সংক্ষিপ্ত

খুচরো বিক্রেতাদের সংগঠন রিটেলার্স অ্যাসোসিয়েশন অব ইন্ডিয়া। রিটেল সেক্টরের জন্য এমারজেন্সি ক্রেডিট লাইন গ্যারান্টি স্কিম নিয়ে জরুরী পরামর্শ দিয়েছে  রিটেলার্স অ্যাসোসিয়েশন অব ইন্ডিয়ার কার্যকরী আধিকারীক কুমার রাজগোপালন। 

অতিমারি করোনা পরিস্থিতিতে বিভিন্ন ক্ষেত্রে যেমন প্রভাব পড়েছে ঠিক তেমনই বিশেষভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে খুচরো ব্যবসায়ীরা। আগামী ১ ফেব্রুয়ারি পেশ হতে চেলেছ কেন্দ্রের ইউনিয়ন বাজেট (Union Budget 2022) আর সেখানে  খুচরো বিক্রেতাদের সংগঠন রিটেলার্স অ্যাসোসিয়েশন অব ইন্ডিয়া (RAI) সরকারের কাছে রিটেল সেক্টরের (Retail Sector) জন্য এমারজেন্সি ক্রেডিট লাইন গ্যারান্টি স্কিম (ECLGS) নিয়ে জরুরী পরামর্শ দিয়েছে। রিটেলার্স অ্যাসোসিয়েশন অব ইন্ডিয়ার তরফে বলা হয়েছে, করোনার দাপটে যেভাবে খুচরে ব্যবসায়ী সংগঠনগুলো যেভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে সেই জন্য এমারজেন্সি ক্রেডিট লাইন গ্যারান্টি স্কিমের (Emergency Credit Line Gurantee Scheme)  প্রয়োজন অত্যাবশ্যক। এই সংগঠনের তরফে আরও বল হয়েছে, গরীবদের হাতে আরও বেশী টাকা আসা প্রয়োজন। রিটেলার্স অ্যাসোসিয়েশন অব ইন্ডিয়ার (RAI) কার্যকরী আধিকারীক কুমার রাজগোপালন বলেছেন (Kumar Rajagopalan), করোনা সম্পর্কিত নিষেধাজ্ঞা সবচেয়ে বেশি রেস্তোরাঁ, দোকান, সেলুনের ইত্যাদির মতো হাই কন্টেক্স সেক্টরকে প্রভাবিত করেছে। এই কারণেই খুচরো ব্যবসায়ীদের পর্যাপ্ত পরিমানে অর্থ যোগানের জন্য এমারজেন্সি ক্রেডিট লাইন গ্যারান্টি স্কিম ঘোষণা করা উচিত বলে মনে করছেন। সেই সঙ্গে আরও বলেন, ক্ষুদ্র-মধ্যম ও ও কুটির শিল্পকে ঋণ নির্দেশিকার অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে ঠিকই, তবে সেই ক্ষেত্রেও এমারজেন্সি ক্রেডিট লাইন গ্যারান্টি স্কিম চালু করা উচিত। ৯০ শতাংশ পর্যন্ত খুচরো ব্যবসাকে ইমারজেন্সি ক্রেডিট লাইন গ্যারান্টি স্কিমের (ECLGS) আওতায় আনা যেতে পারে বলে মনে মত প্রকাশ করেছেন তিনি। 

রিটেলার্স অ্যাসোসিয়েশন অব ইন্ডিয়ার (RAI) কার্যকরী আধিকারীক কুমার রাজগোপালন আরও একটি বিষয় বাজেটে তুলে ধরার পরামর্শ দিচ্ছেন। তিনি বলছেন, ডিজিটালিকরণের জন্য আর্থিক সহায়তাও খুচরো ব্যবসার ক্ষেত্রকে আরও ভালভাবে উৎসাহ দিতে সাহায্য করতে পারে। ডিজিটাল কমার্সের জন্য ওপেন নেটওয়ার্কের (ONDC) মাধ্যমে খুচরো বিক্রেতাদের সক্ষম বানিয়ে এই ক্ষেত্রটিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া যেতে পারে। ওপেন নেটওয়ার্কের মাধ্যমে রিটেল সেক্টরকে বাড়ানো যেতে পারে বলে মনে করছেন তিনি। খুচরো আর আন্তরিক ব্যবসার জন্য একটি জাতীয় স্তরের নীতির নির্মাণ করার প্রয়োজন আছে বলে মত প্রকাশ করেছেন কুমার রাজগোপালন। 

আরও পড়ুন-লক্ষ্মীবারে লক্ষ্মীলাভ টাটা গোষ্ঠীর, দীর্ঘ ৬৯ বছরের অপেক্ষার অবসান, এয়ার ইন্ডিয়াতে প্রাণ সঞ্চার করল টাটা

আরও পড়ুন-ইউনিয়ন বাজেটে কী কোভিড টিকাকরণের নতুন কোনও প্রোগ্রাম লঞ্চ হবে, অপেক্ষা ১ ফেব্রুয়ারির

করোনা পরিস্থিতিতে একদিকে যেমন খুচরো ব্যবসার দিকটি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে, তেমনই গরীব শ্রেণীর মানুষরাও অর্থ কষ্টে দিন যাপন করেছেন। তাই ইউনিয়ন বাজেটে গরীব শ্রেণীর মানুষের হাতে যাতে টাকা আসে সেই দিকে নজর দেওয়ার আশা রাখছে রিটেলার্স অ্যাসোসিয়েশন অব ইন্ডিয়া। অতিমারি পরিস্থিতিতে বহু মানুষ তাঁদের কর্মক্ষেত্র হারিয়েছে। তাই কেন্দ্রের তরফে এই ধরনের মানুষগুলোর জন্য কোনও বিশেষ যোজনা বা প্রকল্প যদি নিয়ে আসা হয় সেই বিষয়ে আশাবাদী রাজগোপালন। একইসঙ্গে তিনি বলেন, বেতনভুক্ত মানুষের হাতেও যাতে আরেকটু বেশি টাকা আসে সেই দিকেও নজর দেওয়া উচিত। যে হারে মুদ্রাস্ফিতী বাড়ছে সেই দিক দিয়ে বিচার করলে প্রতিটি মানুষেরই আর্থিক দিকটি মজবুত হওয়া প্রয়োজন।