দিন মোবাইল (Mobile Phone) মারফত লেনদেনের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। যদিও এই তালিকায় এখনও প্রথম স্থানই দখল করে রেখেছে চিন । তবে ভারতে যে ছবি উঠে আসছে এই পেমেন্টের, তা এক কথায় বলতে গেলে  তাক লাগিয়ে দেওয়ার জোগাার।

আরও পড়ুন-GST Compensation-GST রোল আউটের জন্য রাজ্যগুলিকে ক্ষতিপূরণ দেবে কেন্দ্র,ঘোষণা অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণের

আরও পড়ুন-RBI Proposal-ডিজিটাল কয়েনকে মুদ্রায় স্বীকৃতি দেওয়ার প্রস্তাব RBI-র, শীতকালীন অধিবেশনে উঠল প্রসঙ্গ

কী কী উঠে আসছে রিপোর্টে (Report)- 

মোবাইল ওয়ালেট (Mobile Wallet) বা কিউ থ্রি মারফত পেমেন্ট হয়েছে ৬০,৪৪৩ কোটি টাকা। 
৯৩৭.৬০ মিনিয়ন ইন্টারনেট ব্যাঙ্কিং (Internet Banking)। 
ইউপিআই (UPI) মারফত টাকা লেনদেন হয়েছে কেবল অক্টোবর মাসেই ৭.৭১ লক্ষ কোটি টাকা। 
৯৮৫.৩৫ মিলিয়ান কার্ড (Card) সার্কুলেশন হয়েছে সেপ্টেম্বর ২০২১-এ। 

ভারতের বুকে বর্তমানে যেভাবে ছড়িয়ে পড়ছে অনলাইন পেমেন্টের সুযোগ সুবিধে, তাতে ব্যবসা অনেকবেশি লাভের মুখ দেখছে, আর নগদ সঙ্গে রাখার সমস্যা থেকে অনেক বেশি মানুষ নিজেকে সুরক্ষিত মনে করছে। প্রথম ধাপে একাধিক ওফার বা সুযোগ-সুবিধে দিয়ে বিভিন্ন সংস্থা এই অভ্যাস তৈরি করেছে সাধারণের মধ্যে, বর্তমানে যা ধিরে ধিরে অভ্যাসে পরিণত হয়েছে, যার প্রভাব চোখে পড়ছে এই বিশ্বের এই অনলাইন পেমেন্ট রিপোর্টে।