সংক্ষিপ্ত
ডিজিটাল লোনের অবৈধ অ্যাপগুলিকে আইনের আওতায় আনার ব্যবস্থা, সিদ্ধান্ত রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার
বর্তমানে ডিজিটাল লেনদেনের প্রচলোন বেড়েছে অনেকাংশে। বিশেষ করে করোনা পরিস্থিতিতে ডিজিটাল বিনিয়োগের মাত্রা আরও বৃদ্ধি পেয়েছে। একদিকে যেখন ডিজিটাল লেনদেনের গ্রাফ ক্রমশ উর্ধ্বমুখী তখন অন্যদিকে শিকড়ের মত গজিয়ে উঠছে ডিজিটাল লেনদেনের অ্যাপও। তবে তৈরি হয়েছে বেশ কিছু সমস্যা। এমন সমস্ত মোবাইল অ্যাপ বাজারে এসেছে, যারা নিজেদের স্তরেই লোন দিচ্ছে। উল্লেখ্য, এই মোবাইল অ্যাপগুলির অর্থনৈতিক ব্যবসা সম্পূর্ণভাবে অবৈধ। দেশের সর্বোচ্চ ব্যাঙ্ক রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া এবার এই সকল অ্যাপগুলিকে আইনের আওতায় নিয়ে আসার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। RBI-র একটি ওয়ার্কিং গ্রুপ এই লোন দেওয়া মোবাইল অ্যাপসগুলির বিরুদ্ধে কিছু নিয়ম জারি করার প্রস্তাব দিয়েছে।
RBI এর ওয়ার্কিং গ্রুপ এই অ্যাপগুলির জন্য যে নিয়ম তৈরি করার সিদ্ধান্ত হয়েছে সেখানে বলা হয়েছে, ইন্ডাস্ট্রির সমস্ত স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে মিলে একটি নোডাল এজেন্সি তৈরি করা হবে। এই অ্যাপগুলির ভেরিফিকেশনের দায়িত্বে থাকবে সেই নোডাল এজেন্সি। এর পাশাপাশি একটি সেলফ-রেগুলেটরি অর্গানাইজেশনও (SRO) তৈরি করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। সেলফ-রেগুলেটরি অর্গানাইজেশনে ডিজিটাল লেডিং ইকোসিস্টেমের সঙ্গে যুক্ত সমস্ত কোম্পানিগুলিকে শামিল হওয়ার পরামর্শ দিয়েছে। চলতি বছরের জানুয়ারীতে ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্ক (RBI) তার কার্যকরী ডিরেক্টর জয়ন্ত কুমার দাসের সভাপতিত্বে অনলাইন প্ল্যাটফর্ম আর মোবাইল অ্যাপ সহ ডিজিটাল ঋণের উপর টাস্ক গ্রুপ গঠন করেছিল। এই টাস্ক ফোর্স নিজেদের রিপোর্টে পরামর্শ দিয়েছে যে, একটি নোডাল এজেন্সি তৈরি করা হোক, যেটি ঋণ দেওয়া কোম্পানিগুলির ব্যালেন্স শিট আর লোন দেওয়া ডিজিটাল অ্যাপগুলির প্রযুক্তিগত শংসাপত্র যাচাই করবে। এই ফোর্স নিজেদের ওয়েবসাইটে যাচাই করা অ্যাপসগুলির একটি পাবলিক রেজিস্টারও তৈরি করে রাখবে।
আরও পড়ুন-Crypto risk-ক্রিপটো সংক্রান্ত কোনও সমস্যায় পাওনা যাবে না আইনি সাহায্য, জানাল RBI
টাস্ক ফোর্সের রিপোর্ট অনুযায়ী, ১ জানুয়ারী থেকে ২৮ ফেব্রুয়ারীর মধ্যে ভারতীয় অ্যান্ড্রয়েড (Android)ইউজারসদের জন্য লোন দেওয়া অ্যাপের সংখ্যা ছিল প্রায় ১,১০০ টি । এগুলির মধ্যে ৬০০ টি অ্যাপই ছিল অবৈধ। টাস্ক ফোর্স ডিজিটাল লোন সম্পর্কিত অবৈধ গতিবিধি আটকানোর জন্য আলাদা একটি আইন তৈরি করারও পরামর্শ দিয়েছে। এছাড়াও এই কমিটি কিছু টেকনোলজি সম্পর্কিত মাপদন্ড আর অন্য নিয়মও ঠিক করার পরামর্শ দিয়েছে, যা ডিজিটাল লোন বিভাগের অন্তর্গত প্রত্যেক কোম্পানিকে পালন করতে হবে। শুধু তাই নয়, টাস্ক ফোর্স আরও পরামর্শ দিয়েছে, যে কোনও ধরনের লোনের অর্থ সোজাসুজি ঋণগ্রহীতার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে দেওয়া হোক। কোনও অ্যাপের মোবাইল ওয়ালেটে না দেওয়াই শ্রেয়। সেই সঙ্গে লোনের ইএমআই-ও ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকেই নেওয়া হোক। অ্যাপের মাধ্যমে ইএমআই জমা দেওয়ার সিস্টেম বন্ধেরও পরামর্শ দিয়েছে।