সংক্ষিপ্ত

যদি কোনওভাবেই ৩১শে মার্চ, ২০২২ তারিখের মধ্যে আপনি আয়কর ফাইল জমা (Income tax returns) করতে না পারেন, তবে সমস্যার মধ্যে পড়তে হতে পারে।

অর্থবর্ষ ২০২০-২০২১ সালের জন্য আয়কর জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ৩১শে মার্চ। এর আসল সময় ছিল ৩১শে জুলাই ২০২১। তবে কোভিড পরিস্থিতির কারণে তা বাড়িয়ে ২০২২ সালের ৩১শে মার্চ করা হয়। মাঝে ৩১শে ডিসেম্বর ২০২১ অবধি সময় দেওয়া হয়। ফের তার সময়সীমা বাড়িয়ে করা হয় ১৫ই ফেব্রুয়ারি, ২০২২। এরপর ফের তা বাড়িয়ে করা হয় ১৫ই মার্চ, ২০২২। সর্বশেষ তারিখ ধার্য করা হয় ৩১শে মার্চ, ২০২২। 

এবার আসি আসল কথায়। যদি কোনওভাবেই ৩১শে মার্চ, ২০২২ তারিখের মধ্যে আপনি আয়কর ফাইল জমা করতে না পারেন, তবে সমস্যার মধ্যে পড়তে হতে পারে।

কি কি সমস্যা হতে পারে জেনে নিন

১. আয়কর আইনের ধারা ২৩৪ এফ-এর অধীনে আপনার আয়কর রিটার্ন দাখিল না করার শাস্তি হল পাঁচ হাজার টাকা। তবে যদি আপনার মোট আয় বার্ষিক পাঁচ লক্ষের নিচে হয়, তাহলে আপনাকে শুধুমাত্র এক হাজার টাকা দিতে হবে।

২. এই নিয়মটি সকল করদাতাদের জন্য প্রযোজ্য এবং আপনি অ-করযোগ্য পরিমাণের জন্য ফাইল করলেও জরিমানা দিতে হবে। আয়কর বিভাগ আপনাকে প্রদেয় করের ৫০ শতাংশ জরিমানাও করতে পারে। অন্যথায় তিন বছরের জেল হতে পারেন।

৩. মনে রাখবেন যে জরিমানা দেওয়ার পাশাপাশি আপনাকে সুদও দিতে হতে পারে - প্রতি মাসে এক শতাংশ বা মাসের কিছু অংশ জুড়ে বাকি ট্যাক্সের জন্য সুদ দিতে হতে পারে।

৪. আপনি যদি আপনার রিটার্ন দাখিল না করেন তবে আপনি অনেক বেশি মাত্রায় টিডিএস (tax deducted at source) দিতে বাধ্য থাকবেন। গত বছরের বাজেটে প্রস্তাবিত তথ্যের ভিত্তিতে ট্যাক্স না দেওয়া ব্যক্তিরা সাধারণ হারের দ্বিগুণ বা ৫ শতাংশ টিডিএসের মুখোমুখি হবেন।

৫. আপনি যদি নির্ধারিত সময়ে আপনার রিটার্ন দাখিল করতে ব্যর্থ হন তবে আপনি টিডিএস সংগ্রহ থেকে বকেয়া কোনো অর্থ পাওয়ার সুযোগ হারাবেন। আয়কর বিভাগ গত সপ্তাহে টুইট করে বলেছে যে পয়লা এপ্রিল, ২০২১ থেকে ২০শে মার্চ ২০২২ পর্যন্ত ২.২৬ কোটি করদাতাদের রিফান্ড হিসাবে ১,৯২,৭২০ টাকা রয়েছে। 

নন ফাইলার কারা 

'নন-ফাইলার' হলেন এমন একজন ব্যক্তি যিনি কর কাটার ঠিক আগে দুই বছর আইটিআর ফাইল করেননি; এই ক্ষেত্রে এটি হবে ২০১৯-২০২০ অর্থবর্ষ  এবং ২০১৮-১৯ অর্থবর্ষ।