সংক্ষিপ্ত
- অক্সিজেন নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের অডিট কমিটি
- অডিট কমিটির রিপোর্টে একাধিক তথ্য
- প্রয়োজনের তুলনায় বেশি অক্সিজেন চেয়েছিল দিল্লি
- ১২টি রাজ্যকে সমস্যায় ফেলতে পারত
করোভাইরাসের দ্বিতীয় তরঙ্গে যথেষ্ট প্রভাব পড়েছিল জাতীয় রাজনীতি দিল্লিতে। চাহিদা বাড়ছিল অক্সিজেনের। চাহিদা অনুযায়ী যোগান না পাওয়ার অভিযোগ তুলে দিল্লির অরবিন্দ কেজরিওয়াল সরকার একাধিক কার মোদী সরকারের বিরুদ্ধে তোপ দেগেছিলেন। অক্সিজেনের যোগানের বিষয়টি পৌঁছেছিল সুপ্রিম কোর্টে। সেই সময়ই সুপ্রিম কোর্ট একটি অডিট কমিটি তৈরি করেছিল। সেই অডিট কমিটির রিপোর্টে দেখা যাচ্ছে দিল্লি সরকার প্রয়োজনের চেয়ে চার গুণ বেশি অক্সিজেন চেয়েছিল।
অডিট কমিটির রিপোর্ট অনুযায়ী, দিল্লিতে অক্সিজেনের ঘাটতি নিয়ে সরব ছিল দিল্লি সরকার। সেই সময় সেখানে অক্সিজেনের প্রয়োজনীয়তাও চারগুণ বেড়েছিল। শুধু দিল্লি নয় তরল মেডিক্যাল অক্সিজেনের চাহিদা গোটা দেশেই বেড়েছিল। অডিট কমিটি তাদের দেওয়া রিপোর্টে সুপ্রিম কোর্টকে জানিয়েছে দিল্লিতে অতিরিক্ত অক্সিজেন সরবরাহ কমপক্ষে ১২টি রাজ্যের প্রয়োজনীয় সরবরাহে বাধা তৈরি করতে পারত।
সুপ্রিম কোর্ট নিযুক্ত অডিট কমিটির রিপোর্টে বলা হয়েছে এখানে সেই সময় অক্সিজেনের চাহিদা ছিল। কিন্তু দিল্লি সরকার তার তুলনায় প্রায় চার গুণ বেশি অর্থাৎ ১,১৪০ মেট্রিকটন অক্সিজেনের দাবি জানিয়েছিল। যা প্রতিটি শয্যা সংখ্যার তুলনায় ২৮৯ মেট্রিকটন বেশি। জাতীয় রাজধানীতে সেই সময় অক্সিজেন উদ্বৃত্ত ছিল। যা সেই সময় অন্যান্য রাজ্যগুলিতে অক্সিজেন সরবরাহ প্রভাবিত করেছিল। দিল্লিতে যদি অতিরিক্ত অক্সিজেন সরবরাহ করা হত তাহলে তা জাতীয় সংকটের কারণ হতে পারত।
অক্সিজেন সম্পর্কিত জাতীয় টাস্কফোর্স জানিয়েছে, দিল্লি সরকারের দাবি অনুযায়ী দিল্লিতে অবস্থিত ১৮৩টি সরকারি হাসপাতেলর অক্সিজেন খরচের পরিমাণ ১১৪০ মেট্রিকটন। কিন্তু তদন্তে দেখা গেছে ১৮৩টি হাসপাতালে ২০৯ মিট্রিক টন অক্সিজেন খরচ হয়। কেন্দ্রের নীতি অনুযায়ী ২৮৯ মেট্রিকটন অক্সিজেন প্রয়োগ করা দরকার। কিন্তু দিল্লি সরকার ৩৯১ মেট্রিকটন অক্সিজেন প্রয়োগ করেছে। অক্সিজেনের অডিট রিপোর্টে বলা হয়েছে দিল্লিতে অতিরিক্ত চাহিদা মেটান হলে ১২টি রাজ্যকে জীবন রক্ষাকারী অক্সিজেন ঘাটতির মুখে পড়তে হবে।
৮ মে সুপ্রিম কোর্ট প্রতিটি রাজ্য ও কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলে অক্সিজেন সরবরাহের জন্য ও কেন্দ্রীয় সরকার কতটা অক্সিজেন কোনও রাজ্যকে তা নির্ধারণের দন্য ১২ সদস্যের একটি জাতীয় টাস্কফোর্স গঠনের নির্দেশ দিয়েছে। টাস্ক ফোর্স জানিয়েছেন ১৩ মে বিভিন্ন হাসপাতালে অক্সিজেন ট্যাঙ্কারগুলি লোড করা যায়নি। কারণ সেই সময় এইমস আর এলএনজেপির মত হাসপাতালগুলিতে ৭৫ শতাংশ অক্সিজেন মজুত ছিল। টাস্ক ফোর্স বলেছে ২৯ এপ্রিল-১০ মে দিল্লিতে অক্সিজেন ব্যবহারের নিয়ম পরিবর্তন করতে বলা হয়েছিল। কারণ দিল্লি দেখিয়েছিল তাদের হাসপাতালগুলিতে প্রকৃত খরচ ১১৪০ মেগাটন। ত্রুটি সংশোধনের পর অক্সিজেনের চাহিদা ২০৯চে নেমেআসে।
দিল্লিতে অক্সিজেন সরবরাহ ও বিতরণ আর ব্যবহার নিয়ে নিরীক্ষা চালানোর জন্য সুপ্রিম কোর্টের তৈরি প্যানেল তৈরির পরেই দিল্লি সরকার মেডিক্যাল অক্সিজেন ঘাটতি সম্পর্কে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। দিল্লি সরাকার জানিয়েছিল অক্সিজেন সরবরাহের অ্যাক্সেস রয়েছে। আর সেক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় রাজ্যহগুলিতে উদ্বৃত্ত অক্সিজেন তারা সরবরাহ করতে পারে।