সংক্ষিপ্ত
রাজ্যের চাকরিপ্রার্থীদের বিনামূল্যে পুলিশের প্রশিক্ষণ দেওয়ার কথা ঘোষণা করল রাজ্য সরকার। তাই যে সমস্ত চাকরিপ্রার্থীরা পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের পুলিশ হবার জন্য ছোটবেলা থেকে স্বপ্ন দেখে আসছেন তাদের জন্য এটি এক সুবর্ণ সুযোগ।
সারা দেশে যেমন বেকারত্বের সমস্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে সেরকম পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যেও সেই একই সমস্যা রয়েছে। পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যে যত ছেলে মেয়ে বর্তমানে পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হচ্ছেন, সেই অনুপাতে চাকরি প্রদান করতে পারছে না সরকার। এবার সেই দিকেই দৃষ্টিপাত করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়।
রাজ্যের চাকরিপ্রার্থীদের বিনামূল্যে পুলিশের প্রশিক্ষণ দেওয়ার কথা ঘোষণা করল রাজ্য সরকার। তাই যে সমস্ত চাকরিপ্রার্থীরা পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের পুলিশ হবার জন্য ছোটবেলা থেকে স্বপ্ন দেখে আসছেন তাদের জন্য এটি এক সুবর্ণ সুযোগ।
এই প্রশিক্ষণের জন্য আবেদন কীভাবে করবেন?
পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারের এই অভিনব প্রশিক্ষণ প্রকল্পের আবেদন করার জন্য প্রথমেই আপনাকে চলে যেতে হবে WBMDFC র অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে। এক্ষেত্রে উল্লেখ্য, এই প্রশিক্ষণের জন্য আবেদন গ্রহণ ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে। ০৪/০৮/২০২৪ অর্থাৎ সামনের রবিবার পর্যন্ত এই আবেদন গ্রহণ করা হবে।
প্রশিক্ষণ সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য
১) মোট তিন মাস ধরে এই প্রশিক্ষণ প্রদান করা হবে যোগ্য প্রার্থীদের।
২) সপ্তাহে মোট দুই থেকে তিন দিন ক্লাসের ব্যবস্থা করা হবে সরকারের পক্ষ থেকে।
৩) এক্ষেত্রে কোন রকম পরবর্তী চাকরির প্রতিশ্রুতি দেওয়া হবে না।
৪) আগ্রহী প্রার্থীরা নিজের নিকটবর্তী প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে এই প্রশিক্ষণ গ্রহণ করতে পারবেন।
৫) এই প্রশিক্ষণ থেকে মূলত যারা পুলিশে পরীক্ষা দিয়ে রাজ্যের পুলিশ বিভাগের যোগদান করতে ইচ্ছুক, তাদের বিভিন্ন যোগ্যতার জন্য তৈরি করে দেওয়া হবে।
কোন ওয়েবসাইট থেকে অফিশিয়াল বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছে?
পশ্চিমবঙ্গ সংখ্যালঘু উন্নয়ন ও বিত্ত নিগম (WBMDFC) এর অফিসিয়াল ওয়েবসাইট থেকে এই বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে।
কারা এই প্রশিক্ষণে অংশ নেওয়ার জন্য উপযোগী হবেন?
১) আগ্রহী প্রার্থীকে অবশ্যই পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের স্থায়ী বাসিন্দা হতে হবে। অন্য কোন রাজ্য থেকে এই পদের জন্য আবেদন করতে পারবেন না।
২) আগ্রহী আবেদনকারীকে অবশ্যই সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের যুবক অথবা যুবতী হতে হবে। অর্থাৎ আগ্রহী প্রশিক্ষণ প্রার্থীদের বৌদ্ধ, খ্রিস্টান, জৈন, মুসলিম, পার্সি, শিখ ইত্যাদি সম্প্রদায়ের অন্তর্ভুক্ত হতে হবে।
৩) আগ্রহী যুবক-যুবতীদের বয়স হতে হবে সর্বনিম্ন ১৮ বছর থেকে সর্বোচ্চ ৩০ বছরের মধ্যে।
৪) শিক্ষাগত যোগ্যতার মাপকাঠি ন্যূনতম মাধ্যমিক পাশ। অর্থাৎ ইচ্ছুক প্রার্থীকে ন্যূনতম মাধ্যমিক অথবা তার সমতুল্য যে কোন পরীক্ষায় পাস করে থাকতে হবে। সেই পরীক্ষার যথোপযুক্ত সার্টিফিকেট সঙ্গে থাকা আবশ্যক।
৫) এই প্রশিক্ষণ নেওয়ার জন্য যোগ্য যুবকদের উচ্চতা ১৬৭ সেন্টিমিটার এবং যোগ্য যুবতীদের উচ্চতা ১৬০ সেন্টিমিটার হওয়া উচিত।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।