সংক্ষিপ্ত
এসআইপি নাকি অন্য কোনও মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগ করবেন। কোথায় বিনিয়োগ করলে ভাল রিটার্ন পাবেন,আসুন জেনে নেওয়া যাক।
প্রতিটি মানুষই নিজের ভবিষ্যত সুরক্ষিত করতে একটা প্রকৃত সঞ্চয়ের আস্তানা খুঁজে থাকেন। কোথায় বিনিয়েগ করলে কতটা রিটার্ন পাওয়া যাবে বা সেই রিটার্নের পরিমান কেমন হবে অর্থ্যাৎ রিটার্ন বেশী না হলে বিনিয়োগের সুফল সেভাবে মেনে না। এই সব বিষয়গুলো যখন আপনার মাথায় ঘুরপাক খাচ্ছে তখন যদি আপনার সামনে সুরক্ষিত বিনিয়োগের মাধ্যম হিসাবে এসআইপি এবং অন্য মিউচুয়াল ফান্ডের অপশন দেওয়া হল। এই দুটোর মধ্যে কোনটা আপনার পক্ষে সুবিধাজনক হবে সেটা জেনে নিন। ব্যাঙ্কে এই মুহুর্তে সুদের হার অনেকটাই কমে গেছে। তাই এখন অনেক মানুষই বিনিয়োগের জন্য অন্যতম সুরক্ষিত মাধ্যম হিসাবে বেছে নিচ্ছেন মিউচুয়াল ফান্ডকে। অনেকে আবার একটু বেশী সুদের আশায় এসআইপি-তে বিনিয়োগ করে থাকেন। দুটি ক্ষেত্রেই বিনিয়োগ করলে সুবিধা পাওয়া যাবে। তবে এসআইপি-তে একটু হলেও রিক্স ফ্যাক্টর থেকেই যায়। এক্ষেত্রে একটা কথা অবশ্যই বলতে হয়, যারা প্রতি মাসে নিয়মিত বিনিয়োগ করতে সক্ষম তাঁদের জন্য সিস্টেমেটিক ইনভেস্টমেন্ট প্ল্যানটিই সবচেয়ে বেশী কার্যকরী। এসআইপি-র মাধ্যমে যদি মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগ করেন সেখানেও একটা ভাল রিটার্ন পাওয়ার সম্ভবনা থাকে। আবার অনেক সময় কম সময়ের জন্য মিউচুয়াল ফান্ডের ইক্যুইটি ফান্ডে বিনিয়োগ করলেও আকর্ষণীয় রিটার্ন পাওয়ার একটা সুযোগ থাকে। বলা বাহুল্য, এসআইপি-র মাধ্যমে বিনিয়োগে রিটার্নে চমক থাকলেও রিস্ক কিন্তু সম্পূর্ণ এড়ানো যায় না। কারন মার্কেট রেটের ওপর নির্ভর করে এসআইপি-র সুদের হার।
এসআইপি ক্যালকুলেটর অনুযায়ী, ২০০৯ সালের ১ ডিসেম্বর যদি কেও সিস্টেমেটিক ইনভেস্টমেন্ট প্ল্যানের মাধ্যমে মিউচুয়াল ফান্ডে প্রতি মাসে ১ হাজার টাকা বিনিয়োগ করে তাহলে ২ বছর পর সেই বিনিয়োগের পরিমান দাঁড়াবে ২৪ হাজার টাকা। তাহলে ২ বছরে ইনভেস্টমেন্ট প্ল্যানের মাধ্যেমে ২৪ হাজার টাকার অঙ্ক গিয়ে পৌঁছাবে ৩০ হাজার ৩৮৯ টাকায়। এর থেকে একটা বিষয় কিন্তু স্পষ্ট স্পল্প সময়ের বিনিয়োগে মোটমুটি রিটার্ন পাওয়া যাবে। কিন্তু অল্প সময়ের বিনিয়োগে বেশি রিটার্ন পাওয়ার আশা করলে কিন্তু সেই আশা পূরণ হবে না।
এই বিষয় একটা কথা বলতে হয়, অতিমারি কোভিড পরিস্থিতিতে ২০২০ সালে ১ এপ্রিল যদি কেউ যদি ১২ হাজার টাকা মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগ করেন তাহলে ২০২১ সালের ১ এপ্রিল অর্থাৎ ঠিক ১ বছর পর মোট টাকার পরিমান হবে ২১ হাজার ৭৯৮ টাকা। অন্যদিকে এই একই পরিমান টাকা যদি সিস্টেমেটিক বিনিয়োগ প্ল্য়ানের মাধ্যমে কেও বিনিয়োগ করে থাকেন অর্থাৎ প্রতিমাসে ১ হাজার টাকা করে বিনিয়োগ করে তাহলে বর্ষশেষে সেই টাকার মোট পরিমান দাঁড়াবে ১৫ হাজার ৯০০ টাকা। ঠিক একইভাবে এই ১২০০০ টাকা যদি মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগ করা হয় তাহলে তাহলে এক বছর বাদে রিটার্নের পরিমান দাঁড়াবে ৫ হাজার ৫৮২ টাকা। তাহলে এর থেকে একটা বিষয় কিন্তু স্পষ্ট যে সিস্টেমেটিক ইনভেস্টমেন্ট প্ল্যানের মাধ্যমে মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে সুদের হার অনেকটাই বেশী হয়।