সংক্ষিপ্ত
করোনাভাইরাস সংক্রমণ ঠেকাতে ভারতে চলছে লকডাউন
এই অবস্থায় অস্ত্র একটাই, যতটা সম্ভব সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা
অনেকে ভয় পাচ্ছেন টাকা-পয়সার লেনদেনেও
তাদের উদ্বেগ দূর করতে এগিয়ে এলেন আরবিআই-এর গভর্নর
লকডাউন দিয়েও পুরোপুরি ঠেকানো যাচ্ছে না করোনাভাইরাস সংক্রমণকে। মঙ্গলবার সকালেই ভারতে আক্রান্তের সংখ্যা ১২০০ ছাড়িয়ে গিয়েছে। এই অবস্থায় অস্ত্র একটাই, যতটা সম্ভব সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা। বাড়িতে থেকেও অনেকে ভয় পাচ্ছেন, যদি টাকা-পয়সার লেনদেন থেকে সংক্রামিত হয়ে যাই! অনেককে এরমধ্য়ে টাকার নোটকে জীবানুমুক্ত করতে মাইক্রোওভেনে টাকা দিতে শোনা গিয়েছে। কেউ কেউ হ্যান্ড স্যানিটাইজার দিয়ে টাকা জীবানুমুক্ত করার চেষ্টা করছেন।
বস্তুত, এই ভয়টা অমূলক নয়। টাকা বিনিময়ের জিনিস। বহু হাতে ঘুরে বেড়ায় নোট-কয়েন। তারমধ্যে কে আক্রান্ত, আর কে আক্রান্ত নয়, তা খুঁজে বের করা অসম্ভব। এই অবস্থায় আরবিআইয়ের গভর্নর শাক্তিকান্ত দাস করোনাভাইরাস লকডাউন চলাকালীন ভারতীয় নাগরিকদের ডিজিটাল পেমেন্ট ব্যবহার করার আহ্বান জানালেন। ভারতের আর্থিক সেক্টরের নিয়ন্ত্রক সংস্থা রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। তাঁর প্রধান হিসাবে জনসাধারণের উদ্বেগ দূর করতে এগিয়ে এলেন আরবিআই-এর গভর্নর। এই সময় সংক্রমণ ঠেকাতে নাগরিকদের যথাসম্ভব ক্রেডিট কার্ড, ডেবিট কার্ড ও বিভিন্ন মোবাইল অ্যাপ-এর মাধ্যমে ডিজিটাল লেনদেন করার পরামর্শ দিলেন তিনি।
এর আগে ২০১৬ সালে নোট বাতিলের সিদ্ধান্তের পর বাজারে নগদ অর্থের ব্যাপক অভাব দেখা দিয়েছিল। সেই সময় ভারতীয়রা অনেকেই ডিজিটাল লেনদেনের দিকে ঝুঁকেছিলেন। কিন্তু, ক্রমে বাজারে যত নগদ ঢুকেছে ততই কমেছে ডিজিটাল লেনদেনের ব্যবহার। এখন বেশ কিছু মুদিখানা বা বড় বড় দোকানে ডিজিটাল লেনদেনের সুবিধা থাকলেও, রোজকার কাঁচা সবজির বাজার বা মাছের বাজারে এখনও নগদের লেনদেনই প্রধান ভরসা।