সংক্ষিপ্ত

উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় খাতায় রাজনৈতিক স্লোগান লিখলে বাতিল হতে পারে পরীক্ষা। শিক্ষা সংসদের নির্দেশিকায় আরও বলা হয়েছে, ভুল তথ্য, অন্যের সাহায্য বা অনুচিত কোনও কিছু পাওয়া গেলে পরীক্ষা বাতিল হতে পারে।

উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার কাউন্টডাউন শুরু হয়েছে। সম্প্রতি উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ পরীক্ষার্থীদের জন্য ২৫ দফা নিয়মবিধির কথা জানিয়ে একটি নির্দেশিকা প্রকাশ ররেছে। সেখানাই নানা ধরনের বিধিনিষেধের কথা জানিয়েছে পশ্চিমবঙ্গে উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ। যারমধ্যে সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ হল, খাতায় রাজনৈতিক স্লোগান লিখলে বাতিল হতে পারে পরীক্ষার খাতা। পরীক্ষার্থীদের তরফে সন্তোষজনক উত্তর না মিললে বাতিল হতে পারে গোটা পরীক্ষাই।

শিক্ষা সংসদের নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, কোনও পরীক্ষার্থী খাতায় ভুল নাম ও রেজিস্ট্রেশন নম্বর লিখলে উত্তরপত্র নিয়ে পরীক্ষা কেন্দ্র ছাড়লেও পরীক্ষা বাতিল হতে পারে। অন্য পরীক্ষার্থীকে খাতা বা উত্তরপত্র লিখলে বা লিখতে সাহায্য করা যাবে না। উত্তরপত্রে উত্তর লেখা চিরকূট , টাকার নোট পাওয়া গেলেও সংশ্লিষ্ট পরীক্ষার্থীর পরীক্ষা বাতিল হতে পারে।

প্রতিবছরই উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের জন্য একাধিক নির্দেশিকা জারি করে উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ। উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের সভাপতি চিরঞ্জীব ভট্টাচার্য বলেছেন, পরীক্ষার্থীদের জন্য এর আগেও এজাতীয় নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। নিয়মমাফিক এই নির্দেশিকা। তিনি আরও বলেন, কোনও পরীক্ষার্থী যদি খাতায় অপ্রাসঙ্গিক কোনও রাজনৈতিক স্লোগান বা মন্তব্য লেখেন তাহলে সংশ্লিষ্টের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করা হতে পারে। তিনি আরও বলেন, যদি কোনও পড়ুয়া এই কাজ করে তাহলে সেই বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেমে অনিয়ম রোধে তৈরি হওয়া একটি কমিটি। প্রয়োজনে সংশ্লিষ্ট পড়ুয়াকে ডেকে পাঠান হতে পারে। তার কাছে কারণ জানতে চাওয়া হতে পারে। পড়ুয়ার ব্যাখ্যার পরেই সংশ্লিষ্ট কমিটি সিদ্ধান্ত নেবে।

শিক্ষা সংসদের তরফে এটিকে রুটিন নির্দেশিকা বলা হলেও আরজি কর-কাণ্ডের আবহে বিষয়টিকে তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছেন কেউ কেউ। আরজি কর হাসপাতালে ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনায় বিচার চেয়ে সমাজমাধ্যমে তো বটেই, এমনকি খেলার ময়দানেও সরব হচ্ছেন বিভিন্ন মানুষ। তাতে উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের এই নির্দেশিকা গুরুত্বপূর্ণ বলেও মনে করেছেন অনেকে।

আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।