সংক্ষিপ্ত

বাড়ছে মিউকরমাইকোসিস বা কালো ছত্রাক সংক্রমণের দাপট

এই রোগ শুরুতেই ধরতে পারলে মৃত্যুভয় থাকে না

করোনা রোগীরা কীভাবে বুঝবেন তাদের কালো ছত্রাক সংক্রমণ হয়েছে

এইমস-এর ডিরেক্টর ডা, রণদীপ গুলেরিয়া এই রোগের প্রাথমিক লক্ষণগুলি জানালেন

ভারতে ক্রমে বাড়ছে মিউকরমাইকোসিস বা কালো ছত্রাক সংক্রমণের দাপট। করোনাই এই সংক্রমণের রাস্তা করে দিয়েছে। চিকিৎসরা সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, করোনা আক্রান্তরা ছাড়া বাকিদের এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা প্রায় নেই বললেই চলে। কিন্তু, করোনা আক্রান্ত হয়েছেন যাঁরা, করোনা মুক্ত হয়েও তাঁদের রক্ষা নেই। এদিনই কলকাতায় এইরকম এক করোনামক্ত মহিলার মৃত্যু হয়েছে মিউকরমাইকোসিসে। চিকিৎসকরা বলছেন, সংক্রমণের প্রথম ধাপেই যদি রোগ নির্ণয় করা যায়, তাহলে প্রাণহানির আশঙ্কা কমে যায়। কিন্তু, করোনাজয়ীরা কীভাবে দ্রুত ধরতে পারবেন, যে তাঁরা কালো ছত্রাকে সংক্রমিত হয়েছেন?  

শনিবার এই বিষয়ে আলোকপাত করেছেন অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অফ মেডিকেল সায়েন্সেস বা এইমস (AIIMS) হাসপাতালের প্রধান ডা. রণদীপ গুলেরিয়া। তিনি জানিয়েছেন, কোভিড-১৯ রোগীরা যদি দেখেন, তাঁরা সেরে উঠছেন, কিন্তু তাঁদের মাথাব্যথা বা মুখের একপাশে ফোলাভাব কিছুতেই কমছে না, তাদের অবিলম্বে চিকিৎসকদের সঙ্গে যোগাযোগ করা উচিত। কালো ছত্রাক সংক্রমণ হয়েছে কি না, পরীক্ষা করাতে হবে। এছাড়া, কালো ছত্রাক সংক্রমণের প্রাথমিক লক্ষণগুলির মধ্যে রয়েছে মুখের বিবর্ণতা, মুখের কোনও অংশের সংবেদন কমে যাওয়া, নাসিকাপথ বন্ধ হয়ে যাওয়া ইত্যাদি।

কীভাবে কালো ছত্রাক সংক্রমণ বা মিউকরমাইকোসিস রোগ নির্ণয় করা যায়? ডাক্তার গুলেরিয়া জানিয়েছেন, বেশ কয়েকটি উপায় রয়েছে। সাইনাস-এর এক্স-রে বা সিটি স্ক্যান, নাকের এন্ডোস্কপির মাধ্যমে বায়োপসি, রক্ত ​​পরীক্ষার মাধ্যমে পলিমারাইজড চেইন রিঅ্যাকশন (PCR) ভিত্তিক পরীক্ষার মাধ্যমেও কালো ছত্রাক সংক্রমণ ধরা যায়।

করোনার প্রথম তরঙ্গের সময়ও মিউকরমাইকোসিস রোগ দেখা গেলেও দ্বিতীয় তরঙ্গে কালো ছত্রাকের ঘটনা অনেক বেশি শোনা যাচ্ছে। ডা. গুলেরিয়ার মতে স্টেরয়েডের অনিয়ন্ত্রিত ব্যবহার ও বিক্রয়ের কারণেই কালো ছত্রাক রোগ সংক্রমনের ঘটনা ভারতে আরও বেশি হচ্ছে।  সব বয়সের মানুষেরই এই সমক্রমণ হওয়ার সম্ভাবনা থাকলেও কোভিড রোগী এবং  ৪০ উর্ধ্বদের যাদের ডায়াবেটিস রয়েছে, তাদের ক্ষেত্রে সংক্রামিত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি।