সংক্ষিপ্ত

শনিবার রাজ্যে চলছে পঞ্চম দফার ভোট

এদিনই রাজ্যে বেশ কয়েকটি প্রচার সভা করছেন প্রধানমন্ত্রী

আসানসোলের সভার আগে তিনি দেখা করলেন আট শহিদ পরিবারের সঙ্গে

এই বিজেপি কর্মীরা রাজনৈতিক হিংসার সিকার হয়েছিলেন

শনিবার রাজ্যে একদিকে যখন ভোট চলছে, অন্যদিকে এদিনই রাজ্যে বেশ কয়েকটি প্রচার সভা করছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আসানসোলের সভার আগে এদিন বিজেপির বেশ কয়েকজন শহিদ কর্মীর পরিবারবর্গের সঙ্গে সাক্ষাত করেন প্রধানমন্ত্রী। এঁরা প্রত্য়েকেই গেরুয়া বাহিনীর হয়ে রাজনৈতিক কর্মসূচি পালন করতে গিয়ে শহিদ হয়েছেন। এদিন এরকম ৮ জন শহিদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।

শহিদ পরিবারের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী মোদী

২০১৯ সালের ২০ জুন সকাল ১১টা নাগাদ গুলি চলেছিল কাঁকিনাড়া বাজারে। তার আগে পর্যন্ত ওই বাজজার এলাকায় পরিবেশ একেবারে শান্ত ছিল। দোকানপাট চলছিল প্রতিদিনের মতোই। বাজার এলাকায় প্রচুর মানুষের ভিড়ও ছিল। তারমধ্য়েই গুলি চালিয়েছিল দুষ্কৃতীরা। প্রাণ গিয়েছিল ৩৫ বছরের ধর্মবীর সাভ এবং ২০ বছরের রামবাবু সাভ-এর। গুলিবিদ্ধ হয়েছিলেন আরও ৫ জন।

২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনের পরই একেবারে বাড়ির সামনে ৩৩ বছরের চন্দন সাউকে ঘিরে ধরে ছিল তৃণমূল কংগ্রকেস কর্মীরা। গুলিতে প্রাণ যায় তাঁর। গুলিবিদ্ধ হয়েছিলেন আরও ৪ জন বিজেপি কর্মী।

২০২০ সালের ১৫মে তৃণমূলের গুন্ডাদের হাতে প্রাণ গিয়েছিল দুই ভাই ৩০ বছরের অনুপ মন্ডল এবং ২৮ বছরের সুশান্ত মন্ডলের। বড় ভাইকে ৪টি গুলি করা হয়েছিল, ছোটভাইয়ের গায়ে লেগেছিল ৮টি গুলি। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয়েছিল তাদের।

২০১৯ সালের ২২মে শহিদ হয়েছিলেন বিদেপি কর্মী রাজেশ সাউ। নির্বাচনে কাজে নিযুক্ত পুলিশ কর্মীদের সঙ্গে পুলিশে ইউনিফর্ম পরে এক বিশেষ সম্প্রদায়ের কিছু মানুষ তাঁকে গুল করেছিল বলে অভিযোগ।

২০২০ সালের ১২ ডিসেম্বর, এলাকায় 'আর নয় অন্যায়' কর্মসূচির প্রচার চালাচ্ছিলেন ২৮ বছরের সৈকত বাওয়াল। কয়েকজন তৃমমূল কংগ্রেস কর্মী তাকে ঘিরে ধরে বেধড়ক পিটিয়েছিল। অন্তত ১০০ বারেও বেশি ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপানো হয় তাকে।

আরও পড়ুন - 'এবার, ২০০ আসন পার' - একান্ত সাক্ষাতকারে কী জানালেন স্বপন দাশগুপ্ত

আরও পড়ুন - সংগঠন থেকে প্রচার, আরএসএস-ই গড়ে দিয়েছে বিজেপির জয়ের ভিত

আরও পড়ুন - শহুরে ভোট ধরতে কৌশল বদল, কোন হাতিয়ারে শিক্ষিত বাঙালীর মন জিততে চাইছে বিজেপি

একক বিশেষ সম্প্রদায়ের  দুষ্কৃতীদের হাতে খুন হয়েছিলেন ২৪ বছরের লালা চৌধুরী, এমনটাই অভিযোগ গেরুয়া শিবিরের। তাঁর মাথা এবং যৌনাঙ্গ শরীর থেকে কেটে আলাদা করে দেওয়া হয়েছিল। কাটা মাথাটি আবার একটি বাক্সে পুরে একটি ট্রেনে তুলে দেওয়া হয়েছিল। দেহ থেকে প্রায় ৭০ কিলোমিটার দূরে তার মাথা পাওয়া গিয়েছিল।

শনিবার, এই শহিদদের পরিবারের সঙ্গেই দেখা করেন প্রধানমন্ত্রী। তাঁদের স্বান্তনা দেন। গত মার্চ মাসেই রাজ্য বিদেপি জানিয়েছিল, নির্বাচনের মুখে রাজ্যের মানুষের সামনে তৃণমূল কংগ্রেস ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকারের অত্যাচারের ছবি তুলে ধরতে, ১২৯ জন নিহত বিজেপি কর্মীর পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে সাক্ষাত করবেন বিজেপির শীর্ষ নেতারা। বিগত কয়েক বছরে এঁরা প্রত্যেকেই তৃণমূল কংগ্রেসের রাজনৈতিক হিংসার শিকার হয়েছিলেন। জানা গিয়েছিল, অমিত শাহ প্রায় ৮৭ জন শহিদ পার্টি কর্মীর পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন। আর বাকিদের পরিবারের কাছে যাবেন জেপি নাড্ডা এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সেই কর্মসূচির অংশ হিসাবেই এদিন শহিদ পরিবারদের সঙ্গে দেখা করেন নরেন্দ্র মোদী।