সংক্ষিপ্ত

পাকিস্তানের বিরুদ্ধে যুদ্ধ লাগলে কি দিল্লিকে বন্দুক কিনতে হবে

নাকি উত্তর প্রদেশ কিনবে ট্যাঙ্ক

করোনা টিকা সংগ্রহেরদায় রাজ্যগুলির উপর ছাড়ার নিন্দা করলেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল

ফাইজার ও মডার্নার কেউ দিল্লিকে টিকা বেচতে রাজি নয়

ধরা যাক, পাকিস্তান ভারতকে আক্রমণ করল। সেই ক্ষেত্রে আত্মরক্ষার জন্য কি রাজ্যগুলিকেই স্বতন্ত্রভাবে গোলাবারুদ কিনতে হবে? উত্তরপ্রদেশ কিনবে নিজেদের ট্যাঙ্ক? নাকি দিল্লি আলাদা করে কিনবে নিজস্ব বন্দুক? বুধবার বিকালে কেন্দ্রের পক্ষ থেকে করোনা টিকা ক্রয়ের দায়ভার রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলির উপর ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্তের প্রবল সমালোচনা করে, দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল পাকিস্তানের বিরুদ্ধে যুদ্ধের প্রসঙ্গ টেনে আনলেন।

দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর সাফ কথা পাকিস্তানের বিরুদ্ধে যুদ্ধে যেমন অস্ত্র ও গোলাবারুদ কেনার দায় রাজ্যগুলির উপর ছেড়ে দেবে না কেন্দ্র, তেমনই করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন কেনার জন্য রাজ্যগুলি নিজেদের মধ্যে প্রতিযোগিতা করবে, এমনটা হতে পারে না। কেজরিওয়াল টিকাকরণ অভিযানে কেন্দ্রকে সক্রিয় ভূমিকা নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। রাজ্যগুলির উপর এর দায়ভার ছেড়ে দিয়ে এবং তাদের টিকা নির্মাতাদের সঙ্গে আলাদা আলাদা ভাবে চুক্তি করতে বাধ্য করার থেকে, জরুরী ভিত্তিতে দেশের রাজধানী এবং বাকি অংশে মানুষের প্রাণ বাঁচাতে, কেন্দ্রেরই পর্যাপ্ত পরিমাণ টিকা সংগ্রহ করা উচিত বলে মন্তব্য করেন তিনি।

তিনি প্রশ্ন করেন, 'কেন দেশের সরকার ভ্যাকসিন কিনছে না? আমরা এটাকে আলাদা আলাদা রাজ্যের উপর ছেড়ে দিতে পারি না। আমরা কোভিড-১৯'এর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করছি।' তিনি দাবি করেন, ভারতের মাটিতে ভারতীয়রাই করোনার প্রথম টিকাটি তৈরি করেছিল। কিন্তু, অন্যান্য দেশের মতো আগে থেকেই উৎপাদন ও মজুত করা না শুরু করে, ভারত ছয় মাস দেরি করেছে। পরীক্ষা পর্ব চলাকালীনই টিকা উত্পাদন ও মজুত করা উচিত ছিল বলে মন্তব্য করেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর মতে সেটা করলে, করোনার দ্বিতীয় তরঙ্গে মৃত্যু-মিছিল কিছুটা হলেও আটকানো যেত।