সংক্ষিপ্ত

প্রতি তিনটি টেস্টে একটি করে পজিটিভ রিপোস্ট। দিল্লির বর্তমানে করোনা পরিস্থিতির বিশেষ দশটি আপডেট, যা ভারতের করোনার রূপরেখা আরও স্পষ্ট করে। 

গোটা দেশে করোনা (COVID 19 Update) পরিস্থিতি ক্রমেই ভয়ানক রূপ ধারন করছে, নিত্য সংক্রমণ এমনভাবে ছড়াচ্ছে, যা এক কথায় বলতে গেলে রাতের ঘুম উড়িয়েছে বিভিন্ন মহলের। এবার সর্বোচ্চ সংক্রমণ দেখল দিল্লি (Delhi COVID 19 Update) , একদিনে সংক্রমণ ২৮,৮৬৭ জন। বর্তমানে করোনায় পজিটিভ (Positive Rate) হওয়ার শতকরা ভাগ হল ২৯ শতাংশ। প্রতি তিনটি টেস্টে একটি করে পজিটিভ রিপোস্ট। দিল্লির (Delhi COVID 19 Update) বর্তমানে করোনা পরিস্থিতির বিশেষ দশটি আপডেট, যা রাজধানীর করোনার রূপরেখা আরও স্পষ্ট করে। 

প্রথমত, মে মাসের পর এদিন প্রথম দিল্লিতে সর্বাধিক সংক্রমণ দেখা দেয়। শেষ তিন বছরে ভারত ক্রমেই লড়াই করে চলেছে করোনার সঙ্গে, গতবছরই গোটা দেশ দ্বিতীয় ঢেউয়ের সঙ্গে লড়াই করেছে, প্রতিটা রোগীকে ভর্তির ব্যবস্থা ও অক্সিজেন সরবরাহের চেষ্টায় ছিল তৎপর। 

দ্বিতীয়ত, শেষ ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু হয়েছে ৩১ জনের, এনসিআর এর তথ্য অনুযায়ী শহরের ৬২ হাজার রোগী এদিন হোম আইসোলেশনে গিয়েছেন। 

তৃতীয়ত, এদিন সকালেই ২.৪৭ লাখ নতুন করোনা কেস ফাইল হয়েছে, গোটা বিশ্ব জুড়ে এখন করোনার নতুন প্রজাতির দাপট। ছড়াচ্ছে ঝড়ের গতীতে সক্রমণ। 

চতুর্থত, অতিমারি শুরু থেকে এখনও পর্যন্ত দিল্লিতে ১৬ লাখের বেশি করোনা সংক্রমণ হয়েছে। যেখানে ২৫০০০ মৃত্যু, এদিন সন্ধ্যায় মৃত্যুর শতকরা হার ১.৫৩ শতাংশ ছিল। 

আরও পড়ুন- NATIONAL CAPITAL: কীভাবে বেছে নেওয়া হয় কোনও দেশের রাজধানী, রইল দারুণ তথ্য

আরও পড়ুন- India China: দ্রুত চিন সীমান্ত সমস্যার সমাধান, আলোচনাতে ভরসা রাখছে ভারত

পঞ্চম, বুধবার রাজধানী দিল্লিতে ২৭,৫৬১ করোনা সংক্রমণের নতুন কেস সামনে আসে, ৪০ জনের মৃত্যুল ঘটেছে। 

ষ্ষ্ঠ, এদিন সন্ধ্যায় প্রধানমন্ত্রী করোনা পরিস্থিতি নিয়ে বৈঠক করেন, এবং জানান, খুব দ্রুত ছড়াচ্ছে ওমিক্রন, কিন্তু প্যানিক হওয়ার প্রয়োজন নেই। ভ্যাকসিনই সুস্থতার একমাত্র উপায়। 

সপ্তম, করোনার নতুন প্রজাাতি শহরাঞ্চলে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে। যেমন মুম্বই, এদিন এখানে ২৪ ঘণ্টায় সংক্রমণের পরিসংখ্যান হল ১৩,৭০২। 

অষ্টম, এদিন দিল্লির স্বাস্থ্য মন্ত্রী সত্যেন্দ্র জৈইন জানান, যদি শহরের পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে যায় তবে বেশ কিছুটা কড়াকড়িতে ছাড় মিলবে। 

নবম, তিনি এদিন এক প্রথমসারির সংবাদ মাধ্যমকে জানান, আগামী কয়েকদিনের মধ্যেই দিল্লি করোনার পিক দেখতে চলেছে। 

দশম, হাসপাতালে যতটা ভর্তি কম করা সম্ভব, ততটাই করার চেষ্টা তৃতীয় ঢেউয়ে, কারণ লকাউন একমাত্র সমাধান নয়, এদিন প্রধানমন্ত্রীর মতে অর্থনীতি ও জীবনযাপনেও নজর রাখতে হবে।