- আগামি বছর থেকে কমতে চলেছে বেতন
- বেসরকারি কর্মীদের বাড়তে চলেছে সমস্যা
- একইসঙ্গে কিছু সমস্যা বাড়তে পারে কোম্পানিরও
- কেন্দ্রীয় সরকারের নয়া নিয়মেই এই অশনি সংকেত
একে করোনার দাপটে কাজ হারাতে হয়েছে অনেক মানুষকে। অনেকের কমে গিয়েছে রোজগার। জীবন যুদ্ধে করোনা সঙ্গে লড়াইয়ের পাশাপাশি বেড়ে গিয়েছে পেট চালানোর লড়াইও। কারণ একটাই হাতে টাকা অনেকাংশেই কমে গিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে মরার উপর খাঁড়ার ঘা-এর মত আগামি অর্থবর্ষের এপ্রিল মাস থেকে সাধারণ মানুষের উপর লাগু হতে চলেছে নতুন সংশোধিত বেতন বিল। নতুন বেতন বিধি অনুযায়ী সরকার খসড়া বিধির বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে। আর এই নয়া নিয়ম লাগু হওয়ার পর থেকে আগামি এপ্রিল মাস থেকে হাতে বেতনের পরিমাণ কমতে চলেছে চাকুরিজীবিুদের।
কেনও কমতে চলেছে বেতনঃ
ওয়েজ ২০১৯ বিধির অংশ হিসেবে নতুন কমপেনসেশন নিয়ম আগামী এপ্রিলে নয়া অর্থবর্ষ থেকে চালু হতে পারে। নতুন বিধি অনুসারে ভাতার অংশ মোট বেতনের ৫০ শতাংশের বেশি হতে পারবে না, যার মূল বিষয় হল বেসিক স্যালারি ৫০ শতাংশ হতে হবে। বেসিক স্যালারি যদি ৫০ শতাংশ হয়, তবে স্বাভাবিকভাবেই প্রভাব পড়বে প্রভিডেন্ট ফান্ড ও গ্রাচুয়িটি পেমেন্টে, যার একটা অংশ কাটা হয় কর্মীদের বেতন থেকে। বেসিক স্যালারি বাড়লে প্রভিডেন্ট ফান্ড ও গ্রাচুয়িটির টাকা কাটার পরিমাণ বাড়তে চলেছে, যার প্রভাব পড়বে কর্মীদের হাতে পাওয়া বেতনের ওপর। বর্তমানে বিভিন্ন বেসরকারি কম্পানিগুলি বেসিক স্যালারির থেকে অ্যালাওয়েন্স বা বিশেষ ভাতা বেশি দেওয়া হয়। এবার থেকে আর সেটা করা যাবে না। যার প্রত্যক্ষ প্রভাব পড়বে হাতে পাওয়া বেতনে।
সমস্যায় পড়তে চলেছে কোম্পানিওঃ
নতুন এই নিয়ম চালু হলে তার সঙ্গে সামঞ্জস্য রাখতে নিয়োগকারীদের বেতনের বেসিক পে-র অংশ বাড়াতে হবে, যার ফলে গ্র্যাচুইটি ও প্রভিডেন্ড ফান্ডে কর্মীদের দেয়র পরিমাণে আনুপাতিক হারে বাড়বে। অবসরকালীন অনুদানের কারণে কর্মীদের হাতে বেতনের পরিমাণ কমবে। তবে এক্ষেত্রে অবসরকালীন কর্মীদের প্রাপ্ত রাশির পরিমান বাড়বে। এর জেরে কোম্পানি কস্ট বাড়তে চলেছে কর্মী প্রতি। কারণ বেসিক স্যালারি বাড়লে কোম্পানির গ্রাচুয়িটি ও প্রভিডেন্ট ফান্ডের দেয় টাকার পরিমাণও বাড়বে। প্রায় ১০ থেকে ১২ শতাংশ বাড়বে মোট খরচের পরিমাণ। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এতে কর্মীদের হাতে টাকা কম আসবে ঠিকই, কিন্তু প্রভিডেন্ট ফান্ড এবং গ্র্যাচুইটিতে সঞ্চয়ের পরিমাণ বাড়বে। যা তাঁদের ভবিষ্যৎকে আরও সুরক্ষিত করবে।
এই নয়া বিধি কার্যকর হওয়ার ফলে কর্মীদের ভবিষ্যতের সুরক্ষা কিছুটা বাড়লেও, বর্তমানে দৈনন্দিন জীবনে যে সমস্যা সাধারণ মানুষের আরও বাড়বে বলেই মনে করা হচ্ছে। কারণ যদি কর্মীদের হাতে পাওয়া মাইনের পরিমাণ আরও কমে যায় তাহলে সমস্যা বাড়বে তা সকলেরই সহজবোধ্য। এই নয়া নিয়মকে কীভাবে নেন সকল কর্মী ও কোম্পানিরা সেটাই এখন দেখার। তবে এই বিধি লাগু হওয়ার খবরে এখন থেকেই চিন্তার ভাঁজ বাড়ছে চাকুরিজীবিদের কপালে।
Read Exclusive COVID-19 Coronavirus News updates, from West Bengal, India and World at Asianet News Bangla.
খেলুন দ্য ভার্চুয়াল বোট রোসিং গেম এবং চ্যালেঞ্জ করুন নিজেকে। கிளிக் செய்து விளையாடுங்கள்
Last Updated Dec 9, 2020, 7:55 PM IST