সংক্ষিপ্ত

বিএসএনএলের ধার মেটানো এবং মূলধন লগ্নির পুঁজি জোগাড়ের দরকার। পুনরুজ্জীবন প্রকল্প ঘোষণার সময় কেন্দ্রের তরফে জানান হয়েছিল সংস্থা যদি অব্যবহৃত জমি বিক্রি করে এবং ভবন ও আবাসন লিজ বা ভাড়া দেয় তাহেল আয়ের পথ প্রসস্থ হবে। 
meta-

বর্তমানে রাষ্ট্রায়ত্ত টেলিকম সংস্থা বিএসএনএল(BSNL)-র আর্থিক পরিকাঠামো খুব একটা মজবুত নয়। বিএসএনএলের ধার মেটানো এবং মূলধন লগ্নির পুঁজি জোগাড়ের ব্যাবস্তা হওয়াটা খুবই দরকার। সেই জন্যই বিএসএনএল ভবন বা আবাসেনর অংশ ভাড়া নেওয়ার জন্য বা লিজ নিতে সরকারি দফতর বা রাষ্ট্রায়ত্ব সংস্থাগুলিকে চিঠি দিয়েছেন টেলিকম সচিব কে. রাজারমন। প্রসঙ্গত, বছর দুয়েক আগে রাষ্ট্রায়ত্ব টেলিকম সংস্থা বিএসএনএল এবং এমটিএনএলের পুনরুজ্জীবন প্রকল্প ঘোষণার সময় কেন্দ্রের তরফে জানান হয়েছিল, এই সংস্থা দুটি যদি তাদের অব্যবহৃত জমি বিক্রি করে এবং ভবন ও আবাসন যদি লিজ বা ভাড়া দেয় তাহেল আয়ের পথ প্রসস্থ হবে। সেই বিষয়টিকেই সামনে রেখেই বিএসএনএল ভবন বা আবাসনের অংশ ভাড়া বা লিজ নেওয়ার জন্যই বিভিন্ন সরকারি দফতর ও রাষ্ট্রায়ত্ব সংস্থাগুলোকে  জানানোর জন্য বিভিন্ন মন্ত্রকের সচিবদের কাছে চিঠি লিখলেন টেলিকম সচিব(Telecom Secretary) কে. রাজারমন। উল্লেখ্য, এই রাজ্যে বিএসএনএলের দুটি শাখা ক্যালকাটা টেলিফোন্স এবং অন্যটি ওয়েস্ট বেঙ্গল সার্কল ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকটি ভবন ও আবাসনকে চিহ্নিত করেছে যারা বিএসএনএল ভবন বা আবাসনের অংশ ভাড়া বা লিজ  নিতে পারে। উল্লেখ্য, কিছু ক্ষেত্রে আবার ব্যাঙ্ক ও বিভিন্ন রাষ্ট্রায়ত্ব সংস্থার সঙ্গে চুক্তিবদ্ধও হবে। 

বিভিন্ন মন্ত্রকের সচিবদের কাছে বা কেন্দ্রীয় আমলাদের কাছে চিঠি দেওয়ার পাশাপাশি কে.রাজারমন বিভিন্ন রাজ্যের সরকারি দফতর গুলোকেও এই সুবিধার আওতায় আনার কথা বলেছেন। এর ফলে বিএসএনএলের ধার মেটানের সঙ্গে মূলধন লগ্নির পুঁজি জোগাড়ের ক্ষেত্রেও অনেকটা সুবিধা পাবে বলে মনে করছেন তিনি। পুনরুজ্জীবন প্রকল্পের হাত ধরে ভবিষ্যতে এক সুতোয় বাঁধা পড়তে পারে বিএসএনএল ও এমটিএনএল। ক্যালকাটা টেলিফোন্সের সিজিএম দেবাশিষ সরকার বর্ষশেষের শেষ দিন অর্থাৎ ৩১ ডিসেম্বর শুক্রবার জানান, প্রথম পর্যায়ে টেলিফোন ভবন, সল্টলেক ও বড়বাজারের  মোট ৩ টি ভবনের একাংশ স্টেট ব্যাঙ্ক সহ বিভিন্ন সরকারি দফতর ও সংস্থাকে ভাড়া দেওয়া হয়েছে। সেখান থেকে প্রতি মাসে মিলবে ১০ লাখ টাকা। এছাড়াও ১৬ টি ভবনের একাংশ চিহ্নিত করা হয়েছে। বাজার দর অনুসারে সেই সব সম্পত্তির ভাড়া বাবদ  প্রতি মাস ২ কোটি টাকা পর্যন্ত আয় হওয়ার সম্ভবনা রয়েছে। বলা বাহুল্য, বিএসএনএলের আভ্যন্তরিণ সমস্ত নিরাপত্তা বজায় রেখেই ভাড়া বা লিজ দেওয়ার বিষয়টি দেখা হচ্ছে। 

আরও পড়ুন-BSNL-বিক্রি হতে পারে BSNL ও MTNL-র সম্পত্তির একাংশ,বিক্রির পথে এক ধাপ এগিয়ে গেল কেন্দ্র

আরও পড়ুন-BSNL VIP No-নিলামে উঠল BSNL-র ভিআইপি নম্বর,২.৪ লাখ টাকায় বিক্রি হল নম্বর

আরও পড়ুন-জলের দরে BSNL-এর ব্রডব্যান্ড প্ল্যান, মাত্র ২৯৯ টাকায় মিলবে ১০০ জিবি ডেটা

ওয়েস্ট বেঙ্গল সার্কল সূত্রের খবর, হলদিয়া, খড়্গপুর, আলিপুর, বাঁকুড়া, কোচবিহারের মতো কয়েকটি জায়গায় ইতিমধ্যে এই প্রক্রিয়া কার্যকর হয়েছে। তাদের লক্ষ্য, বছরে ভাড়া বাবদ অন্তত ২২ কোটি টাকা আয়। এই সার্কলও সরকারি, বেসরকারি উভয় ধরনের সংস্থাকেই ভাড়া বা লিজ় দিতে আগ্রহী। মধ্যমগ্রামে ১১.৬৫ একর জমি চিহ্নিত করা হয়েছে। জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহেই সেটির নিলাম হওয়ার কথা। এ ছাড়া দমদম, কল্যাণী, মানিকতলা ও কলকাতার চিহ্নিত করা হয়েছে আরও চারটি জমি। কেন্দ্রের লগ্নি ও সরকারি সম্পদ পরিচালনা দফতরের তরফে বিএসএনএলের কাছে সম্পত্তি বিক্রি বাবদ ন্যূনতম ৬৬০ কোটি টাকার লক্ষ্য মাত্রা রেখেছে। একাধারে এমটিএনএলের ক্ষেত্রে সেই বাজেটের সীমা ৩১০ কোটি টাকা।