সংক্ষিপ্ত
১ জানুয়ারি ১০ কোটি কৃষকের অ্যাকাউন্টে ২ হাজার টাকা করে ঢুকলেও প্রায় ২ কোটির বেশি কৃষক এই সুবিধা থেকে বঞ্চিত হবেন।
আর মাত্র ১ দিনের অপেক্ষা, তারপরই গোটা ভারত জুড়ে কৃষকদের(Farmers মুখে হাসি ফুটবে। বর্ষবরণের প্রথম দিন অর্থাৎ ১ জানুয়ারি ঠিক বেলা ১২ টার সময় প্রধানমন্ত্রী দেশের কৃষকদের অ্য়াকাউন্টে দেবেন পিএম কিষাণ নিধি যোজনার দশম কিস্তির টাকা। কিন্তু এই বিশেষ পরিষেবা থেকে বঞ্চিত থাকতে পারে একাধিক কৃষক। প্রায় ২ কোটির বেশি কৃষকরা দশম কিস্তির টাকা(10th Insatlment) টাকা পাওয়া থেকে বঞ্চত থাকবেন। অর্থাৎ দশম কিস্তির ২০০০ টাকা নাও পেতে পারেন ভারতে ২ কোটি কৃষক। পিএম কিষাণ নিধি যোজনায়(PM Kisan Nidhi Yojona) নাম অন্তর্ভুক্ত রয়েছে এমন ১০ কোটির বেশি কৃষকদের জন্য ২০ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। তবে পিএম কিষা যোজনার পোর্টালে দেওয়া তথ্য অনুযায়ী জানা যাচ্ছে, এই যোজনায় ১২.৩০ কোটির বেশি কৃষকের(Farmers) নাম নথিভুক্ত করা রয়েছে। আর বর্ষবরণের প্রথম দিন অর্থাৎ ১ জানুয়ারি ১০ কোটি কৃষকদের অ্যাকাউন্টে ২ হাজার টাকা করে ঢুকলেও প্রায় ২ কোটির বেশি কৃষক এই সুবিধা থেকে বঞ্চিত হবেন(Will Not Get 10th Instalment)।
গত বছরেও বেশ কিছু কৃষক পিএম কিষাণ নিধি যোজনার অ্যাকাউন্টের টাকা পাওয়া থেকে বঞ্চিত ছিলেন। উল্লেখ্য, গত বারেও কৃষক সংখ্যা ১২.৩০ কোটির বেশি হলেও কিস্তির টাকা দেওয়ার সময় সেই টাকা পেয়েছিল মাত্র ১০ কোটি ৪১ লক্ষ ৬৭ হাজার ৫৬৪ জন কৃষক। অর্থাৎ এই সংখ্যক কৃষকদের অ্যাকাউন্টে ২ হাজার টাকা জমা পড়েঠছিল। সেই হিসাব মত ৭৪ লক্ষের বেশি কৃষকরা পিএম কিষাণ নিধি যোজনার টাকা ঢোকেনি। এখনও পর্যন্ত মোট ৪০ লাখের বেশি কৃষকদের অ্যাকাউন্টে কিস্তির টাকা জমা পড়তে বাকি আছে।
পিএম কিষান নিধি যোজনায় দশম কিস্তির টাকা জমা পড়ার বেশ কয়েকটি কারন রয়েছে। যেমন কোনও কৃষক যদি তাঁর নাম হিন্দিতে লেখেন তাহলে সেটি অবশ্যই ইংরাজিতে লিখতে হবে। উল্লেখ্য, আবেদন পত্রের নাম এবং ব্যাঙ্ক অ্যাকউন্টের নামে মধ্যে যেন সামঞ্জস্য থাকে। অর্থাৎ দুটি ক্ষেত্রেই নামের বানান এক হতে হবে। আইএফএসসি কোডে কোনও রকম ভুল থাকা বাঞ্ছনীয় নয়। ব্যাঙ্কের অ্যাকাউন্ট নম্বর যদি সঠিক না হয় তাহলে পিএম কিষাণ নিধি যোজনার অ্যাকাউন্টে টাকা ঢুকবে না। এগুলোর সঙ্গে আরও একটা বিষয় মাথায় রাখতে হবে। পিএম কিষাণ নিধি যোজনার অ্যাকাউন্টে টাকা জমা পড়ার জন্য কেওয়াইসি থাকাটা বাধ্যতামূলক। তবে এক্ষেত্রে একটা স্বস্তির খবর রয়েছে কৃষতদের জন্য। কৃষক বিভাগের এক আদিকারির জানিয়েছেন, ই-কেওয়াইসি-র জন্য কৃষকদের এখনই কোনও বাড়তি চাপ নিতে হবে না। কারন ডিসেম্বর-মার্চের কিস্তির পরে যে কিস্তি পাওয়া যাবে তার জন্য ই-কেওয়াইসি বাধ্যতামূলক করা হবে।