সংক্ষিপ্ত
ইউনিলিভার প্রায় ১৫ শতাংশ সিনিয়র ম্যানেজার ও ৫ শতাংশ জুনিয়ার ম্যানেজারদেরই ছাঁটাই পর্বের তালিকাভুক্ত করেছে। এই দুই বিভাগের কর্মী ছাটাইয়ের সংখ্যা ১৫০০ । ফুড এবং রিফ্রেশমেন্ট ডিভিশনকেও দুটি ইউনিটে ভাগ করতে চলেছে।
অতিমারি করোনা পরিস্থিতিতে (Covid 19) ফের কোপ পড়তে চলেছে কর্মচারীদের ওপর। দেশের নামী সংস্থা ইউনিলিভারের (Uniliver) তরফে দেওয়া হল এই দুঃসংবাদ। করোনা পরিস্থিতিতে মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ার উপক্রম হল ইউনিলিভার সংস্থার কর্মচারীদের (Employee)। জানা যাচ্ছে, রিস্ট্রাকচারিং ড্রাইভের অংশ হিসেবেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইউনিলিভার কর্তৃপক্ষ। এর ফলে এই সংস্থার প্রায় ১৫০০ কর্মীর ওপর কোপ পড়ার প্রবল সম্ভবনা রয়েছে। শেয়ার হোল্ডারদের ওপর থেকে চাপ কমানোর জন্যই ইউনিলিভার সংস্থার তরফে এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। অতিমারির প্রথম ও দ্বিতীয় ঢেউয়ে সংস্থা তার নিজের অস্তিত্ব বজায় রাখতে কর্মী সংখ্যার ওপর কাঁটছাট করত। কোভিডের তৃতীয় ঢেউয়ে ফের একবার সামনে এল সেই চেনা চিত্র। সর্বশেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, ইউনিলিভার (Uniliver) প্রায় ১৫ শতাংশ সিনিয়র ম্যানেজার ও ৫ শতাংশ জুনিয়ার ম্যানেজারদেরই ছাঁটাই পর্বের তালিকাভুক্ত করেছে। এই দুই বিভাগের কর্মী ছাটাইয়ের সংখ্যা ১৫০০ (1500 Employees May Layoff)। শুধু কর্মী ছাটাই নয়, এর সঙ্গে ফুড এবং রিফ্রেশমেন্ট ডিভিশনকেও দুটি ইউনিটে ভাগ করতে চলেছে। ফুড ডিপার্টমেন্টকে আরও বেশী স্বাস্থ্যকর জীবনযাত্রার উপযোগী করে তুলতে চাইছে। ইউনিলিভার (Uniliver) সংস্থার ব্যবসার এই নতুন আঙ্গিক কতটা সাফল্য পাবে সেটাই দেখার।
সুত্রের খবর অনুযায়ী, সম্প্রতি ইউনিলিভারের মালিকাবায় এক বড় রকমের বদল হয়েছে। বিশিষ্ট বিনিয়োগকারী নেলসন প্লিটজের তরফে একটা মোটা অঙ্কের ফান্ড ঢুকছে ইউনিলিভারে। এই সংস্থার থেকে একটী বড় অংশের শেয়ারও নাকি কিনছে ইউনিলিভার। সংস্থায় নতুন করে বিনিয়োগ শুরু হওয়ার পরই কর্মী ছাঁটাইয়ের ঘোষণা করা হল। এই বিষয় অবশ্য যেটা জানা যাচ্ছে সেটা হল, যাদের প্লিটজি সংস্থার সঙ্গে কাজের অভিজ্ঞতা রয়েছে তাঁদের মতে, বিনিয়োগকারী সংস্থা প্লিটজ বরাবরই নতুনত্বে বিশ্বাসী। যে কোনও সংস্থাকেই নতুনভাবে ঢেলে সাজানোতেই বিশ্বাস রাখে। সেই সঙ্গে স্ট্রিমলাইনিং এবং প্রোডাক্ট ক্যাটাগরি তৈরি করার পথেও হেঁটে থাকে। ইউনিলিভারের কর্মী ছাটাইকে পোষাকি নাম হিসাবে কোম্পানি রিস্ট্রাকচারিং বলে অভিহিত করা হচ্ছে।
অতিমারি কোভিড পরিস্থিতি ২০২২ সালেও অব্যাহত। বিভিন্ন সংস্থা নিজেদের সুবিধার্থে কর্মী ছাটাই তো করে দিচ্ছে, কিন্তু তার পরবর্তী অবস্থা হয়ে উঠছে অত্যন্ত বেদনাদায়ক। বেকারত্বের যন্ত্রনায় ভুগতে হচ্ছে তাঁদের। জীবনযাত্রাম মান একেবারে তলানিতে ঠেকে যাচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে কোনও সংস্থা নতুনভাবে নিয়োগ প্রক্রিয়া সেভাবে চালু করছে না বলেই কর্মী ছাটাইয়ের পর করুণ পরিস্থিতির সৃষ্টি হচ্ছে।