সংক্ষিপ্ত
স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তরফে বলা হয়েছে, সরকার মৃত্যুর সংখ্যা কমানোর জন্য ব্যাপক হারে টিকা দিচ্ছে। সেই কারণেই আক্রান্তের তুলনায় মৃত্যুর সংখ্যা কম। ওমিক্রন আক্রান্ত ৯০ শতাংশ মানুষই হালকা থেকে মাঝারি লক্ষণযুক্ত। এরা মূলত হোম-আইসোলেশনে রয়েছে। অক্সিজেন ও আইসিইউ শয্যার চাহিদাও করোনার দ্বিতীয় তরঙ্গের তুলনায় অনেকটা কম।
আবারও করোনাভাইরাসের (Coronavirus) সংক্রমণ নিয়ে সতর্ক কল কেন্দ্রীয় সরকার। স্বাস্থ্য় মন্ত্রক (Union Health Ministry) জানিয়েছেন ওমিক্রন (Omicron) এখনও ভারতে শক্তিশালী একটি জিন। এখনও এপর্যন্ত এটি দ্রুত হারে প্রভাব বিস্তার করছে। সংক্রমণ যে আরও বাড়বে তারও ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে। ইতিমধ্যেই দেশের কোভিড-১৯ (COVID-19)এর ক্রমতালিকায় শীর্ষে থাকা প্রথম ১০ রাজ্যে অ্যাক্টিভ কেসের সংখ্যা ৭৭ শতাংশের বেশি। ডিসেম্বর থেকে জানুয়ারি পর্যন্ত ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টের সংখ্যা দ্রুত বৃদ্ধি পেয়েছে। ওমিক্রনের সাব-ভ্যারিয়েন্ট বা উপবংশ BA.2-র প্রভাবও দেশে বাড়ছে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করা হ.য়েছে।
স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তরফে বলা হয়েছে, সরকার মৃত্যুর সংখ্যা কমানোর জন্য ব্যাপক হারে টিকা দিচ্ছে। সেই কারণেই আক্রান্তের তুলনায় মৃত্যুর সংখ্যা কম। ওমিক্রন আক্রান্ত ৯০ শতাংশ মানুষই হালকা থেকে মাঝারি লক্ষণযুক্ত। এরা মূলত হোম-আইসোলেশনে রয়েছে। অক্সিজেন ও আইসিইউ শয্যার চাহিদাও করোনার দ্বিতীয় তরঙ্গের তুলনায় অনেকটা কম। কিন্তু এখনও রাশ আলগা করতে চলবে না। যেকোনও সময়ই করোনাভাইরাস চরিত্র বদল করতে পারে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন বিশেষজ্ঞরা।
ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিক্যাল রিসার্চের প্রধান ডক্টর বলরাম ভার্গব বলেছেন পর্যাপ্ত ভ্যাকসিন রয়েছে দেশে। ভাইরাসটির বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য আরও বেশি মানুষকে টিকা দেওয়ার প্রয়োজন রয়েছে। কোমোর্বিডিটিসের আক্রান্তদের সাবধানে থাকা ও ভিড় এড়িয়ে চলার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।
ন্যাশানাল সেন্টার ফর ডিসিজ কন্ট্রোলের প্রধান সুজিত কুমার সিং বলেছেন, বিশেষজ্ঞরা শুধুমাত্র ওমিক্রনে আক্রান্তের ওপর নজর রাখছেন এমনটা নয়।কোভিড-১৯ মহামারি প্রতিরোধ করাই তাদের মূল লক্ষ্য। এখনও পর্যন্ত ওড়িশা, পশ্চিমবঙ্গ ও মহারাষ্ট্র ডেল্টায় আক্রান্তের সংখ্যা তুলনামূলকভাবে বেশি। তিনি আরও বলেছেন ক্লিনিক্যাল তীব্রতা ও হাসপাতালে ভর্তির অন্যতম কারণ হতে পারে ডেল্টা। তাই সংক্রমণ রুখতে টিকা নেওয়ার পাশাপাশি কোভিড- বিধি মেনে চলার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। তিনি আরও বলেছেন টিকাহীন ও দীর্ঘদিন রোগেভোগা ব্যক্তিরাই দিল্লিতে বেশি মারা গেছে বলেও দেখা যাচ্ছে। কোভিড-১৯এ মৃত্যুর ৬৪ শতাংশই এই দুটি গ্রুপের সদস্য।
এদিন সরকার টেলিমেডিসিনের জন্য ই-সঞ্জিবনী প্ল্যাটফর্মও চালু করেছে। এপর্যন্ত ২.৩ কোটিরও বেশি টেলিমেডিসিন দেওয়া হয়েছে বলে সরকার পক্ষ দাবি করেছে।
অন্যদিকে করোনাভাইরাসের (Coronavirus) প্রবল সংক্রমণ নিয়ে আরও একবার বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) সতর্ক করল। সোমবার বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ওমিক্রন (Omicron) কোভিড-১৯ (COVID-19) সর্বশেষ রূপ। এই ধারনা অত্যান্ত বিপজ্জনক। কোভিড -১৯ মহামারি কীভাবে শুরু হতে পারে, কীভাবে তীব্র পর্যায়ে পৌঁছাতে পারে আর কীভাবে এটি শেষ হবে- তার ধারনা আগে থেকে করা সম্ভব নয়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সোশ্যাল মিডিয়ায় আরও বলা হয়েছে, ওমিক্রনই করোনার শেষ রূপ (Covid's Last Variant)। আমরা মহামারির শেষ পর্যায়ে রয়েছি- এই ধারনা করা ঠিক নয়।
Delhi Gangrape: গণধর্ষণের শিকার একসন্তানের মা, আরও একবার বেআব্রু হলেন রাজধানীর রাজপথে
Omicron Alert: 'ওমিক্রন করোনার শেষ রূপ', এই ধারনা বিপজ্জন বলল WHO
Pakistan Court: 'জেহাদের জন্য অর্থ সংগ্রহ দেশদ্রোহিতা', জঙ্গিদের আপিল খারিজ লাহোর হাইকোর্টের