সংক্ষিপ্ত

 

  • ২০১৬ সালে নবগ্রামে সিপিএম জয়ী হয়েছিল 
  • বিজেপি পেয়েছিল মাত্র ১৩ হাজার ৮৪ ভোট 
  • সিপিএমকে টপকে বিজেপি দ্বিতীয় স্থানে আসে 
  • সিপিএমের  ভোটব্যাঙ্কে বিজেপি ধস নামিয়েছে 
     


সিপিএমের কাছে লাল দুর্গ সীমান্তের জেলা মুর্শিদাবাদের নবগ্রাম কেন্দ্র ধরে রাখতে পথে প্রধান 'বিধি বাম' হয়ে দাঁড়িয়েছে গেরুয়া। ২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে সিপিএম নবগ্রাম বিধানসভা কেন্দ্রে ৯৯ হাজার ৫৪৫ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছিল। বিজেপি পেয়েছিল মাত্র ১৩ হাজার ৮৪ ভোট। অথচ লোকসভা নির্বাচনের ফলাফলের নিরিখে এখানে সিপিএমকে টপকে বিজেপি দ্বিতীয় স্থান দখল করে। প্রথম স্থানে ছিল তৃণমূল। সিপিএমের  ভোটব্যাঙ্কে বিজেপি বড়োসড়ো ধস নামিয়েছে। বামফ্রন্টের ভোট পেয়েই তারা দ্বিতীয় হয়। 


এবারের বিধানসভা নির্বাচনে সেই সমস্ত বাম কর্মী-সমর্থকদের ঘর ওয়াপসি করাতে মরিয়া হয়ে উঠেছেন সিপিএম প্রার্থী কৃপালিনী ঘোষ। সকাল  থেকে রাত পর্যন্ত তিনি গ্রামের পর গ্রাম চষে বেড়াচ্ছেন। বৈশাখের কড়া রোদ উপেক্ষা করে দুপুরবেলাতেও ভোটারদের দরজায় তিনি কড়া নাড়ছেন। প্রতিদিনই ১৫ থেকে ২০টি গ্রামে প্রচারে যাচ্ছেন।সিপিএম নেতৃত্বের দাবি, ৪১ বছরের কৃপালিনীদেবী লড়াকু নেত্রী। তিনি রাধারঘাট পঞ্চায়েতের প্রধান  ছিলেন। তিনি প্রথম থেকেই বাম ঘরানার রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত। তাই তাঁর উপরে দলের নেতারা আস্থা রাখছেন। গেরুয়া শিবিরে চলে যাওয়া বামেদের আবার তিনি ঘরে ফেরাতে পারবেন বলে নেতারা আশাবাদী।


 সিপিএম প্রার্থী নিজের মুখে বলেন, প্রতিটি পঞ্চায়েত ধরে ধরে প্রচার শুরু করেছি। এক সময় যারা আমাদের ছেড়ে চলে গিয়েছিল তাদের কাছেও যাচ্ছি। তারা নিজেদের ভুল বুঝতে পেরেছে। আবার ঘরে ফিরতে চাইছে"। রাজনৈতিক মহলের মতে, সিপিএমের ভিয়েতনাম বলে পরিচিত নবগ্রামে বামেদের ভোটের ফলাফলের ওপর তাদের আগামী দিনের ভবিষ্যৎ নির্ভর করছে মুর্শিদাবাদ জেলায় অবস্থিত টিকিয়ে রাখার ক্ষেত্রে।বিজেপিও কোমর বেঁধে নেমেছে জেলায় তাদের নতুন ভিত্তি গড়ে তুলতে।তবে সিপিএম নেতাদের দাবি, লোকসভা নির্বাচন অন্য একটা প্রেক্ষাপটে হয়েছিল। সেই সময় সংখ্যালঘু ভোটের একটা অংশ গেরুয়া শিবিরের ঝুলিতে গিয়েছিল। 

 

স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, নবগ্রাম বরাবরই বামেদের শক্ত ঘাঁটি। ২০১৬ সালের নির্বাচনে এখানে সিপিএম জয়ী হয়। পরে বাম বিধায়ক তৃণমূলে যোগ দেন। নিচুতলার কর্মী-সমর্থকদের অনেককেই বিজেপি নিজের দিকে টেনে নিয়েছিল। কিন্তু এবারের নির্বাচনে আগের সেই অবস্থানে দলকে ফেরানোর জন্য সিপিএম প্রার্থী মরিয়া হয়ে উঠেছেন।  যদিও বিজেপির মুর্শিদাবাদ জেলা সভাপতি গৌরীশঙ্কর ঘোষ বলেন, এবারের নির্বাচনে তারা নবগ্রামে প্রথম স্থানে থাকবে। শুধু সিপিএম নয়, সমস্ত দলের মানুষই আমাদের সমর্থন করছে। ওরা হাজার চেষ্টা করলেও কিছুই করতে পারবে না। সিপিএম নামক দলটি গোটা রাজ্যেে অপাংক্তেয় হয়ে গিয়েছে এখন"।