সংক্ষিপ্ত
সংস্থার শেয়ার ১৮ নভেম্বর বম্বে স্টাক এক্সচেঞ্জে ও ন্যাশনাল স্টাক এক্সচেঞ্জে তালিকাবুক্ত করা হয়েছে। NSE-তে উদ্বোধনের দিন সংস্থার শেয়ারের দাম উঠেছে ১৯৫০ টাকা। প্রায় ৯.৩% পতন হয়েছে ইস্যু প্রাইজ থেকে।
চলতি মাসে আইপিও-র মার্কেট(IPO) একেবারে সরগরম। একদিকে নায়কা আইপিও -র হাত ধরে বিশ্বের ধনী ব্যক্তিদের তালিকায় ৭ নম্বরে উঠে এসেছেন নায়াকার মালকিন ফাল্গুনী নায়ার। অন্যদিকে আইপিও(IPO)-তে নজরকারা সাফল্য পেয়েছে ডিজিটাল পেমেন্ট অ্যাপ(Digital Payment app) পেটিএম। একটা আইপিও (IPO) প্রোগ্রামেই কোটিপতি হয়েছেন প্রায় ৩৫০ জন নাগরিক। উল্লেখ্য, এই ৩৫০ জন নাগরিকদের অধিকাংশই পেটিএম (Paytm) এর প্রাক্তন এবং বর্তমান কর্মচারী। এই ৩৫০ জন কর্মচারীদের প্রত্যেকেই কার্যত ১০ মিলিয়ন টাকার মালিক। পেটিএম (Paytm) সংস্থা নিজেই (IPO) থেকে প্রায় ২.৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার লাভ করেছে। ৮ নভেম্বর চালু হয়েছিল পেটিমএমের আইপিও। ৩ দিন ব্যাপি চলেছিল সেই আইপিও। সংস্থার শেয়ার ১৮ নভেম্বর বম্বে স্টাক এক্সচেঞ্জ বা BSE ও ন্যাশনাল স্টাক এক্সচেঞ্জ বা NSE -তে তালিকাবুক্ত করা হয়েছে। তারপরই এরেবারে মুখ থুবরে পড়ল পেটিএম আইপিও(bIGLOSS OF Paytm IPO)।
ন্যাশনাল স্টক এক্সচেঞ্জে ( National Stock Exchange)বা NSE- তে উদ্বোধনের দিন এই সংস্থার স্টক বা শেয়ারের দাম উঠেছে ১৯৫০ টাকা। প্রায় ৯.৩% পতন হয়েছে ইস্যু প্রাইজ থেকে। এই সংস্থার শেয়ারের ইস্যু প্রাইজ ছিল ২১৫০টাকা। অর্থাৎ দামের বিচারে শেয়ারের পতন প্রায় ২০০ টাকা ৷ এখানেই শেষ নয়। বিপুল পতন দেখা গেছে স্টকের দামেও৷ ২৬ শতংশ পতনের ফলে ইস্যু প্রাইজ থেকে অনেকটাই পড়েছে দাম। বর্তমানে শেয়ারের দাম হয়ছে প্রায় ১৫৮৬ টাকা। উল্লেখ্য, ১০ নভেম্বর পেটিএম আইপিও-র শেষ দিনে সম্পূর্ণভাবে সাবসক্রাইব হয়ে গিয়েছিল সংস্থার শেয়ার। তারপর এমন ঘটনা মোটেই আশানুরূপ নয়। শেয়ারের দামে পতন এলেও কোম্পানি প্রায় ১ লাখ কোটি টাকার ভ্যালুয়েশন লাভ করেছে। তবে এই ভ্যালুয়েশনই স্টকের দামের ক্ষেত্রে অন্তরায় হয়ে উঠেছে কিনা সেটাই এখন প্রশ্নচিহ্নের মুখে। বিশেষজ্ঞদের মতে, দামী ভ্যালুয়েশনের জন্যই ধস নেমেছে পেটিএম আইপিও-তে। কেউ আবার দোষারোপ করছেন পেটিএমের বিজনেস মডেলকে। বিশিষ্ট রিসার্চ সংস্থা মার্কিওরি রিসার্চের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে ফোকাস এবং ডিরেকশন সঠিক না থাকার দরুণ লক্ষ্যভ্রষ্ট হতে হয়েছে পেটিএম- কে।
আইপিও সম্বন্ধে একটি বিশেষ তথ্য জেনে রাখা দরকার, আইপিও-র হাত ধরে কিভাবে সংস্থা গুলো টাকা বিনিয়োগ করবে এবং তার থেকে লাভবান হবে সেই বিষয় একটি বিশেষ নির্দেশিকা জারি করবে SEBI। ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত জনগনের মত প্রকাশ করার সুযোগ দিচ্ছে SEBI