সংক্ষিপ্ত
কিন্তু সকলের পক্ষে অনলাইন ক্লাসের জন্য ল্যাপটপ বা স্মার্টফোনের সুবিধা উপভোগ করা সম্ভব হয় না। সেই বিষয়টাকেই নজরে রেখে ইউনিয়ন বাজেটে শিক্ষাক্ষেত্রে বিশেষ কিছু পদক্ষেপ নেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে কেন্দ্রের, এমনটাই আশা করা হচ্ছে।
যখনই করোনা সংক্রমণের (Covid 19) হার একটু কমেছে, ঠিক তখনই মানুষ আশা করেছে এবার হয়তো পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে যাবে। কিন্তু সেই আশাতে জল ঢেলে নতুন রুপ নিয়ে হাজির হয়েছে কোভিড ১৯। প্রথম ও দ্বিতীয় ঢেউয়ের পর এখন করোনার তৃতীয় ঢেউ ওমিক্রন থাবা বসাচ্ছে মানুষের জীবনে। তাই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো খোলার কথা ভাবলেও, সেই আশা পূরণ হয় নি। তাই অগত্যা অনলাইন ক্লাসের ভরসাতেই ফিরে যেতে হচ্ছে। এর ফলে শিক্ষা পদ্ধতিতেও আমূল পরিবর্তন এসেছে। সকাল থেকে বিকেল প্রায় পুরো সময়টাই ফোনে বা ল্যাপটনে মুখ গুজে থাকতে হচ্ছে পড়ুয়াদের। কিন্তু সকলের পক্ষে অনলাইন ক্লাসের জন্য ল্যাপটপ বা স্মার্টফোনের সুবিধা উপভোগ করা সম্ভব হয় না। সেই বিষয়টাকেই নজরে রেখে ইউনিয়ন বাজেটে শিক্ষাক্ষেত্রে বিশেষ কিছু পদক্ষেপ নেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে কেন্দ্রের, এমনটাই আশা করা হচ্ছে।
পড়ুয়াদের জন্য ল্যাপটপের ব্যবস্থা (Laptop)
অনলাইন এডুকেশনের জন্য ল্যাপটপ বা কম্পিউটারই এখন পড়ুয়াদের অন্যতম ভরসা। স্মার্টফোনের মাধ্যমে সবসময় অনলাইন ক্লাস করা সম্ভব হয়ে ওঠে না। নেটওয়ার্কের সমস্যা বা ফোনের স্ক্রিনে লেখা পড়ার সমস্যার জন্য ল্যাপটপ বা কম্পিউটারই অনলাইন ক্লাসের জন্য আদর্শ। তাই মনে করা হচ্ছে, ইউনিয়নন বাজেটে স্কুলগুলিকে ল্যাপটপে ভর্তুকি দিতে পারে কেন্দ্র। শুধু পড়ুয়ারাই নয়, শিক্ষক-শিক্ষিকাদেরও অনলাইন করানোর জন্য ল্যাপটপ বা কম্পিউটার প্রয়োজন। তাই ২০২২-২৩ অর্থবর্ষের সাধারণ বাজেটে তাঁদের জন্যও ভর্তুকি-যুক্ত ল্যাপটপের কথা ঘোষণা হতে পারে।
ইন্টারনেটে ভর্তুকির আশা (Internet Subsidy)
অনলাইন ক্লাসের চাহিদা বাড়ায় পড়ুয়াদের ইন্টারনেটের ব্যবহার অনস্বীকার্য হয়ে পড়েছে। কিন্তু এদিকে আবার ইন্টারনেটের খরচও ক্রমশ বাড়ছে। অনলাইন ক্লাসের বাইরেও ইন্টারনেটে থেকে অনায়াসে জ্ঞান আহরণের জন্য বিভিন্ন রকমের জিনিস সার্চ করে থাকে পড়ুয়ারা। সব মিলিয়ে পড়ুয়াদের জীবন জুড়ে ইন্টারনেটের প্রভাব অনেকটা। সেই জন্যই ২০২২-২৩ অর্থবর্ষে ইন্টারনেটের ওপর কেন্দ্র ভর্তুকি দিতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে।
সার্বিক বরাদ্দ বৃদ্ধির আশা
২০২১-এ করোনা আবহের জন্য শিক্ষাখাতে বরাদ্দ অনেকটা কমিয়ে দেওয়া হয়েছিল। একধাক্কায় ৬ শতাংশ পর্যন্ত বরাদ্দ কম করা হয়েছিল। সেই বছর শিক্ষাখাতে মোট বরাদ্দের পরিমান ছিল ৯৩ হাজার ২২৩ টাকা। তাই চলতি ২০২২-২৩ অর্থবর্ষে কেন্দ্রের কাছে শিক্ষাখাতে বরাদ্দের পরিমান ১০ শতাশ পর্যন্ত বাড়ানোর হতে পারে বলে মনে করছে বিশেষজ্ঞ মহল।
গবেষণা খাতে বরাদ্দ বৃদ্ধি
শিক্ষার মান বৃদ্ধির জন্য গবেষণার মানও উন্নত হওয়া প্রয়োজন। তাই কেন্দ্রের তরফে গবেষণা ক্ষেত্রের উন্নয়নের দিকে আরও বেশি জোড় দেওয়া হবে বলে মনে করা হচ্ছে। সেই সঙ্গে শিক্ষার মান বাড়ানোর দিকেও বিশেষভাবে ফোকাস করতে পারে কেন্দ্র। কেন্দ্রের আসন্ন ইউনিয়ন বাজেটে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী এনির্মলা সীতারমণের ঝুলিতে শিক্ষাক্ষেত্রকে উন্নত করতে কী কী পদক্ষেপ রয়েছে এখন সেই দিকেই তাকিয়ে গোটা শিক্ষা মহল।