সংক্ষিপ্ত
কোভিডের দ্বিতীয় তরঙ্গের সময় দিল্লির অক্সিজেন চাহিদা ছিল অতিরঞ্জিত
কেন্দ্রের অডিট টিম এই রিপোর্টই জমা দিয়েছে আদালতে
এই নিয়ে উত্তাল রাজধানীর রাজনীতি
তারমধ্যেই টুইট করে অপরাধ স্বীকার করলেন কেজরিওয়াল
'আমার অপরাধ - আমি আমার ২ কোটি মানুষের শ্বাসের জন্য লড়াই করেছি।' কোভিডের দ্বিতীয় তরঙ্গের শিখরে দিল্লির অক্সিজেনের চাহিদা চারগুণ বাড়িয়ে দেখানো হয়েছিল এবং তার ফলে রাজ্যগুলিকে ভুগতে হয়েছে - সুপ্রিম কোর্টে জমা দেওয়া প্রতিবেদনে কেন্দ্রের অডিট টিম, এই দাবি করার পর, এভাবেই তার জবাব দিলেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। আপ দলের পক্ষ থেকেও দাবি করা হয়েছে এরকম কোনও রিপোর্ট নেই, এটা 'মিথ্যা' অপপ্রচার। ফলে নতুন করে অক্সিজেন চাহিদা নিয়ে কেন্দ্র-রাজ্য সংঘর্ষের পরিবেশ তৈরি হয়েছে।
এদিন এই রিপোর্টের কথা জানাজানি হতেই কেজরিওয়াল হিন্দিতে টুইট করে বলেন, 'আমার অপরাধ - আমি আমার ২ কোটি মানুষের শ্বাসের জন্য লড়াই করেছি। আপনারা যখন নির্বাচনী সমাবেশ করছেন, (তখন) আমি রাত জেগে অক্সিজেনের ব্যবস্থা করছিলাম। মানুষের জন্য অক্সিজেন পেতে আমি আমি লড়াই করেছি, আবেদন করেছি। অক্সিজেনের অভাবে মানুষ তাঁদের প্রিয়জনদের হারিয়েছেন। তাঁদের মিথ্যাবাদী বলবেন না, তাঁদের খুব খারাপ লাগছে।'
এদিনই সুপ্রিম কোর্টে কেন্দ্র অক্সিজেন সম্পর্কিত এই রিপোর্টটি জমা দিয়েছে। রিপোর্টটি তৈরি করেছে আদালতের তৈরি একটি সাব-গ্রুপ, যার নেতৃত্বে ছিলেন দিল্লির এইমস হাসপাতালের ডিরেক্টর ডাক্তার রণদীপ গুলেরিয়া। এছাড়া এই সাবগ্রুপে ছিলেন দিল্লি সরকারের প্রধান স্বরাষ্ট্রসচিব ভূপিন্দর ভাল্লা, ম্যাক্স হেলথ কেয়ার-এর ডিরেক্টর সন্দীপ বুদ্ধিরাজ, কেন্দ্রীয় জলশক্তি মন্ত্রকের যুগ্ম সচিব সুবোধ যাদব এবং পেট্রোলিয়াম অক্সিজেন সেফটি অর্গানাইজেশন বা পেসো'র (PESO) সঞ্জয় কুমার সিং। পেসো'র সমীক্ষায় বলা হয়েছে, দিল্লিতে 'অক্সিজেন উদ্বৃত্ত ছিল, যা অন্যান্য রাজ্যগুলিতে সরবরাহকে প্রভাবিত করেছে এবং যদি এভাবে চলতে থাকে, তাহলে আরও একটি বিপর্যয় সময়ের অপেক্ষা।'
দিল্লির উপ-মুখ্যমন্ত্রী তথা আপ নেতা মণীশ সিসোদিয়া অবশ্য এই ধরণের কোনও 'প্রতিবেদন'এর অস্তিত্বই অস্বীকার করেছেন। তিনি দাবি করেন, বিজেপি এই বিষয়ে মিথ্যা বলছে। তিনি বলেন, সুপ্রিম কোর্ট যে অক্সিজেন অডিট কমিটি গঠন করেছিল, তার অনেক সদস্যের সঙ্গেই তাঁরা কথা বলেছেন। সকলেই এ জাতীয় কোনও প্রতিবেদনে স্বাক্ষর করেনি বলে জানিয়েছেন।