সংক্ষিপ্ত
টাটা গ্রুপের এই স্টকটি গত ২০ বছরে প্রায় তিন টাকা থেকে আড়াই হাজার টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। রাকেশ ঝুনঝুনওয়ালা এবং তার স্ত্রী রেখা ঝুনঝুনওয়ালা একসাথে এপ্রিল থেকে জুন ২০২২ ত্রৈমাসিকে টাইটানের ৪,৪৮,৫০,৯৭০ শেয়ার নিয়েছেন, যা কোম্পানির মোট পরিশোধিত মূলধনের ৫.০৫ শতাংশ।
স্টক মার্কেটের বিগ বুল রাকেশ ঝুনঝুনওয়ালার প্রয়াণে বড় ধাক্কা শেয়ার বাজারে। ঝুনঝুনওয়ালার পোর্টফোলিওতে এমন অনেক স্টক রয়েছে যা বিগ বুলকে ধনী করে তুলেছে ধীরে ধীরে। যাইহোক, ঘড়ি নির্মাতা টাইটানের মধ্যেও এমন একটি স্টক রয়েছে, যা ঝুনঝুনওয়ালাকে সবচেয়ে বেশি রিটার্ন দিয়েছিল।
মাত্র তিন টাকায় কেনা শেয়ার
টাটা গ্রুপের এই স্টকটি গত ২০ বছরে প্রায় তিন টাকা থেকে আড়াই হাজার টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। রাকেশ ঝুনঝুনওয়ালা এবং তার স্ত্রী রেখা ঝুনঝুনওয়ালা একসাথে এপ্রিল থেকে জুন ২০২২ ত্রৈমাসিকে টাইটানের ৪,৪৮,৫০,৯৭০ শেয়ার নিয়েছেন, যা কোম্পানির মোট পরিশোধিত মূলধনের ৫.০৫ শতাংশ। বিগ বুল ঝুনঝুনওয়ালা ২০০২-২০০৩ সালের মধ্যে টাইটান কোম্পানির আট কোটি শেয়ার কিনেছিল যার গড় মূল্য শেয়ার প্রতি তিন টাকা ছিল। গত ২০ বছরে, স্টকটি তার বিনিয়োগকারীদের ৮৩,২৫০ শতাংশ রিটার্ন দিয়েছে।
টাটা গ্রুপের স্টক গত এক বছরে প্রায় ১৮৩৫ টাকা থেকে বেড়ে আড়াই হাজার টাকা হয়েছে, যা তার শেয়ারহোল্ডারদের প্রায় ৩৫ শতাংশ রিটার্ন দিয়েছে। গত পাঁচ বছরে, রাকেশ ঝুনঝুনওয়ালার এই স্টক ৬২৫ টাকা থেকে বেড়ে আড়াই হাজার টাকা হয়েছে, যা এই সময়ের তুলনায় প্রায় ৩০০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।
বিগত ১০ বছরে, টাইটান কোম্পানির শেয়ারের দাম প্রায় ২২৫ টাকা থেকে বেড়ে আড়াই হাজার টাকা প্রতি শেয়ার স্তরে পৌঁছেছে, যা এই সময়ের মধ্যে প্রায় এক হাজার শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। একইভাবে, গত ২০ বছরে, এই মাল্টিব্যাগার স্টক তিন টাকা থেকে আড়াই হাজার টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। অর্থাৎ গত দুই দশকে প্রায় ৮৩ হাজার ২৫০ শতাংশ রিটার্ন এসেছে।
শেয়ার মার্কেট সম্পর্কে উৎসহ-
উল্লেখ্য, শেয়ার মার্কেট সম্পর্কে তেমন ধারনা ছিল না রাকেশ ঝুনঝুনওয়ালার। ছিল না কোনও পুঁথিগত শিক্ষাও। মূলত বাবা ও তাঁর বন্ধুদের মুখে শেয়ার মার্কেটের আলোচনা শুনে শুনেই দালাল স্ট্রিট সম্পর্কে তাঁর উৎসহ জন্মায়। নিয়মিত সংবাদপত্রে শেয়ার মার্কেটের ওঠা-পড়ার প্রতিবেদন তাঁকে আরও উৎসাহী করে বলে নিজেই একাধিক অনুষ্ঠানে জানিয়েছিলেন। রাকেশ ঝুনঝুনওয়ালা এও জানিয়েছিলেন, তাঁর বাবা তাঁকে শেয়ার মার্কেটে বিনিয়োগ করার অনুমতি দিলেও টাকাপয়সা দেননি। পাশাপাশি বন্ধুদের থেকেও ঋণ নিতে নিষেধ করেছিলেন।
শেয়ার মার্কেটের ওঠা-পড়া চুম্বকের মতই টেনেছিল রাকেশ ঝুনঝুনওয়ালাকে। হাত খালি হলেও বাবার অনুমতি নিয়েই শেয়ার মার্কেটে পা রাখেন তিনি। তবে মাত্র পাঁচ হাজার টাকাই ছিল তাঁর সম্বল। সালটা ১৯৮৫। পাঁচ হাজার টাকা বিনিময় টাটা-টির শেয়ার কিনেছিলেন। সেই সময় প্রতিটি শেয়ারের দাম ছিল ৪৩। এক বছরের মধ্যেই বিশাল লাভের মুখ দেখেন তিনি। স্টকটির দাম বেড়ে হয় ১৪৩ টাকা। তিন বছর পরে ওই শেয়ার থেকেই তিনি লাখপতি হয়ে যান। কারণ সেই সময় শেয়ারের মূল্য ছিল ২০-২৫ লক্ষ টাকা।