সংক্ষিপ্ত
২০২১ সালের মার্চ মাসের আগে কেনা সমস্ত স্পেকট্রাম বাবদ সুদ সহ বকেয়া ছিল ৩০ হাজার ৭৯১ কোটি টাকা। ইতিমধ্যেই সেই সমস্ত বকেয়া মিটিয়ে এখন সম্পূর্ণ স্বস্তিতে রিল্যায়েন্স জিও। বকেয়া অর্থ মিটিয়ে দেওয়ার ফলে বর্তমান সুদের হারে সুদ বাবদ বার্ষিক প্রায় ১২০০ কোটি টাকা পর্যন্ত খরচ বাঁচার সম্ভবনা রয়েছে।
রিল্যায়েন্সের জিও (Reliance Jio)-র সংসারে এখন সম্পূর্ণ স্বস্তি। ২০২১ সালের মার্চ মাসের আগে কেনা সমস্ত স্পেকট্রাম বাবদ সুদ সহ বকেয়া ছিল ৩০ হাজার ৭৯১ কোটি টাকা। ইতিমধ্যেই সেই সমস্ত বকেয়া মিটিয়ে এখন সম্পূর্ণ স্বস্তিতে রিল্যায়েন্স জিও। মুকেশ আম্বানির (Mukesh Ambani) সংস্থা রিল্যায়েন্স জিও -র তরফে জানান হয়েছে, ২০১৪ থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত নিলামে কেনা স্পেকট্রাম (Spectrum) এবং ২০২১ সালে ভারতী এয়ারটেলের (Bharti Airtel) কাছ থেকে রিল্যায়েন্স যে স্পেকট্রাম কিনেছিল সেই আর্থিক বকেয়াও কেন্দ্রকে মিটিয়ে দিয়েছে (Reliance has settled Its Arrears)এই টেলিকম সংস্থা। সব মিলিয়ে রিল্যায়েন্স জিও (Reliance Jio)-র মোট স্পেকট্রাম অধিগ্রহণের পরিমান ছিল ৫৮৫.৩ মেগাহর্জ। সম্প্রতি রিল্যায়েন্স জিও (Reliance Jio)-র তরফে একটি বিবৃতি প্রকাশ করা হয়েছে। সেই বিবৃতিতে বলা হয়েছে, সংস্থার হিসাবে বকেয়া অর্থ মিটিয়ে দেওয়ার ফলে (Reliance has settled Its Arrears) বর্তমান সুদের হারে সুদ বাবদ বার্ষিক প্রায় ১২০০ কোটি টাকা পর্যন্ত খরচ বাঁচার সম্ভবনা রয়েছে। উল্লেখ্য, বকেয়া পরিশোধের পর আগামী ৪ বছরের জন্য মোরাটোরিয়াম নেওয়ার সুযোগও নেয় নি মুকেশ আম্বানির (Mukesh Ambani) টেলিকম সংস্থা (Telecom Industry) রিল্যায়েন্স জিও। প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালে রিল্যায়েন্স জিও যে স্পেকট্রাম (Spectrum) কিনেছিল, তা নির্দিষ্ট সময়সীমা শেষর আগেই গত অক্টোবরেই প্রথম দফার পেমেন্ট করে দেওয়া হয়েছিল রিল্যায়েন্সের তরফ থেকে।
উল্লেখ্য, ২০২২-২৩ অর্থবর্ষ থেকে ২০৩৪-৩৫ অর্থবর্ষের মধ্যে বার্ষিক কিস্তিতে সরকারকে বকেয়া মেটাতে হত। একইসঙ্গে বার্ষিক ৯.৩০ শতাংশ থেকে ১০ শতাংশ পর্যন্ত সুদও দিতে হত। কিন্তু মুকেশ আম্বানির সংস্থা রিল্যায়ন্স জিও নির্দিষ্ট সময়ের আগেই বকেয়ার পরিমান পরিশোধ করে দেওয়ার ফলে সুদ বাবদ একটা বিরাট অঙ্কের টাকা বেঁচে যাচ্ছে আম্বানির টেলিকম সংস্থা রিল্যায়েন্স জিও-র। রিল্যায়েন্সের জিও-র মতই গত মাসে ভারতী এয়ারটেলও আগাম বকেয়া টাকা টেলিকম দফতরকে মিটিয়ে দিয়েছে। ২০১৪ সালে নিলামে কেনা স্পেকট্রামের জন্য বকেয়া বাবদ ছিল ১৫ হাজার ৫১৯ কোটি টাকা। সেই টাকাই টেলিকম দফতরকে আগাম পরিশোধ করে দিয়েছে।
অন্যদিকে ভোডাফোন আইডিয়া (ভিআই), টাটা টেলিসার্ভিসেস এবং টাটা টেলিসার্ভিসেস মহারাষ্ট্র চার বছরের মোরাটোরিয়ামের সুযোগ নিচ্ছে। তবে এই বিষয় একটা কথা বলতে হয়, রিল্যায়েন্স যেমন মোরাটোরিয়াম নেওয়ার সুযোগ নেয় নি, এই টেলিকম সংস্থাগুলো সেটা নিচ্ছে। শুধু তাই নয়, সুদের পরিবর্তে সরকারকে অংশীদারিত্ব দেওয়ার কথাও ঘোষণা করা হয়েছে। ভোডাফোন আইডিয়া বা ভিআই-কে ৩৫.৮ শতাংশ মালিকানা দেওয়ার প্রস্তাব রাখা হয়েছে। এদিকে আবার টাটা টেলিসার্ভিসেস মহারাষ্ট্র সরকারকে ৯.৫ শতাংশ পর্যন্ত অংশীদারিত্ব দিতে চায়।