সংক্ষিপ্ত
ওমিক্রনের বিষয়টিকে সামন রেখে অপরিবর্তিত রাখা হল রেপো রেট। মনিটারি পলিসি কমিটির বৈঠক শেষে এই ঘোষণা করেছেন আরবিআই-য়ের গভর্নর শক্তিকান্ত দাস। আট দফা অপরিবর্তিত রইল রেপো রেট
ফিন্যানসিয়াল মার্কেটের(Financial Market) অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ একটি বৈঠক চলবে ৬ থেকে ৮ ডিসেম্বর(6-8 Dec)। আজ অর্থাৎ ৭ ডিসেম্বর রিজার্ভ ব্যাঙ্ক ইন্ডিয়ার মনিটারি পলিসি কমিটির বৈঠকের(RBI Monetary Policy meet)দ্বিতীয় দিন। ওমিক্রনের(Omicron) নয়া আতঙ্ক ও মুদ্রাস্ফিতির চাপের(high inflationary pressures)জন্যই এই নতুন পলিসি গঠনের জন্য বৈঠকের সিদ্ধান্ত নিয়েছে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার মনিটারি পলিসি কমিটি। ২০২২ সাল থেকে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া রেপো রেটের হার বৃদ্ধি হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছিল। তবে বাস্তবে এমনটা কিন্তু ঘটল না। ওমিক্রনের বিষয়টিকে সামন রেখে অপরিবর্তিত রাখা হল রেপো রেট(Unchanged Repo rate)। মনিটারি পলিসি কমিটির বৈঠক শেষে এই ঘোষণা করেছেন আরবিআই-য়ের গভর্নর শক্তিকান্ত দাস(Shaktikanta Das)। বর্তমানে রেপো রেট ৪ শতাংশেই অপরিবর্তিত রাখা হল। সেই সঙ্গে রিভার্স রেপো রেটও ৩.৫ শতাংশেই স্থির রয়েছে(Unchanged Reserve Repo rate)। এই নিয়ে আট দফা রেপো রেট ও রিভার্স রেপো রেট অপরিবর্তিত রাখল দেশের শীর্ষ ব্যাঙ্ক(8th Time Unchanged Repo Rate And Reserve Repo Rate)। গত বছর মার্চ মাসে রেপো রেট কমেছিল ৭৫ বিপিএস আর মার্চে কমেছিল ৪০ বিপিএস। সেই সময় প্রায় ৪ শতাংশ কমে রেকর্ড গড়েছিল রেপো রেট। তারপর থেকে আর সেভাবে বাড়েনি রেপো রেট।
এর আগে গত অগাস্ট মাসে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক রেপোরেট নিয়ে ঘোষণা করেছিল। উল্লেখ্য একটানা সাত বারের জন্য করোনাকালে রেপোরেট অপরিবর্তিত রাখল রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। একদিকে করোনার ধাক্কায় বিধ্বস্ত অর্থনীতিকে চাঙ্গা করার চ্যালেঞ্জ, অন্যদিকে, মুদ্রাস্ফীতিজনিত চাপের মধ্যে দেশের সার্বিক অর্থনীতিকে চাঙ্গা করার লক্ষ্যে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া। লকডাউনের জেরে দেশের অর্থনীতি যে তলানিতে এসে ঠেকেছিল সেটা সামাল দিতেই রেপো রেট ও রিভার্স রেপো রেট অপরিবর্তিত রাখা হচ্ছিল। গভর্নর শক্তিকান্ত দাস জানিয়েছেন, গত জুনে মানিটারি পলিসি কমিটির প্রত্যাশা অনুযায়ীই অর্থনৈতিক কার্যকলাপ এগোচ্ছে। করোনা ভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউয়ের ধাক্কা কাটিয়ে ঘুরে দাঁড়াচ্ছে দেশের অর্থনীতি পরিস্থিতি।
২০২১-২২ অর্থবর্ষে দেশের আর্থিক বৃদ্ধির হার বা জিডিপি-র পূর্বাভাস ৯.৫ শতাংশই বজায় রেখেছে আরবিআই। ০২১-২২ অর্থবর্ষে গ্রাহক মুদ্রাস্ফীতির হার ৫.৭ শতাংশ থাকবে বলে পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকে এই হার ৫.৯ শতাংশ, তৃতীয় ত্রৈমাসিকে এই হার ৫.৩ শতাংশ ও চতুর্থ ত্রৈমাসিকে ৫.৮ শতাংশ থাকার পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। প্রথম ত্রৈমাসিকে সিপিআই মুদ্রাস্ফীতির হারের পূর্বাভাস ছিল ৫.১ শতাংশ। উল্লেখ্য, রেট অপরিবর্তিত থাকায় আপাতত ইএমআইয়ে কোনও বদল হবে না। ২০২০-র ২২ মে থেকে রেপো রেট ৪ শতাংশ রয়েছে। ২০০১-এর এপ্রিলের পর যা সবচেয়ে কম। মানিটারি পলিসি কমিটি-র তিনদিনের পর্যালোচনার পর রেপো রেট অপরিবর্তিত রাখার ঘোষণা করা হল। এই হার যে অপরিবর্তিত থাকছে তার একটা ইঙ্গিত দিয়েছিল অর্থনীতিবিদরা। কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক মনে করছে যে, মানিটারি পলিসি সাপোর্ট তড়িঘড়ি প্রত্যাহার করা হলে তা অর্থনীতির ঘুরে দাঁড়ানোর পথে ব্যাঘাত সৃষ্টি করতে পারে। চলতি অর্থবর্ষের চতুর্থ ত্রৈমাসিকে এ ক্ষেত্রে স্বাভাবিক পরিস্থিতি আসতে পারে বলে অনুমান অর্থনীতিবিদদের।