সংক্ষিপ্ত
লকডাউন-এর সময়সীমা ৪ মে পর্যন্ত বাড়ানো হল
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী স্বয়ং এই ঘোষণা করলেন
এই দাবি করে টিভি ভাষণের একটি স্ক্রিনশট-সহ আসছে বার্তা
এটা কি সত্যি না ভুয়ো
লকডাউন-এর সময়সীমা ৪ মে পর্যন্ত বাড়ানো হল বলে ঘোষণা করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সঙ্গে নরেন্দ্র মোদীর টিবিতে ভাষণ দেওয়ার একটি স্ক্রিনশট, যার নিচে স্ক্রোলেও দেখা যাচ্ছে লকডাউনের সময় বাড়ানোর কথাই লেখা। এই বার্তাটি মোবাইল আসতেই অনেকেই থলি হাতে ছুটেছেন বাজারে। ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত তৈরি আছেন। কিন্তু, আরও তিন সপ্তাহের জন্য তো প্রস্তুতি নেই। কিন্তু, সত্যিই কী লকডাউনের সীমা বাড়ানোর ঘোষণা করেছেন নরেন্দ্র মোদী?
গত ২৪ ঘন্টায় ভারতের বিভিন্ন জায়গাতেই সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি বিশেষ চ্যানেলের একটি স্ক্রিনশট ঘুরছে। সেখানে প্রধানমন্ত্রী মোদীর জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ দিচ্ছেন। দাবি করা হচ্ছে সারা ভারতেই লকডাউনের সময়সীমা ৪ মে অবধি বেড়েছে। ওইদিন পর্যন্ত এখনকার মতোই সবকিছু বন্ধ তো থাকবেই, এমনকী জায়গায় জায়গায় নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দোকানও বন্ধ করে দেওয়া হতে পারে।
এই সেই ভাইরাল হওয়া স্ক্রিনশট
বহু মানুষ হোয়াটসঅ্যাপ, ফেসবুক এবং টুইটারে এই বার্তাটি পেয়েছেন, আবার নিকটজনদের এই নিয়ে সতর্ক করতে সেই বার্তাটি তাদের কাছেও পাঠিয়ে দিয়েছেন। বার্তাটি এতটাই ভাইরাল হয়েছে, যে গুগল ট্রেন্ডস-এ দেখা যাচ্ছে গত ২৯ মার্চ থেকে ৪ এপ্রিলের মধ্যে প্রায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যার মতোই একলাফে গুগলে ভারত থেকে অনুসন্ধান বেড়েছে লকডাউনের সময় আরও বাড়ানো হবে কি না, তাই নিয়ে।
৯ মিনিটের ব্ল্যাকআউটে ফ্যান-এসি-ফ্রিজ সব চালিয়ে রাখুন, মোদীর ডাকে ঘনাচ্ছে বড় বিপদ
গাজিয়াবাদের পর কানপুর, তাবলিগিদের 'করোনা-জেহাদি' আচরণে সন্ত্রস্ত চিকিৎসাকর্মীরা
আইসিএমআর'এর দুর্দান্ত কৌশল, সবুজ সঙ্কেত পেলে খুব তাড়াতাড়িই বিদায় নেবে করোনা
এশিয়ানেট নিউজ বাংলার অনুসন্ধানে অবশ্য দেখা যাচ্ছে এই বার্তাটি একেবারেই ভুয়ো। ৪ মে পর্যন্ত কেন, এখনও পর্যন্ত ২১দিনের থেকে একদিনের জন্যও লকডাউনের সময়সীমা বাড়ানোর কোনও কথা বলা হয়নি। আর যে সর্বভারতীয় টেলি চ্যানেলের স্ক্রিনশটটি প্রকাশ করা হচ্ছে, ওই বিশেষ টেলি চ্যানেলটিই এই খবরের সত্যতা অস্বীকার করেছে।
এই খবরের স্ক্রিনশটের উপরই কারিকুরি করা হয়েছে
জানা গিয়েছে ওই স্ক্রিনশট গত ২৪ মার্চ লকডাউনের ঘোষণার সময়ের। ওইদিন বক্তব্য রাখার সময়ে প্রধানমন্ত্রী মোদীর পোশাকও এই তথ্যকে সমর্থন করছে। তাছাড়া, এশিয়ানেট নিউজ বাংলার কাজটা আরও সহজ করে দিয়েছে সরকারি তথ্য যাচাই সংস্থা পিআইবি, অর্থাৎ প্রেস ইনফরমেশন ব্যুরো। তারাও এই তথ্য যাচাই করে এটিকে ভুয়ো বলেছে।
কাজেই, বুঝতেই পারচেন, য়ে কোনও সময়ে আসতে পারে এই ভুয়ো খবরের বার্তা। তৈরি থাকুন তার জন্য। এই খবরে কান দিয়ে লকডাউনের মধ্যে হুড়মুড়িয়ে বাজারে ছুটে নিজের ও আর পাঁচজনের বিপদ ডেকে আনবেন না।